ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি
ঈদ আসলে শহর ছেড়ে মানুষ ছুটে যায় গ্রামে। যত বাধাবিপত্তি, ভোগান্তি থাকুক না কেন মানুষ সকল কষ্টকে সঙ্গি করেই পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসব করতে গ্রামে ছুটে যায়। এই ঈদেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
শনিবার (৯ জুলাই) ঈদের আগের দিনেও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকার সবকটি বাস টার্মিনালে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সবাই ছুটছেন গ্রামের পথে।
ঈদের ছুটি বেশ আগে শুরু হলেও শুক্রবার (৮ জুলাই) ও আজ শনিবার রেল স্টেশন ও বাস টার্মিনালগুলোতে ভিড় সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে। কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, প্লাটফর্ম জুড়ে যাত্রীদের উপস্থিতি আছে, তবে তেমন ভিড় নেই৷ ট্রেনগুলো প্রায় প্রত্যেকটিই নির্ধারিত সময়ে কমলাপুর ছেড়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী প্রায় সবক’টি ট্রেনের শিডিউল ভেঙ্গে পড়েছে। একই অবস্থা খুলনা অভিমুখি ট্রেনগুলোর। এই রুটেও বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
নীলফামারীগামী ট্রেন নীলসাগর এক্সপ্রেসের কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে মেটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যেতে পারেনি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ট্রেনটি কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার নতুন সময় নির্ধারণ করেছেন শনিবার বিকাল তিনটা ১০ মিনিট।
একই অবস্থা খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের। সকাল সোয়া আটটায় ট্রেনটি ছাড়ার নির্ধারিত সময় থাকলেও এটি কমলাপুর ছেড়েছে দুপুরের পর।
এদিকে ট্রেনের শিডিউল ভেঙে পড়ার কারণে গতকাল রাত থেকেই উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা রেল স্টেশনে অপেক্সা করছেন নির্দিষ্ট গন্তব্যের ট্রেনের জন্য। কিন্তু শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে তিন থেকে চার ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে যাচ্ছে। তাই লম্বা সময় ধরে স্টেশনেই সময় পার করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘আজ সব ট্রেন শিডিউল অনুযায়ী চলছে না ৷ উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোতে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে ৷ তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটের ট্রেনগুলো মোটামুটি শিডিউল অনুযায়ী চলছে ৷'
এনএইচবি/এমএমএ/