রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিসি ক্যামেরা অচল, ঝুঁকিতে হাতিরঝিলের দর্শনার্থীরা

রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্র হাতিরঝিলে প্রায় ৬৮টি ক্যামেরার মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫টিতে নো সিগন্যাল দেখায়। প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে অচল এসব ক্যামেরা। এতে ঈদে বেড়াতে আসা বিপুল সংখ্যক মানুষ নিরাপত্তাঝুঁকিতে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অভিযোগ উঠেছে, সেনাবাহিনী দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর বেশ কিছু সিস্টেম এলোমেলো হয়ে গেছে। মূলত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক ক্যামেরা নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে হাতিরঝিলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড হচ্ছে না।

এ ছাড়া, সংযোগ লাইন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অনেক কিছুই নষ্ট হওয়ার পথে যা এখনো ঠিক করা হয়নি। ক্যামেরা নষ্ট থাকায় এই বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা ব্যক্তিরা অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।

সম্প্রতি হাতিরঝিলে সিসি টিভির ক্যামেরা নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে এই বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে আসা ও একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা যায়।

হাতিরঝিল প্রকল্পের তথ্য মতে, ৩০২ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হাতিরঝিল প্রকল্পটি এর নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে লাগানো হয়েছিল ৬১টি ক্যামেরা পরে ক্যামেরার সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৮টি করা হয়। এ ছাড়া, আরও কিছু গোপন ক্যামেরা আছে বলে জানা গেছে। তবে এসবের অধিকাংশ ক্যামেরায় ‘নো সিগন্যাল’ লেখা থাকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অনেকটা পরিত্যক্ত হয়ে আছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। কিন্তু বর্তমানে ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা অনেকটাই অকার্যকর। ডিসপ্লের কিছু বোর্ডে লেখা উঠে আছে ‘নো সিগন্যাল’। আবার কিছু ক্যামেরায় স্থিরভাবে দেখা যাচ্ছে না ভিডিও।

এসব বিষয়ে সাধারণ মানুষ বলছে, মাঝে মাঝে হাতিরঝিলে কিছু অপ্রীতিকর ও বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে। এসব অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় বিশেষ ভুমিকা রাখে এসব ক্যামেরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি উপেক্ষিত হচ্ছে কি না।

বনানী থেকে হাতিরঝিলে বেড়াতে আসা মো. রফিক ও তার স্ত্রী হাজেরা বলেন, যেহেতু হাতিরঝিল মানুষের বিনোদনের একটি জায়গা সেই জন্য সব ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টাই ওপেন রাখা জরুরি এবং সব কিছু ঠিকঠাক রাখা কতৃপক্ষের দায়িত্ব। আশাকরি কতৃপক্ষ হাতিরঝিলের সব ক্যামেরা ঠিকঠাক রাখেবেন। সামনে ঈদ। হাজার হাজার মানুষ এখানে আসবেন। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের মাথায় রাখা উচিত।

পল্টন এলাকা থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা আজগর আলী বলেন, ঢাকা শহরে ফাঁকা জায়গার বড়ই অভাব। তাই পল্টন থেকে প্রায়ই হাতিরঝিলে বেড়াতে আসি। ঈদের ছুটির কয়দিন তো প্রায় প্রতিদিন আসি। কিন্তু আজ জানতে পেলাম হাতিরঝিলের অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা নষ্ট। আমরা তো ভাবতাম ক্যামেরা রয়েছে বখাটে বা অন্যান্য ঝামেলা থেকে এই ক্যামেরার জন্য প্রতিকার পাব। এখন শুনে সতর্ক হলাম।

সন্ধ্যার পর উত্তরা থেকে ২ সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে আসা মো. মামুন হোসেন বলেন, ‘হাতিরঝিলের পরিবেশ আগের মতো নেই। কয়েকদিন আগে জানলাম এখানের নিরাপত্তা হিসেবে যে সব সিসিটিভি আছে তা নষ্ট। ঈদের সময়ও এখানে পরিবার নিয়ে আসি কিন্তু ক্যামেরা নষ্ট জানার পর একটু শঙ্কিত আছি।’

এখানে কর্মরত একাধিক নিরাপত্তাকর্মী জানান, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অনেক ক্যামেরা নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ফলে হাতিরঝিলের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর ভিডিও ফুটেজ দেখা যায় না। এ ছাড়া সংযোগ লাইন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অনেক কিছুই নষ্ট হওয়ার পথে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘হাতিরঝিল নিয়ন্ত্রণ করে একটি কতৃপক্ষ। এখানে দায়িত্বরতদের দায়িত্ব সিসি ক্যামেরা বা অন্যান্য মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক রাখা। এটি যেহেতু আমাদের এলাকার মধ্যে পড়েছে, সেই জন্য আমাদের টহল পুলিশ এই বিনোদনকেন্দ্রে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত রয়েছে ‘

এক প্রশ্নের জবাবে আজিমুল হক বলেন, ‘এখানে ঘুরতে আসা মানুষের নিরাপত্তা দিতে ও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলার জন্য আমাদের পুলিশ সর্বদা নিয়োজিত থেকে কাজ করে যাচ্ছে আর ঈদের সময় এখানে পুলিশের আলাদা নিরাপত্তা থাকবে।’

তবে এসব বিষয় নিয়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের কতৃপক্ষ বলছেন, এই প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা উন্নতকরণের কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো ঠিক করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

হাতিরঝিলে দায়িত্বরত নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক রাজউকের এক সিকিউরিটি ইনচার্জ বলেন, ‘দিনে হাতিরঝিলে ৩০-৪০ জন নিরাপত্তাকর্মী কাজ করেন। রাতে কাজ করেন ২৫-৩০ জন। হাতিরঝিলে ২৪টি পয়েন্ট রয়েছে। ২৪ পয়েন্টে ২ জন করে দায়িত্ব দেওয়া হলেও পুরোদমে নিরাপত্তা দিতে প্রয়োজন হয় ৫০-৬০ জন। সেই হিসেবে নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা কম রয়েছে। অনেক ক্যামেরা কাজ করে না, যেসব জায়গায় ক্যামেরায় কাজ করে না সেই সমস্ত জায়গায় আমাদের নিরাপত্তা কর্মীরা কাজ করে। কিছু ক্যামেরা মেরামতের জন্য দেওয়া হয়েছে। তবে আমাদের কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন পানি লাগার কারণে ক্যামেরা অনেকগুলো নষ্ট হয়ে আছে।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর বলেন, হাতিরঝিল এলাকায় নিয়মিত পুলিশের টহল চলমান। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে রাতেও টহল বাড়ানো হয়েছে। আমরা কোনো অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। তা ছাড়া, ঈদের দিন আমাদের স্পেশাল টহল পুলিশের ডিউটি বাড়ানো হয়েছে।

অনেক ক্যামেরা কাজ করে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্যামেরার বিষয়ে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে আমরা কর্তৃপক্ষকে ঈদের আগে ক্যামেরা ঠিকঠাক করার পরামর্শ দিয়েছি।

ওসি আরও বলেন, ‘হাতিরঝিলে মোট ৬৮টিরও বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ২০-৩০ টিতে কাজ করে না। কিছু ক্যামেরা একেবারেই সিগনাল পায় না। বিকলগুলো মেরামত করা হচ্ছে।’

ক্যামেরার সার্বিক বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের এসব বিষয়ে অবহিত করার চেষ্টা করছি যাতে করে ঈদের সময় মানুষকে ভোগান্তির শিকার না হতে হয়, যোগ করেন তিনি।

আরইউ/এমএমএ/

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি