'আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য'

আদালতের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য বলে দাবি করেছে স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে এক মুক্ত আলোচনা সভায় এ দাবি জানান সংগঠনটির বক্তারা।
সভায় বক্তারা আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং এর যথাযথ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, এটি সর্বজনস্বীকত যে, আন্তর্জাতিক ভাষা হিসাবে ইংরেজি ভাষা শেখা, জানা ও উপযুক্ত স্থানে চর্চার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। জাতীয় উন্নতিকল্পে বিদেশি ভাষায় জ্ঞানার্জন ও সেই ভাষায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রকাশনা, আইন, বিধি-বিধান ও এর অধ্যয়ন, গবেষণা, অনুশীলন ও প্রয়োগের মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়াস সর্বদাই প্রশংসিত ও স্বাগত। তবে বিচার প্রার্থী বিশাল জনগোষ্ঠীর সহজে বোধগম্যতার কথা বিবেচনা করে আদালতের ভাষা বাংলা বা ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা করা যেতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সদিচ্ছা এ ভাষার যথার্থ প্রয়োগকে সহজ ও গতিশীল করবে।
হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন- এর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাহিদ ফেরদৌসী।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, সাবেক জেলা জজ মাসদার হোসেন, সিনিয়র জেলা জজ (অব) ড. মো. শাহজাহান, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা, ঢাকাপ্রকাশ এর সহকারী সম্পাদক ও বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা, দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস এর প্ল্যানিং এডিটর আসজাদুল কিবরিয়া, বিশিষ্ট কলামিস্ট, লেখক ও গবেষক ফারুক ওয়াসিফ, লেখক ও প্রাবন্ধিক ফিরোজ আহমেদ এবং লেখক ও গবেষক রাখাল রাহা। এছাড়াও দেশের বিশিষ্ট আইন ও সংবিধান ব্যক্তিত্ব, নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও নাগরিক প্রতিনিধিগণ মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন’ জনসাধারণের মাঝে সার্বজনীন মানবাধিকারের বার্তা পৌঁছে দিতে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কর্মশালা, সেমিনার, মতবিনিময় সভা, মানববন্ধন ও গোলটেবিল বৈঠক আয়োজনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।
/এএস
