ডেঙ্গু: ডিএনসিসির কন্ট্রোল রুম চালু
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নগরবাসীকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার স্থান এবং ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য বা ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেকোনো অভিযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কন্ট্রোলরুমে সাতটি মোবাইল নম্বর আছে। নগরবাসী এ সব নম্বরে ফোন করে এই সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং যেকোনো পরামর্শ নিতে পারবেন। নম্বরগুলো হলো— ০১৭৬৯১০০৬৮০, ০১৭১৬৫০৬২৫৮, ০১৭১৫২৩৮৭৫৪, ০১৭১৫৪৫৬৬৯৮, ০১৭৫৬২০৯৪৮২, ০১৭১৬৩৯৮৮৮৬ এবং ০১৭৩৫৮৪৩৬৯৩।
এ ছাড়া শহরের বাসা-বাড়ির ছাদের বাগান, ছাদে জমা পানি, চৌবাচ্চা এবং বৃষ্টির পানি বা পরিষ্কার পানি জমতে পারে এধরনের স্থান ও পাত্র সার্ভে করা এবং অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও মশার প্রজননক্ষেত্র রয়েছে কিনা সেটি দেখতে ড্রোন ব্যবহার করছে ডিএনসিসি। অত্যাধুনিক ড্রোনের সাহায্যে সেগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি বাড়ির ছাদে না উঠেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে মশার উৎস সম্পর্কে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন সকালে রাজধানীর উত্তরা সেক্টর-৪ এলাকায় ড্রোন সার্ভে কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ২ জুলাই থেকে ১১ জুলাই ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন প্রতিটি বাসা বাড়ির ছাদে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন। বিদ্যমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিবেচনায় ২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।
শনিবার (১৬ জুলাই) পর্যন্ত চলা এই ড্রোন সার্ভে কার্যক্রমের মাধ্যমে মোট ৭৭৮৬টি বাড়ির ছাদ, ১৩৪৩টি ছাদ বাগানে ড্রোন সার্ভে করা হয়। এর মধ্যে ২২৮টি ছাদে জমা পানি পাওয়া যায় এবং পাঁচটি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা শনাক্ত করা হয়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং লার্ভা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ির ছাদে এই ড্রোন সার্ভে চলমান থাকবে।
এ ছাড়াও ওয়াসার পানির মিটার এবং এজাতীয় অন্যান্য স্থানে প্রতিমাসে প্রথম সপ্তাহে দানাদার কীটনাশক নোভালুরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। মশার প্রজনন স্থান হিসেবে চিহ্নিত সব নালা, নর্দমা এবং জলাশয়ে নিয়মিত গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে।
এদিকে, নির্মাণাধীন ভবনে নিয়মিত লার্ভিসাইডিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভবন মালিক এবং নির্মাণ শ্রমিকদের জমে থাকা পানিতে কেরোসিন তেল প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
নগরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলে মাইকের সাহায্যে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করা হচ্ছে এবং বার্তা সম্বলিত লিফলেট ও স্টিকার বিতরণ করা হচ্ছে। বাসা বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরইউ/আরএ/