বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫ | ১৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সচিবালয়ের উল্টো দিকে গা ছমছম করা ওসমানী উদ্যান

গা ছমছম করা একটা ভীতিকর পরিবেশ। ঝোপঝাড় আর জঙ্গলে একাকার বিস্তীর্ণ এলাকা। ভেতরে সব ভবঘুরে ছিন্নমুল মানুষ। কেউ বিড়ি ফুঁকছে, কেউ বা গল্প করছে জঙ্গলের আড়ালে। কেউ কেউ আবার আড্ডা দিছে। আবার কেউ সন্তানকে নিয়ে জঙ্গলের পাশেই ছেঁড়া কাঁথা বিছিয়ে শুয়ে আছে। কেউই কারো পরিচিত নয়। কিন্তু তাদের দখলে পুরো উদ্যান। এসব দৃশ্য রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে উল্টো দিকের ওসমানী উদ্যানের।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টা। মাথার উপর খাড়া রোদ। এর মধ্যেই সচিবালয় থেকে বের হয়ে ছুটলাম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোশনের নগর ভবনে। রাস্তা সংক্ষিপ্ত করতে সচিবালয় গেটের উল্টো দিকে ওসমানী উদ্যানের ভেতর দিয়ে রওয়ানা হলাম। পায়ে হাঁটা পথ। মিনিট কয়েক হাঁটলেই উদ্যানের ওপাশে নগর ভবন।

কিন্তু ওসমানী উদ্যানের ভেতরে ঢুকতেই কেমন যেন একটা ভয় ভয় লাগছিল। ওয়াকওয়ে দিয়ে হাঁটছি, কিন্তু খুব একটা জনমানব নেই। প্রথমেই চোখে পড়ল ভবঘুরে দুই-তিন জন নারী-পুরুষকে। তাদের চেহারার মধ্যে একটা নেশাখোর নেশাখোর ভাব। আরেকটু সামনে যেতেই চোখ গেল ডান দিকে। তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজন বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার হঠাৎ করেই কেউ একজন জঙ্গলের ভেতর থেকে বের হচ্ছে।

এই অবস্থায় নিজের ভেতরে অজানা ভয় আর শঙ্কা। উদ্যানে ঢুকে ভুল করলাম কি না। কিন্তু পেছনে যাওয়ারও কোনো সুযোগ নেই। আবার যত সামনে যাচ্ছি ততই ভয়ে বুক দুরু-দুরু করছে। ভুতুরে একটা অবস্থা। মনে হচ্ছে তিন চার মিনিটের এই পথ যেন শেষই হচ্ছে না। একপর্যায়ে যখন উদ্যানের নগর ভবন প্রান্তের কাছাকাছি পৌঁছালাম তখন হঠাৎ করেই ছিন্নমূল এক কিশোর ড্রেনের ভেতর থেকে বের হয়ে ওয়াকওয়েতে একদম আমার সামনে। ভয়ে থমকে গেলাম। কালো চিক চিকে শরীর, ছেঁড়া শার্ট-প্যান্ট। নাক দিয়ে ময়লা বের হচ্ছে।

কোনোভাবে দ্রুত পায়ে সামনে এগোতেই বের হওয়ার ফটক পাওয়া গেল। প্রাণ নিয়ে ফিরলাম নগর ভবনে।

রাজধানীর অন্যতম সুন্দর উদ্যান হিসেবে পরিচিতি ওসমানী উদ্যানের অবস্থা এখন এতটাই বেহাল। গত প্রায় ছয় বছর ধরে এই অবস্থা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যানকে আরও আধুনিক ও জনবান্ধব উন্নয়ন করতে কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। কিন্তু মাঝপথে প্রকল্পের কাজ থেমে যাওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে এটি এখন অপরাধীদের অভয়ারণ্য।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন একটি মেগা প্রকল্প নিয়েছিল দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। প্রায় ১৭ শ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়নের কার্যক্রমও ছিল। তৎকালীন মেয়র সাঈদ খোকন এই প্রকল্পের নাম দিয়েছিলেন ’জল সবুজে ঢাকা’। এর আওতায় ৩১টি খেলার মাঠ ও পার্কের উন্নয়ন করার কথা ছিল। এরই একটি হচ্ছে ওসমানী উদ্যান। তৎকালীন মেয়র এর নাম দিয়েছিলন ‘গোস্বা নিবারণ পার্ক’।

ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী উদ্যানের উন্নয়নে মোট পাঁচটি প্যাকেজে কাজ করার উদ্যোগ নেয় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিনটি প্যাকেজের দরপত্র আহ্বান করে কার্যাদেশও দেওয়া হয় দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে।

সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উদ্যানের উন্নয়নে কাজ শুরু করে ২০১৭ সালে। কিন্তু কাজ শুরুর পর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হঠাৎ করেই কাজ ফেলে যায় নির্মাণ সামগ্রির দাম বাড়ার অজুহাতে। তারপর থেকে কাজ আর এগোয়নি।

সিটি করপোরেশন সূত্র বলছে, এই অবস্থায় ঠিকাদারের কাজ বাতিল করার জন্য সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে। তার আলোকে ইতিমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্য বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্সের কার্যাদেশ ও চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

এই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌ. (পুর) পরিবেশ, জলবায়ু ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল মো. খায়রুল বাকের ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ঠিকাদারের সমস্যার কারণে এই প্রকল্পের কাজ অনেকদিন ধরেই বন্ধ। এখন নতুন ঠিকাদার নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নতুন করে দরপত্র আহ্বান করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হবে। আশা করছি খুব দ্রুত প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে।

এদিকে সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বলেন, আপনি এই উদ্যানের ভেতর দিয়ে এলেন কেন? উদ্যানের ভেতর দিয়ে তো মানুষ চলাচল নিষিদ্ধ। দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত থাকার কারণে পুরো উদ্যান জুড়ে ঝোপঝাড় ও জঙ্গল হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এখন ওসমানী উদ্যান অপরাধীদের অভয়ারণ্য। রাতে তো নানান অপরাধ সংঘটিত হয়। মানুষ চলাচল নিষিদ্ধ এমন কোনো সাইনবোর্ড তো কোথাও চোখে পড়ল না-এ কথা বলতেই ডিএসসিসির ওই কর্মকর্তা বলেন, সাইনবোর্ড দিয়ে কী হবে? মানুষ তো এগুলো মানে না।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো ওসমানী উদ্যানের চারপাশ টিন দিয়ে ঘেরা। চারপাশের দেওয়ালের লোহার গ্রিল আগেই খুলে নেওয়া হয়েছে। মূল দুটি প্রবেশদ্বার টিন দিয়ে ঘেরা। নগর ভবন প্রান্তের গেটে আবার তালার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে লোকজনও আছে। তবে চারপাশের দেওয়ালের গ্রিল না থাকায় এবং একাধিক জায়গায় টিনের বেড়া না থাকায় অপরাধীরা নির্বিঘ্নে উদ্যানে ঢুকছে এবং নানান অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় মদপানের ফলে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়। এর আগে, ঈদের সন্ধ্যায় তারা মদপান করেন এবং রাতের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মৃতদের মধ্যে রয়েছেন আশাশুনি উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের জাফর আলী খাঁর ছেলে জাকির হোসেন টিটু (৪০) ও সোহরাব গাজীর ছেলে নাজমুল গাজী (২৬)।

এ ঘটনায় অসুস্থদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণ তেতুলিয়া গ্রামের সাইদ সরদারের ছেলে ফারুক হোসেন, মোকামখালী গ্রামের কুদ্দুস সরদারের ছেলে ইমরান, মিত্র তেতুলিয়ার মর্জিনা খাতুনের ছেলে ইকবাল, কামরুলের ছেলে লিফটন, আজিবার সরদারের ছেলে রবিউল, শহীদ গাজীর ছেলে তুহিন, আনিসের ছেলে নাজমুলসহ আরও কয়েকজন।

গুরুতর অসুস্থদের মধ্যে ফারুক হোসেনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইমরানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সন্ধ্যায় আশাশুনির তেতুলিয়া শ্মশানঘাট মাঠে বসে জাকির হোসেন টিটু, নাজমুল গাজীসহ মোট ১১ জন একসঙ্গে মদপান করেন। মদপানের পর তারা বাড়ি ফিরে যান এবং ঘুমিয়ে পড়েন।

এরপর রাত ১২টার দিকে একে একে সবাই মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির হোসেন টিটু ও নাজমুল গাজী মারা যান। বাকি ৯ জনের চিকিৎসা চলছে।

আশাশুনি থানার ডিউটি অফিসার এসআই ফিরোজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যু অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরান, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানের অস্ত্র সংগ্রহ নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়।

এই পদক্ষেপকে ইরানের ওপর আরও চাপ সৃষ্টির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করে বলেছিলেন, নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে রাজি না হলে দেশটির ওপর বোমা হামলা চালানো বা নতুন শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে জানিয়েছে, ইরানের ড্রোন কর্মসূচির অন্যতম প্রধান নির্মাতার জন্য মানববিহীন এয়ার ভেহিকল (ইউএভি)–এর উপকরণ সংগ্রহের সঙ্গে যুক্ত ছয়টি সংস্থা ও দুই ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, "ইরান তাদের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়াসহ তাদের প্রক্সিদের সরবরাহ করছে। রুশ বাহিনী এগুলো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে, যা বেসামরিক নাগরিক, মার্কিন বাহিনী ও মিত্রদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা ইরানের সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স এবং তাদের ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রচলিত অস্ত্রের বিস্তার ব্যাহত করতে কাজ চালিয়ে যাব।"

মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে একটি ইরান-ভিত্তিক সংস্থা, দুইজন ইরানি নাগরিক, একটি চীন-ভিত্তিক সংস্থা এবং চারটি সংযুক্ত আরব আমিরাত-ভিত্তিক সংস্থা।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইরানের মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার চালিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "পরাজিত শক্তি নিউইয়র্ক টাইমসে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রিপোর্ট করিয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে। তারা এই অবৈধ টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করতে চায়।"

বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, "শেখ হাসিনা জঙ্গি দমনের নামে একটি নাটক সাজিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকার একটি রাজনৈতিক কৌশল ছিল। এমনকি একজন সাবেক আইজিপির বইয়েও এটি উঠে এসেছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে উগ্রবাদের কোনো উত্থান ঘটেনি। বরং বর্তমানে দেশে ফ্যাসিবাদের কোনো ছোবল নেই, মানুষ নির্বিঘ্নে ধর্মপালন করতে পারছে, কথা বলতে পারছে। এবার মানুষ নির্ভয়ে ঈদ উদযাপন করেছে, যা অতীতে সম্ভব হয়নি।"

আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, "আওয়ামী লীগ বসে নেই, তারা কালো টাকা ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বিদেশে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারাই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।"

তিনি আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্দেশে মুগ্ধ ফাইয়াজদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু এ নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই। প্রশাসনের চারপাশে আওয়ামী লীগের দোসররা বসে আছে, যার ফলে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।"

রিজভী আহমেদ দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, "নির্বাচনী সরকারই হচ্ছে বৈধ সরকার। নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি সাধারণ জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হবে।"

তিনি নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দ্রুত নির্বাচনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাতক্ষীরায় মদপানে দুই যুবকের মৃত্যু, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯
ইরানের ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র নেটওয়ার্কের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বব্যাপী অপপ্রচার ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসররা: রিজভী
দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের ঘটনা ঘটেনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আখাউড়ায় ট্রেনের ছাদে টিকটক বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, নিহত ২
বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ভারতের ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের
বিএনপি কখনোই নির্বাচনের পরে সংস্কারের কথা বলেনি: মির্জা ফখরুল
বিরামপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আটক ৫
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ভ্যাল কিলমার আর নেই
ময়মনসিংহে সিনেমা হলে যান্ত্রিক ত্রুটির জেরে দর্শকদের ভাঙচুর
সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ড. ইউনূসের মন্তব্যে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের তীব্র প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এক ইমামের ১৭০ স্বজনের মৃত্যু
ঈদের আনন্দে যমুনার দুর্গম চরে গ্রাম-বাংলার ঘুড়ি উৎসব, আনন্দে মেতে উঠে বিনোদনপ্রেমীরা!
ইমামকে ঘোড়ার গাড়িতে রাজকীয় বিদায়, দেওয়া হলো ৯ লাখ টাকার সংবর্ধনা
লন্ডনে একসঙ্গে দেখা গেলো সাবেক চার আওয়ামী মন্ত্রীকে
ঢাকায় ফিরছে ঈদযাত্রীরা, অনেকে ছুটছেন শহরের বাইরে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আবারও সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৭
বিটিভিতে আজ প্রচারিত হবে ঈদের বিশেষ ‘ইত্যাদি’
ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকা, নেই যানজটের চিরচেনা দৃশ্য
মাদারীপুরে তিন মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ২