ঈদের দ্বিতীয় দিনে হাতিরঝিলে ভিড়
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন সোমবার (১১ জুলাই) দর্শনার্থীদের ভিড় বেড়েছে রাজধানীর হাতিরঝিলে। গতকাল রবিবার (১০ জুলাই) ঈদের দিনের চেয়ে সোমবার দর্শনার্থীদে ভিড় অনেক বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
সোমবার বিকালে রোদের তেজ কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। দর্শনার্থীদের কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, আবার কেউ বন্ধু–বান্ধব মিলে এসেছেন প্রকৃতি উপভোগ করতে। যুগলরাও এসেছেন নিজেদের মতো করে ম্যাচিং সাজে।
দর্শনার্থীদের কেউ ঝিলকে পেছনে রেখে, কেউ বা ঝিলের উপরের দৃষ্টি নন্দন সেতুকে পেছনে রেখে তুলছেন সেল্ফি। আবার কেউ এফডিসি গেটের কাছে হাতির ঝিল সড়কে ঢুকতেই হাতির ভাস্কর্য দেখে তার সঙ্গে ছবি তুলছেন। কিশোরদের অনেকে ভাস্কর্য হাতির পিঠে চড়ে বসতে দেখা গেছে। আবার অনেক অভিভাবক শিশুকে হাতির পিঠে বসিয়ে দিয়ে ছবি তুলছেন।
বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি আরও বাড়তে দেখা গেছে। উপস্থিত দর্শনার্থীদের একজন শাহিদা খালেক ঢাকাপ্রকাশ-কে বললেন, গতকাল ঈদের দিন কোরবানির মাংস বিতরণ ও সংরক্ষণ করতে করতে আর সময় হয়নি। তাই আজ বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে আসলাম। অনেক ভালো লাগছে।
রাজধানীর খিলগাঁও থেকে হাতিরঝিলে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে আসা একদল তরুণের মধ্যে রয়েছেন আহসান আজাদ। তিনি বলেন আমাদের খিলগাঁও এলাকায় তো বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। সেখানে রাস্তার পাশ জুড়ে আছে কেবল খাবারের দোকান। তাই এখানে ঘুরতে আসলাম। অনেক মজা করছি আমরা। অনেক রাত পর্যন্ত থাকব এখানে।
নিউমার্কেট এলাকা থেকে আসা গৃহিনী তামান্না আক্তার বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ জুলাই) ঈদের মেহমান আসবে বাসায়। আগামীকাল তো সুযোগ হবে না। তাই আজ একটু ঘুরতে বের হলাম। ভীষণ ভালো লাগছে। আর আবহাওয়াটাও খুব ভালো, বৃষ্টি নেই। সেজন্যে আরও ভালো লাগছে।
সাথে থাকা তার স্বামী খায়রুল ইসলাম বললেন, অবশ্য রাতে যেন বৃষ্টি নামে, তাহলে ভালো হবে। তাতে শহরের বিভিন্ন জায়গায় কোরবানির পশুর রক্ত শুকিয়ে যে গন্ধ হচ্ছে, তা অনেকখানি কমে যাবে।
এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদের প্রথম দিন থেকে তৃতীয় দিন পর্যন্ত যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকবে বলে হাতির ঝিলের এফডিসি ঘাটে নোটিশ টানানো হয়েছে। এই তিন দিনের জন্য ‘আনন্দ নৌ ভ্রমণ প্যাকেজ’ ঘোষণা করে নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়েছে, ‘আসা-যাওয়ার টিকিটসহ হাতিরঝিলে ৩০ মিনিট ভ্রমন জনপ্রতি ভাড়া ৮০ টাকা। শিশুর বয়স তিন বছরের বেশি হলে শিশুর টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।’
এমএ/এএস