রাজধানীর হাটগুলোতে আসছে পশু, শুরু হয়নি বিক্রি
রাজধানী কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। তবে কেনাবেচা এখনো শুরু হয়নি। যদিও ইজারার শর্ত অনুযায়ী হাট শুরু হওয়ার কথা ঈদের তিনদিন আগে থেকে। বিক্রেতারা বলছেন, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) থেকে কেনাবেচা শুরু হবে। আর ক্রেতারা বলছেন, এত আগে পশু কিনে রাখার জায়গা নাই। তাই তারা ঈদের একদিন বা দুইদিন আগে পশু কিনবেন।
ঝিনাইদহ থেকে বেপারি নজরুল রাজধানীর শাহজাহানপুর হাটে ১০টি গরু নিয়ে এসেছেন। এসব গরুর সর্বনিম্নদাম ৮০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। নজরুল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এত আগে গরু নিয়ে এসেছি কারণ দেরি করলে হাটে জায়গা পাওয়া যায় না। রাস্তাও জ্যাম হয়ে যায়। গরুগুলোরও বিশ্রাম হয়না।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল বলেন, এত আগে কেনাবেচা হয় না। আশা করছি বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি শুরু হবে। এবারে নানা কারণে গরুর দাম বেশি বলে জানালেন তিনি। এর অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, গোখাদ্যের দাম বেশি। এছাড়া পরিবহন ভাড়াও অনেক বেশি। রাস্তাতে অপ্রত্যাশিত কিছু খরচও আছে। এসব মিলিয়ে পশুর দাম এবার বেশি।
তবে অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, প্রথমে পশুর দাম বেশি থাকলেও যেবছর সরবরাহ বেশি থাকে সে বছর শেষ পর্যন্ত দাম পড়ে যায়। ফলে আবার পরিবহন ভাড়া করে এলাকায় পশু নিয়ে যাওয়ার চেয়ে লসে বিক্রি করে দেন। নজরুলও তাই বললেন। গতবার ঈদেও তিনি ১০টি গরু নিয়ে এসেছিলেন শাহজাহানপুর হাটেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দাম পড়ে গিয়েছিল। তাই ১০টি গরুতে ২ লাখ টাকা লস দিতে হয়েছিল তাকে।
শাহজাহানপুর হাটে কথা হয় আবিদুর রহিমের সঙ্গে। তিনি জানান, শাহজাহানপুরেই বাড়ি। মূলত গরু দেখতে এসেছেন। কিনবেন আরও পরে। যেহেতু গরু কিনে রাখার জায়গা নাই তাই পরে কিনবেন। কুষ্টিয়া থেকে আফতাবনগর হাটে ৫টি গরু নিয়ে এসেছেন আবদুল হান্নান। তিনি অবশ্য কিছুটা হতাশ হয়ে বললেন, দুইদিন ধরে বসে আছি। কোন বেচাকেনা নাই। লোকজন আসে, দেখে চলে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে হান্নান বলেন, এটা ঠিক যে গত ঈদেও এত আগে বিক্রি শুরু হয়েছিল না। একদিন বা দুইদিন আগে থেকেই বিক্রি শুরু হয়। হাটে পশু আসছে। অন্যদিকে হাটের প্রস্তুতিও শেষ হয়নি এখনো। শাহজাহানপুর হাটে গিয়ে দেখা গেল অনেক শেডে বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহৃত সামিয়ানা টাঙানো হয়নি। হাসিলঘরও প্রস্তুত হয়নি। ডেকোরেশন চলছে।
তবে গতবারের মতো এবার পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ব্যবস্থা তেমন চোখে পড়েনি। হাতধোয়ার ব্যবস্থা বা হাট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যে মাস্কের ব্যবস্থা ছিল এবার চোখে পড়ল না। শাহজাহানপুর হাটের ইজাদার প্রতিনিধি অনিক ঢাকাপ্রকাশ-কে এ ব্যপারে বলেন, এখনো প্রস্তুতি চলছে। পুরোদমে হাট শুরু হলে এসব ব্যবস্থা থাকবে। ইজারার শর্তেও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি উল্লেখ আছে। সেগুলো মেনেই ইজারা নেওয়া হয়েছে।
এএজেড