সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বেছে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা উচিত: পিটার হাস
বাংলাদেশের জনগণের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী পরিচালিত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নিজস্ব সরকার বেছে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। মঙ্গলবার (২৪ মে) ওয়ার্ল্ড প্রেস ফিডম ডে উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পিটার হাস একথা জানান।
সাংবাদিকরা প্রতিদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও তারা নির্বাচনে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মন্তব্য করে পিটার হাস বলেন, আমরা সকলেই এখানে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কিত সংবাদ প্রতিবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে দেখছি।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) খসড়া ‘ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্মের জন্য রেগুলেশন’ এবং খসড়া ‘ডেটা সুরক্ষা আইন’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন জানিয়ে পিটার হাস বলেন, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্সের প্রতিবেদনেও বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইনগুলির মধ্যে একটি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ডিটিজাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে আমাদের উদ্বেগগুলি পরিষ্কার করেছে জানিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, এই আইন সাংবাদিকদেরকে ফৌজদারি বিচারের হুমকি দেয় যদি তারা এমন কিছু প্রকাশ করে যা সরকারকে ‘মিথ্যা, আপত্তিকর, অবমাননাকর’ বা ‘মানহানিকর’ বলে মনে হয়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, যদিও কোনটিরই খসড়া চূড়ান্ত করা হয়নি, আমরা আশঙ্কা করি যে এতে এমন বিধান রয়েছে যা সাংবাদিকদের এবং নিজেদের প্রকাশ করতে আগ্রহী অন্যদের ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। পিটার হাস বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ধারণাটিকে এত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেছিলেন যে এটি আমাদের বিল অব রাইটসে প্রথম সংশোধনী হয়ে ওঠে। অবশ্যই এর অর্থ এই নয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুক্ত সংবাদপত্র থাকার ক্ষেত্রে নিখুঁত।
সাম্প্রতিক রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৮০টি দেশের মধ্যে ৪২তম স্থানে রয়েছে উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, হ্যাঁ, এটি শীর্ষ ২৫ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। তবে এটি শীর্ষ থেকে অনেক দূরে। সত্যি বলতে কি, যুক্তরাষ্ট্রকে আরও ভালো করতে হবে। একই ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ১৬২তম স্থান দিয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ কমেছে বলে উল্লেখ করেন পিটার হাস।
আরইউ/এএজেড