সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজট দেখা গেছে। আর এই যানজটে পড়ে কর্মরত মানুষসহ সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করছেন।চলাচলরতদের অভিযোগ, রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ কাজে বের হলেই যানজটে শিকার হতে হয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যানজটের এসব চিত্র ছিল চোখে পড়ে।
সবচেয়ে বেশি যানজট দেখা গেছে, রাজধানীর উত্তরা, মিরপুর, মহাখালী, বনানী, কুড়িল বিশ্বরোড, বাড্ডা, মালিবাগ, মতিঝিল সচিবালয় রোড়, শাহবাগ, গুলশানসহ বিভিন্ন জায়গায়।
ট্রাফিক পুলিশ বলছে, হঠাৎ কয়েক মাস ধরে রাজধানীতে যানজট বেড়ে গেছে। তাদের দাবি, প্রায় প্রায়ই রাস্তায় বিদ্যুৎ, ওয়াসা এবং সিটি করপোরেশনের কাজ চলছে যার কারণে যানজটের পরিমাণ বেড়েছে।
কারওয়ান বাজারে কথা হয় মিরপুরের যাত্রী আক্তার হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, রাস্তায় কোনোভাবেই চলাচল করা যাচ্ছে না, প্রতিদিন যানজটে পড়তে হচ্ছে।
শাহবাগ মোড়ে কথা হয়, সদরঘাটের যাত্রী জামানের সঙ্গে। জামান বলেন, এমনিতে আমি অসুস্থ এবং যানজটে পড়ে আরও অস্বস্তিতে ভুগছি।
বাংলামোটর মোড় পুলিশ বক্সের সামনে কথা হয়, মিরপুরের যাত্রী শিমুল বিশ্বাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'ঢাকা শহরের যানজট কখনো যাবে না। আমাদের কষ্ট থেকেই যাবে।'
শাহবাগ মোড়ে কথা হয় উত্তরার যাত্রী মামুন হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিদিন বাসা থেকে বের হয়ে যুদ্ধ করতে হয়। ঢাকা শহরের যানজট কখনো সমাধান হবে না। ঢাকাকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা দরকার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার (ট্রাফিক প্রধান) মনিবুর রহমান বলেন, রাস্তায় প্রতিদিনের যানজট হচ্ছে আর যানজট নিরসনে আমাদের ট্রাফিক পুলিশ বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করছে। যে সমস্ত এলাকায় যানজট বেশি হয় সেখানে আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা কাজ করে কিন্তু এরপরও যানজট যাচ্ছে না।
আসলেই ঢাকায় প্রতিদিনই যানজট হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যানজট নিরসনের সরকারিভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তাহলে যানজট কিছুটা কমে আসবে। তা ছাড়া সিটি করপোরেশন ও ওয়াসা যে সমস্ত এলাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করে রাখে সেসব জায়গায় দূরত্ব কাজ সম্পন্ন করতে হবে এতে করে যানজটও কম হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে কোনো এলাকার মূল সড়ক বন্ধ থাকলে সারা ঢাকাতে যানজট লেগে যায় কারণ ওই সড়কের সঙ্গে প্রত্যেকটা সড়ক যুক্ত।
কেএম/এমএমএ/