জাল টাকা চক্রের মূলহোতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা
উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জাল টাকা ছড়িয়ে দিত একটি চক্র। মো. হুমায়ূন কবির ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। চাকরি চলে যাওয়ার পর মোহাম্মদপুরে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে শুরু করেন জাল টাকা তৈরির রমরমা ব্যবসা করতেন তিনি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা এজেন্টের মাধ্যমে এ টাকা ছড়িয়ে দিতেন সারা দেশে। ১ লাখ জাল টাকার বিনিময়ে পেতেন ১০ হাজার টাকা।
তাকে ধরার পর পুলিশ জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা থেকে তিনি হয়ে ওঠেন জাল টাকার কারবারি চক্রের মূলহোতা। এজেন্টের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতেন সারা দেশে এসব টাকা। পুলিশ বলছে, উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ব্যাংকে জাল টাকা ছড়িয়ে দিত চক্রটি।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) এ মামলার বিষয়ে এসব তথ্য জানানা গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার আছমা আরা জাহান। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) মোহাম্মদপুর থেকে হুমায়ূন কবিরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
আছমা আরা জাহান বলেন, গেল ঈদ ও সামনে শারদীয় দুর্গোৎসব সামনে রেখে মহাপরিকল্পনা করে কাজ করে চক্রটি। একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও নিজেকে শোধরাননি হুমায়ূন। জেলখানায় গিয়েও তৈরি করেন নতুন নেটওয়ার্ক। প্রতি মাসে ৬০ লাখ টাকার নকল নোট সারা দেশে ছড়িয়ে দিত চক্রটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ বলেন, অবৈধভাবে কেউ জাল টাকা তৈরি করতে চাইলে কেউ রেহায় পাবে না। সব কিছু আমরা নজরদারিতে রেখেছি।
গ্রেপ্তার হুমায়ূনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, হুমায়ূনের অনেক নিয়ন্ত্রক রয়েছে, বিশেষ করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। কেউ কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ আবার কেউ টঙ্গী এলাকায় থাকে। আবার ঢাকার বাইরেও অনেককে দিয়ে থাকে এ জাল টাকা। আবার যখন প্রচণ্ড ভিড় হয়ে থাকে ব্যাংকে, সেই ফাঁকা (তার কথামতো) ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে সেখানেও এ জাল টাকা দিয়ে মানুষকে অর্থনৈকিত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এদিকে ধরতে ও নকল টাকা কারবারিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
কেএম/এসএন