দ্বিতীয় দিনেও বাসের অগ্রিম টিকিট কিনতে যাত্রীদের চাপ নেই
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাসে আগাম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন আজ (৮ এপ্রিল) শনিবার। প্রথম দিনের মতো আজও রাজধানীর কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর চাপ তেমন নেই বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টার মাস্টাররা।
গাবতলীতে কথা হয় সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার রবিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, আজ টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিন চলে। এবার এই রাস্তায় টিকিট বিক্রি কম হচ্ছে।
গাবতলী ঈগল পরিবহনের ম্যানেজার মিথুন বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় আমাদের এই রাস্তায় ভিড় কম হবে এবার মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি ঈদের টিকিট বিক্রির শুরু থেকেই অনেক যাত্রীরা ভিড় করে। তবে এবার ঈদের টিকিট বিক্রি অনেক কম হচ্ছে।
ঈগল পরিবহনের অগ্রিম টিকিট কিনতে এসে মো ফারুখ বলেন, আমাদের বাসা মিরপুর এজন্য আরিচা হয়ে মাগুরাতে যাব ২টা অগ্রিম টিকিট কিনলাম। বাচ্চারা না থাকলে আমরা পরিবারের সবাই পদ্মা সেতু দিয়ে যেতাম।
সোহাগ পরিবহনে ঈদের টিকিট কিনতে এসছেন নোমান। তিনি বলেন, মা বাবার জন্য ২ টা টিকিট নিতে এসছি। অনেকেই বলেন, অনলাইনে নেওয়া যায় আমি সরাসরি এসে নিচ্ছি। কারণে ঈদের সময় আমি পদ্মা সেতু দিয়ে বাড়িতে যাব। এই রাস্তায় যানজট হয় বেশি।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জসিম বলেন, এবার ঈদের বাজার মনে হচ্ছে এই রোডে ভালো হবে না। ফেরি চলাচলা রোড এড়িয়ে অনেকেই পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচল করতে চাই। গত ঈদের ১ম ও ২য় দিনে অনেক টিকিট বিক্রি করেছি কিন্তু এবার ঈদের এই ২ দিনে মাত্র ৩০-৪০ টা অগ্রিম টিকিট বিক্রি করেছি।
যারা ঈদের টিকিট কাটতে এসেছেন তারা স্বাচ্ছন্দ্যেই কাঙ্ক্ষিত তারিখের টিকিট কাটতে পারছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালেও যাত্রীচাপ কম থাকায় হতাশ কাউন্টার সংশ্লিষ্টরা। দেখা গেছে শ্যামলী ও কল্যাণপুর বাস কাউন্টারেও যাত্রীদের চাপ একেবারে কম। এজন্য অনেকটা হতাশা প্রকাশ করেছেন পরিবহনের সঙ্গে সংযুক্তরা।
কাউন্টার মাস্টাররা বলছেন, গাবতলী কাউন্টারে যারা আগাম টিকিট কাটতে এসেছেন তারা বেশিরভাগই ২০-২১ তারিখের টিকিট কাটছেন। কোনো ভোগান্তি ছাড়াই টিকিট কাটতে পেরে খুশি তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘরে বসে অনলাইনেই টিকিট কাটার সুবিধার কারণেই কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর চাপ কম সেই সঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গের যাত্রীরা পদ্মা রোড় মুখি হচ্ছে। অবশ্য এবার ঈদের ছুটি কম থাকায় শেষ দিকে যাত্রীদের চাপ ও ভোগান্তি বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তারা।
কেএম/এসএন