চিরচেনা রুপে ফিরেছে সদরঘাট
চিরচেনা রুপে ফিরতে শুরু করেছে সদরঘাট (ঢাকা নদী বন্দর)। ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চগুলোতে দেখা যাচ্ছে আগের মতো ভিড়। সদরঘাটে শুরু হয়েছে যাত্রী তোলার জন্য হাক-ডাক। লঞ্চের টিকেট পেতে চলছে দৌড়ঝাঁপ-ধাক্কাধাক্কি। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) অফিস ছুটির পর দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চযাত্রীদের ভিড়ে সদরঘাট ফিরে পেয়েছে চিরচেনা রুপ।
২৬ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর বদলে যায় সদরঘাটের চিত্র। সড়কপথে অনেকে বাড়ি ফেরায় নৌপথে লঞ্চগুলো আসন ফাকা রেখেছি চলছিল। যাত্রীদের নানান সুবিধা দিয়েও যাত্রী পাচ্ছিল না লঞ্চগুলো। অবশেষে কেটেছে সেই খড়া। লঞ্চে আসতে শুরু করেছে যাত্রীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সদরঘাট ও লঞ্চ টার্মিনালে দেখা যায় যাত্রীদের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে সদরঘাটে।
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী নিয়ে সদরঘাট ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। আগামী কয়েকদিন ঈদ উপলক্ষে এমন যাত্রী চাপ থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে ঢাকা-বরিশাল রুটে থাকছে স্পেশাল লঞ্চ সার্ভিস। নির্ধারিত ট্রিপের অতিরিক্ত হিসেবে আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) ভোর ৬টা ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে সুরভী-৮। আর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বিলাসবহুল ১০টি বড় লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরিশাল যাবে।
একাধিক লঞ্চের টিকেট কাউন্টার ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, ডেকে ভিড় বেশি, মধ্যম আয়ের মানুষেরা ডেকে যাচ্ছেন। কেবিনগুলো পরিপূর্ণ হতে শুরু করেছে। এখনও আগের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি।
পরিবার নিয়ে বরিশাল যাচ্ছেন সুমন হাসান। ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, লঞ্চে যাওয়াই আরামদায়ক। অফিস ছুটি হয়ছে তাই এসেই লঞ্চ পেলাম।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ঈদে মানুষের বাড়ি ফেরা আরামদায়ক করতে ১৫০টির বেশি লঞ্চ প্রস্তুত আছে। গতকাল বিকালে ৫০টি লঞ্চ বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। আর ৭০টি লঞ্চ প্রস্তুত আছে যাত্রী নিতে। যাত্রীদের চাপ থাকলেও যাত্রীদের জন্য লঞ্চ সংকট হবে না। লঞ্চ যাত্রা সুন্দর ও আরামদায়ক করতে আমরা প্রস্তুতি রয়েছি।
এসআইএইচ