কাউন্সিলরের বাসায় আটকে রেখে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ
সাভারে নুর হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে সাভার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন মুক্তার বাসায় আটকে রেখে লাঠি দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাভার পৌর এলাকার একতা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক।
নুর হোসেনের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হওয়ায় বর্তমানে তিনি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর ছেলে ঈসমাইল হোসেন রবিন বলেন, আমি আজ (৬ আগস্ট) ওই কাউন্সিলরের বাসার পাশের কবর জিয়ারত করতে ছিলাম। ওই সময় কাউন্সিলরের ভাইয়ের ছেলে সাদ্দাম আমাকে ডেকে বাসার নিচে নিয়ে যায়। তারপর সাদ্দাম ও তার ভাই আমাকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে এবং বলে তোর বাবাকে মোবাইল কর। এরপর আমি আমার বাবাকে কল করে তাড়াতাড়ি আসতে বলি। আমার বাবা আসলে বাবার সামনেই আমাকে মারতে থাকে। তখন আমার বাবা আমাকে রক্ষা করতে গেলে কাউন্সিলরের সহকারী সোনামিয়া ও সাদ্দাম আমার বাবাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে বাবার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। তখন আমাদের চিৎকার শুনে বাহির থেকে লোক এসে আমাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কার কবর জিয়ারত করতে ছিলেন-এমন প্রশ্নের জবাবে রবিন বলেন, কবরটি কাউন্সিলর মুক্তার বড় ভাই সাবেক কাউন্সিলর মজনুর। কবর জিয়ারত করতে আমার ভালো লাগে। তাই চলতি পথে কবর দেখলেই আমি জিয়ারত করি।
থানায় অভিযোগ করেছেন কি না!-এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। এখন যত দ্রুত সম্ভব থানায় অভিযোগ করব।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন মুক্তা বলেন, আমি এখন কিছুই বলতে পারব না। বিকালে সবাইকে আসতে বলেছি। সেখানে একসঙ্গে সবাইকে বলব।
এসআইএইচ