ট্রেনে নির্বিঘ্নে ফিরছেন রাজধানীবাসী
ঈদ আনন্দের ইতি টেনে জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। যাদের বেশিরভাগেরই নাড়ি পোঁতা গ্রামের বাড়িতে। শিকড় থেকে দূরে রাজধানীতে কর্মস্থলের উদ্দেশে সাধারণ মানুষের কেউ ফিরছেন সড়ক পথে, কেউ নৌপথে, আবার কেউ ট্রেনে চড়ে।
তুলনামূলক রেলভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ায় অনেকই চান অন্তত ঈদযাত্রাটা রেলে করতে। অন্যবারের তুলনায় এবারের ঈদুল আজহায় রেলভ্রমণ অনেক ভালো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঈদের আগে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় কষ্ট হলেও রাজধানীতে নির্বিঘ্নেই ফিরছে মানুষ।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে ফিরে আসা ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপও লক্ষ্য করা যায়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার ছুটি শুরু হয়েছে একসঙ্গে। তাই যাওয়ার সময় যাত্রী একসঙ্গে চাপ দিয়েছে। তবে ফেরার সময় অফিস - ব্যবসার প্রয়োজনে কেউ আসছেন, কিন্তু অনেকে বাচ্চার স্কুল আরও পরে খুলবে, আবার গার্মেন্টস বন্ধ থাকবে আগামী ১৭-১৮ জুলাই পর্যন্ত। তাই অনেক পরিবার যতটা সম্ভব বেশি দিন গ্রামে থেকেই ঢাকায় ফিরবে। সবমিলে মানুষ আগে-পরে ঢাকায় ফিরছে বলে ফেরাটাও নির্বিঘ্নে হচ্ছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায় রাজশাহী থেকে আসা ধুমকেতু এক্সপ্রেস। যাত্রীদের একজন আনিসুর রহমান ঢাকাপ্রকাশকে বললেন, খুব আরামে ঢাকায় ফিরলাম। আজই অফিসে জয়েন করব। ট্রেনের শিডিউল ঠিক থাকবে জানলে পরিবার নিয়েই আসতাম। ভাবলাম ট্রেনের শিডিউলে ঝামেলা হলে বউ-বাচ্চাকে বাসায় রেখে আবার অফিসে পৌঁছাতে পারব কি না। আমরা চাই ট্রেনের শিডিউল যেন সবসময় এরকম ঠিক থাকে।
সকাল ৭টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায় সিলেট থেকে আসা উপবন এক্সপ্রেস। ঢাকায় ফেরা রেলযাত্রী মোহাম্মদ মহসিন বললেন, আমি ভৈরব থেকে উঠেছি। সেখানে ১৪ মিনিট দেরিতে পৌঁছেছিল ট্রেন। বাকি সব ঠিক ছিল। তবে ঈদের আগের চেয়ে পরের শিডিউল অনেক ভালো।
একই ট্রেনে সিলেট থেকে ফিরলেন তাহমিদা সুফিয়ান। বললেন, গাড়িটি রাত সাড়ে ১২টায় সিলেট থেকে ছেড়েছে। বাচ্চাদের নিয়ে ভালোয় ভালোয় ঢাকায় পৌঁছেছি। সঙ্গে শ্বশুর-শাশুড়ি আছেন। বয়স্ক মানুষ ও বাচ্চাদের নিয়ে বেরিয়েছি, ঈদের সময়, চিন্তায় ছিলাম, তবে কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। ট্রেনসার্ভিস সবসময় এমন থাকলে ফ্যামিলি নিয়ে মুভ করা যায়।
সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসে সিরাজগঞ্জ থেকে ট্রেনে ঢাকায় আসা আলমগীর নামে এক যাত্রী বলেন, যেহেতু অফিস শুরু হয়েছে তাই চলে এলাম। ঈদের ছুটি শেষে কিছুটা আরামেই ঢাকায় এসেছি। ট্রেনের মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রী চাপ ছিল না। স্বাভাবিক সময়ের মতোই মনে হয়েছে আজ। যাত্রাপথে বড় কোনো সমস্যা হয়নি। আমাদের ট্রেন যথাসময়েই সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকা এসেছে।
কিশোরগঞ্জ থেকে এগারসিন্দুর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে সকাল ৭টায় ছেড়ে এসে নির্দিষ্ট সময়ে কমলাপুর এসেছে বলে জানান যাত্রী মো. শাহনুর। তিনি বলেন, আমি সোনালী ব্যাংকে চাকরি করি। ছুটি শেষে আবার ফিরে এসেছি অফিস করতে। ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় নেই। অনেকটা আরামেই ঢাকা এলাম। যদিও গিয়েছি অনেক কষ্ট করে।
এমএ/এসএন