ডেঙ্গু পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে, দাবি মেয়র তাপসের
ডেঙ্গু পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলে চলমান পরিষ্কার ও খনন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দাবি করেন তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখছি। কীটপতঙ্গের বা এডিস মশার বিবর্তনের পরিবর্তন দেখছি এবং সময়সীমার পরিবর্তন দেখছি। এ সম্পর্কে আমাদের পূর্বাভাস পাওয়া প্রয়োজন।’
আপনারা লক্ষ্য করছেন যে, এবার এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অক্টোবর ছাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় চলমান রয়েছে। এতদিন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব থাকার কথা ছিল না। এখন আমরা শুষ্ক মৌসুমে চলে এসেছি। কিন্তু তারপরও আমরা এডিস মশার বিস্তার লক্ষ্য করছি, যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ফলে এডিস মশা নিধনের জন্য, নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের কাজ চলমান রাখতে হচ্ছে। আমরা চলমান রাখছি। যে কারণে গতকাল পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ড এলাকার মধ্যে মাত্র ৩৭ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। তো আমরা মনে করি যে, যদিও আমরা লক্ষ্য করছি--এটা বাংলাদেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকার বাইরে এটার প্রাদুর্ভাব এখন আরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রকল্প সম্পর্কে মেয়র বলেন, ‘আমরা আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে পূর্ণ প্রকল্পটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ঢাকার দৃশ্যপট পরিবর্তন হয়ে যাবে। নদীমুখী ঢাকার যে আবির্ভাব, যে গোড়াপত্তন তা আবার দৃশ্যমান হবে, ফিরে আসবে।’
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল ভরাট ও দখল করার আর কোনো সুযোগ থাকবে না উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘এখানে শুধু খনন না, আমরা তার সঙ্গে সঙ্গে সীমানা নির্ধারণ এবং স্থায়ীভাবে দখলমুক্ত করছি। এ নিয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনের রায় ছিল। কিন্তু কোনো সংস্থা এর আগে এটা করতে পারেনি। আমরা এই দায়িত্বটা নিয়ে একে একে খুব সুন্দরভাবে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় এখন খনন করছি। তার সঙ্গে সঙ্গে দখলমুক্ত ও সীমানা নির্ধারণ করছি এবং একইসসেঙ্গ নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রকল্প প্রণয়নের কাজও আরম্ভ করছি।
মৌসুমের পরেও এডিস এবং মৌসুমের আগে কিউলেক্স মশার বিস্তার হওয়ার কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের আরও কার্যকর গবেষণা করা প্রয়োজন এবং এ ধরনের গবেষণায় সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য যদি কোনও বরাদ্দ প্রয়োজন হয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তা দিতেও প্রস্তুত আছে। কারণ আমরা ঢাকাবাসীকে মশক নিয়ন্ত্রণের সুফল পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এর আগে ডিএসসিসি মেয়র নগর ভবনের সামনের রাস্তায় চলমান উন্নয়ন কাজ এবং পরে ধানমন্ডি ২/এ রোডে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুত বিতরণ ব্যবস্থা কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়াবলি পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউস, করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা বাবর আলী মীর, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররা, দক্ষিণ সিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরইউ/এমএমএ/