সড়কে-ফুটপাতে নির্মাণ সামগ্রী, ১৩ লাখ টাকায় নিলাম ডিএনসিসির
সড়কে ও ফুটপাতে অবৈধভাবে রাখা নির্মাণসামগ্রী জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সেগুলো তাৎক্ষণিক উন্মুক্ত নিলামে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৫ টাকায় বিক্রি করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন।
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ ডিএনসিসির ৩৩নম্বর ওয়ার্ডস্থ চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় তিনটি স্পটে ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে রাখা সকল নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করে উন্মুক্ত নিলামের ডাক দেন। নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে বিপুল পরিমাণ রড, ইট, বালু ও অন্যান্য সামগ্রী।
জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় জনসম্মুখে উন্মুক্ত স্থানে প্রকাশ্যে নিলামে জব্দকৃত সকল মালামাল ভ্যাট ও আয়কর সহ সর্বমোট ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬২৫ টাকায় বিক্রয় করা হয় ।
এ সময় হাউজিংয়ের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন ধরনের অবৈধ গেট অপসারণ করা হয়। হাউজিং কোম্পানিকে সাত দিনের মধ্যে সকল গেট অপসারণ এবং সকল রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, এডিস মশা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনগণের সাথে কথা বলেন এবং ডেঙ্গু সচেতনতা বিষয়ক লিফলেট বিতরণ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ওয়ার্ড নং ১ ও ১৭ এর উত্তরা সেক্টর-৭, ৯ ও ১০ এবং খিলক্ষেত এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে রাজউক মার্কেটের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে অবৈধ ফলের দোকান ও জুসবার উচ্ছেদ করা হয়।
এ ছাড়া, বাসা বাড়ী ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিতভাবে এডিশ মশা বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ডিএনসিসি ৪০ নম্বর ওয়ার্ডস্থ ১০০ ফিট এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা করেন। অভিযানে প্রায় ৪০টি অবৈধ দোকান ,অবৈধ সাইনবোর্ড ও রাস্তার উপর স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ১টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরইউ/এমএমএ/