পুনাক সভানেত্রীর উদ্যোগ
শাহজালালের চিকিৎসা শেষে ঠাঁই পুর্নবাসনে
শাহজালাল, সত্তরোর্ধ এক বৃদ্ধ। অজ্ঞাত পরিচয় এ বৃদ্ধ পাঁচ দিন পড়েছিলেন যশোর শহরের রেলগেট এলাকায়, সড়কের পাশের ফুটপাতে। শরীরে পচন ধরেছে, দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। বৃদ্ধের করুণ কাহিনী খবর হয়ে উঠে আসে পত্রিকার পাতায় গত বছরের ২১ নভেম্বর।
বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জার নজরে আসে এ খবর। তিনি বৃদ্ধের খোঁজ নিতে যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে অনুরোধ জানান। পুলিশ সুপার মৃত্যুপথযাত্রী বৃদ্ধকে উদ্ধারে উদ্যোগ নেন। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। পরে পুনাক সভানেত্রীর ব্যবস্থাপনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয় তাকে।
পুনাক সভানেত্রীর উদ্যোগে ওই বৃদ্ধকে প্রথমে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে। তার পরিচর্যার জন্য রাখা হয় আলাদা একজন লোক। পরে তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। সেখানে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে শাহজালালের অবস্থা বর্তমানে উন্নতির দিকে।
শাহজালাল ফিরতে চায় পরিবারের কাছে। কিন্তু তিনি তার ঠিকানা মনে করতে পারছেন না। পুনাক সভানেত্রীর উদ্যোগে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে শাহজালালকে পুর্নবাসনের জন্য গতকাল রোববার বিকালে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মিরপুর সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে হস্তান্তর করা হয়।
পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা, পুনাক নেতৃবৃন্দ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ এবং সমাজ সেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। শাহজালালের জন্য নানা ধরনের মিষ্টি এবং অন্যান্য উপহার সামগ্রী নিয়ে যান পুনাক সভানেত্রী।
উল্লেখ্য, পুনাক বাংলাদেশ পুলিশ পরিবারের একটি কল্যাণমূলক সংগঠন হলেও বর্তমান সভানেত্রী জীশান মীর্জার মানবিক উদ্যোগে নিজস্ব বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে আজ অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের আশারস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
কেএম/এএজেড