সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও এক দমকলকর্মীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে দগ্ধ দমকলকর্মী গাউসুল আজম মারা গেছেন। এ নিয়ে সীতাকুণ্ড বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৪৬ জন।
রবিবার (১২ জুন) ভোরে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। সকালে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গাউসুল আজম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার ভোরে মারা গেছেন। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আমাদের ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজম রাত ৩টার সময় শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ৪ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। রাত ১০টার পর আগুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ১১টার দিকে দাহ্য পদার্থ থাকা বেশ কয়েকটি কনটেইনার বিস্ফোরিত হয়। রাত ১২টার পর থেকে আসতে থাকে মৃত্যুর খবর। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৪৬ জনের মধ্যে ২৭ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। এসব মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনও ১৯ জনের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের মধ্যে এখনও ৯৯ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়া আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতাল, আগ্রাবাদ মা-শিশু হাসপাতাল, পার্কভিউ হসপিটালসহ ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটেও ভর্তি অনেকে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এসএন