অগ্রীম টিকিটেও যাত্রী পাচ্ছে না লঞ্চ
দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ঈদ যাত্রায় বাড়ি ফেরার অন্যতম মাধ্যম লঞ্চ। অন্যান্য সময়ে উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এবার ফাঁকা সদরঘাট।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার প্রভাব পড়েছে সদরঘাটে ফলে ঈদ যাত্রার জন্য লঞ্চের অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও আগ্রহ নেই যাত্রীদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কারণেই লঞ্চের টিকেটে আগ্রহ নেই, বেশিরভাগ যাত্রীই এবার সড়কপথে বাড়ি যাচ্ছেন।
একাধিক লঞ্চমালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় লঞ্চের যাত্রীরা এবার সড়কপথে ঈদযাত্রা করতে পারেন এই ভাবনায় ঈদে আনুষ্ঠানিকভাবে অগ্রীম টিকিট ছাড়ার অপেক্ষা করেননি লঞ্চ মালিকরা।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে থেকেই অনেক লঞ্চ অগ্রীম টিকিট দেওয়া শুরু করে, বাকিরা উদ্বোধনের পরে টিকিট দেওয়া শুরু করেছে।
তবে অগ্রীম টিকেট দিয়েও সুফল পাচ্ছে না লঞ্চমালিকরা। অন্যান্য বার লঞ্চের টিকেটের জন্য যাত্রীরা যখন হন্য হয়ে ঘুরতেন কাউন্টার থেকে কাউন্টার এবার যেন কাউন্টারই অপেক্ষা করে যাত্রীর জন্য। হাক ডাক করেও যাত্রী যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে লঞ্চগুলো। নেই যাত্রীর চাপ তাই বন্ধ টিকিট কালোবাজারি। অবশ্য গার্মেন্টস ছুটি হলে লঞ্চে যাত্রীর চাপ বাড়নে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এমভি সুন্দরবন লঞ্চ কাউন্টার ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, আগের মতো যাত্রীর চাপ নেই। অন্যান্য বার অনেক চাপ থাকে এবার সে রকম কোনো চাপ নেই। আশা করি গার্মেন্টস ছুটি হলে চাপ বাড়বে।
মানামি লঞ্চের সুপারভাইজার মো. ফারুক মিয়া বলেন, 'পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় এবার লঞ্চে যাত্রীর চাপ নেই। কেবিনগুলো ফাঁকা যাচ্ছে ডেকেও যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
সুন্দরবন নেভিগেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থার সিনিয়র সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, 'পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে এবার যাত্রী কমেছে। আমরা গত মাসের ২০ তারিখ থেকেই অগ্রীম টিকিট দিচ্ছি টিকেট বিক্রি আশানুরুপ নয়।'
লঞ্চমালিক সমিতির মহাসচিব শহীদুল ইসলাম ভূইঞা বলেন, 'এত কম চাহিদা আসলে কখনো দেখিনি। সেতু চালু হওয়ায় এই প্রভাব। টিকিটের চাহিদা একেবারেই কম। ৭ তারিখের আগে কেউ টিকিট নিচ্ছে না।'
বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, 'আমরা অগ্রীম টিকিট দেওয়া শুরু করেছি কিন্তু যাত্রীর চাপ কিছুটা কম। আশা করি চাপ বাড়বে। এবার ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে দুইটি বিলাসবহুল নতুন লঞ্চ আসছে। আশা করছি হুট করে চাপ বাড়লেও কোনো সমস্যা হবে না।’
এমএমএ/