রাজধানীতে ব্যাপক যানজট
প্রতি বছর রমজানে রাজধানীতে ব্যাপক যানজট লেগে থাকে। এসব যানজট বিভিন্ন সড়কের অলিতে গলিতে তৈরি হয়। ঢাকার যানজট এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ দাঁড়িয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, প্রতিদিন রাস্তায় বের হলেই যানজটের কবলে পড়তে হয়। এসব তদারকির কেউ নেই।
অবশ্য, এসব যানজট নিরসন করতে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা হিমশিম খাচ্ছেন। পুলিশের দাবি, পরিকল্পিত ঢাকা না হলে যানজট নিরসন করা সম্ভব হবে না। তবে তারা সব সময় যানজট নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করেন।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে রমজানে সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, স্কুল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোল থাকে এবং তা প্রায় এক সময়ে হয়, এজন্য সবাই রাস্তায় এক সঙ্গে চলাফেরা করেন যার কারণে সড়কে মানুষের চাপ বাড়ে সেই সঙ্গে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজট।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সব যানজটের চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ বলছে, সকাল থেকেই রাজধানীর, টঙ্গী আব্দুল্লাহপুর, এয়ারপোর্ট, বিমানবন্দর, কুড়িল, বনানী, কালশী, বাড্ডা, মহাখালী, হাতিরঝিল, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, শাহাবাগ, এলাকায় রমজানে একটু বেশিই যানজট দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব রাস্তায় গাড়ির চাপও বাড়তে থাকে এবং দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
সেগুনবাগিচা মোড়ে মোড়ে কথা হয় পরিবহনের যাত্রী মালেক মিয়ার সঙ্গে। এসময় তিনি বলেন, আজ বৃহস্পতিবার হওয়ার কারণে রাস্তায় সকাল থেকেই প্রচুর যানজট লেগে আছে। প্রতি বছর রমজানে রাজধানীতে ব্যাপক যানজট লেগেই থাকে এর থেকে কি আমাদের বাঁচার উপায় নেই?
কাকরাইল মোড়ে কথা হয় গণপরিবহনের আরেক যাত্রী মো. ফারুক হোসেনের সঙ্গে। ফারুক বলেন, যানজট আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী। এর সঙ্গে যুদ্ধ করেই চলছি। কী আর করার আছে আমরা তো উন্নত মানের দেশে পরিণত হয়েছি!
কাকরাইল মসজিদে মোড়ে ডিউটিরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রায়হান হোসেন বলেন, আমার সকাল থেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানজট নিরসনের কাজ শুরু করি। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা যথেষ্ট দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। তা ছাড়া রোজার সময় সকালে অফিস চালু হওয়ার কারণে এসব এলাকায় একটু যানজট লেগে থাকে। আমরা রাস্তা স্বাভাবিক করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. মনিবুর রহমান বলেন, রমজানের সময় একটু যানজট বেশি তৈরি হয় এর অনেকগুলো কারণ আছে। এর মধ্যে বড় কারণ হলো অপরিকল্পিত নগরী। যানজট নিরসন করা একেবারে অসম্ভব।
তিনি বলেন, রমজানের শুরু থেকেই যানজট নিরসনে সকাল থেকে আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। এই যানজট ইফতারের আগ পর্যন্ত লেগেই থাকে। আমরা চেষ্টা করি মানুষের কষ্ট যাতে কম হয় সেই লক্ষে আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে।
কেএম/এসএন