শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৪ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ডিএনসিসির খাল থেকে ৭৯ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ

ঢাকা উত্তর সিটি কর্রপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে এ এলাতার খালগুলো থেকে ৭৯ হাজার মেট্রিক টনের বেশি ক্ষতিকর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানের নগর ভবনে নিজ কার্যালয়ে ডিএনসিসির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম একথা জানান।

ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরমধ্যে চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসেই খালগুলো থেকে প্রায় ৬৯ হাজার ২ শত ৩৮ মেট্রিক টন ভাসমান বর্জ্য এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য আরও প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন স্লাজ অপসারণ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে যেসব খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে সেসব খালের পানি প্রবাহও বৃদ্ধি পেয়েছে। খালগুলো পরিষ্কারকরণের ফলেই গত বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জলজট ও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান মেয়র।

অপরিকল্পিত ঢাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়াল না থাকার কারণে অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের পানিসহ সার্বিক পরিবেশ দূষিত হচ্ছে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, তাই নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়াল স্থাপনপূর্বক পরিশোধন ব্যবস্থা সচল রাখতে হবে।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

আরইউ/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

জিজ্ঞাসাবাদের পর শাওন ও সোহানা সাবাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবা। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক হওয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাওন ও সাবাকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।"

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার হোটেল পার্কে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শাওন। সেই সভায় তার নাম উঠে আসার পর থেকেই তিনি গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

একইদিন সন্ধ্যায় জামালপুরের নরুন্দি রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় শাওনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।

পরে শুক্রবার রাতে ধানমন্ডি থেকে সোহানা সাবাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শাওন ও সাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া, আওয়ামী লীগপন্থি শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন সোহানা সাবা, যা তদন্তের অংশ হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে।

তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ‘হাত-পা বেঁধে’ ফেরত, তোপের মুখে মোদি সরকার

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ‘হাত-পা বেঁধে’ ফেরত, তোপের মুখে মোদি সরকার । ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর সময় অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের হাতকড়া ও পায়ে শিকল পরানোর অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০৪ জন ভারতীয়কে সামরিক পণ্যবাহী বিমানে করে দেশে ফেরত পাঠানো হয় এবং তাদের নামানো হয় অমৃতসর বিমানবন্দরে। তবে যাত্রাপথে অভিবাসীদের হাত-পা বাঁধার ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন অভিবাসীর পায়ে শিকল পরানো রয়েছে। যদিও ভিডিওটির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

দেশে ফেরত আসা অভিবাসীরা গণমাধ্যমকে জানান, তাদের প্রতি অবমাননাকর আচরণ করা হয়েছে। এক ভুক্তভোগী বলেন, "আমাদের হাত-পা বেঁধে বন্দিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হঠাৎ জানানো হয় যে আমাদের ভারতে পাঠানো হচ্ছে। দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টার যাত্রার পর অমৃতসরে নামানোর পরই আমাদের হাতকড়া ও শিকল খোলা হয়।"

অন্য এক ব্যক্তি বলেন, "শিশুদের ছাড়া নারীসহ সবাইকে হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। খাবার বা ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগও ঠিকভাবে দেওয়া হয়নি।"

এমন ঘটনায় ভারতের বিরোধী দলগুলো পার্লামেন্টে আলোচনা চাইলেও তা নাকচ করা হয়। এর প্রতিবাদে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীসহ বিরোধী দলের নেতারা পার্লামেন্ট চত্বরে বিক্ষোভ করেন।

বিরোধীদের চাপের মুখে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, "বিমানে নিরাপত্তার স্বার্থে অভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাতকড়া ও পায়ে বেড়ি পরানো হয়। শুধু ভারতীয়দেরই নয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানো অন্যান্য দেশের নাগরিকদেরও একইভাবে আনা হয়।"

তবে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, ভারত সরকার এই অবমাননাকর আচরণের নিন্দাও জানায়নি। তারা প্রশ্ন তুলেছে, কেন কলম্বিয়া সরকারের মতো ভারত নিজস্ব বিমান পাঠিয়ে নাগরিকদের সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে আনেনি। অনেকে মনে করছেন, মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে ভারত সরকার এই ইস্যুতে বিতর্ক এড়াতে চাইছে।

Header Ad
Header Ad

নিজের কেনা বুলডোজারেই গুঁড়িয়ে গেল সাদিক আবদুল্লাহর পারিবারিক বাড়ি

বরিশালে সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে সাবেক চিফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর কালীবাড়ি রোডের পারিবারিক বাসভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর বরিশালে সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের বাসভবন ভাঙার উদ্যোগ নেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে সেনা সদস্যরা হাসানাত আব্দুল্লাহর বাসভবনের প্রবেশপথে অবস্থান নেন।

রাত পৌনে ১২টার দিকে ছাত্র-জনতা সেখানে পৌঁছে। প্রথমে সেনাবাহিনী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও পরে পিছু হটে। এরপর বিক্ষোভকারীরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে বাড়ি ভাঙতে শুরু করে। রাত ১২টার দিকে একটি বুলডোজার এসে পৌঁছালে সেনা সদস্যরা এর চাবি নিয়ে নেয়। তবে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর ছাত্রদের কাছে সেটি ফেরত দেওয়া হয়। পরে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যেই বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, পারিবারিক কোটায় মনোনয়ন পাওয়া এবং বিতর্কিত নির্বাচনে মেয়র হওয়া হাসানাত আব্দুল্লাহর বড় ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্য যে বুলডোজার এনেছিলেন, সেই একই বুলডোজারেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তার পৈতৃক বাড়ি। একইসঙ্গে তার মা সাহান আরা বেগমের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি শিশু পার্কও ধ্বংস করা হয়।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে মেয়র হওয়ার পর সাদিক আবদুল্লাহ নগরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য এই বুলডোজার সংগ্রহ করেছিলেন। যদিও অভিযোগ রয়েছে, এটি মূলত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি ছাত্রলীগের নগর সভাপতি জসিমউদ্দিনও ছিলেন। সবশেষ সেই একই বুলডোজারেই নিজের পারিবারিক বাড়ি এবং মায়ের নামে গড়া পার্ক ভাঙার নজির সৃষ্টি হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিজ্ঞাসাবাদের পর শাওন ও সোহানা সাবাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ‘হাত-পা বেঁধে’ ফেরত, তোপের মুখে মোদি সরকার
নিজের কেনা বুলডোজারেই গুঁড়িয়ে গেল সাদিক আবদুল্লাহর পারিবারিক বাড়ি
‘ছাগলের ঘর’ থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
নতুন রূপে সেজেছে মিরপুর, চিটাগংয়ের প্রথম নাকি বরিশালের দ্বিতীয়
চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে নসিমন কেড়ে নিল মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুর প্রাণ
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচু্রের ঘটনায় ভারতের তীব্র নিন্দা
চুয়াডাঙ্গায় আবারও বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রিতে
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়
নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত
আ.লীগ কর্মীদের বিশেষ ট্রেনিং, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ফোনালাপ ফাঁস!
দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল বিএনপি
আন্তর্জাতিক আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন ট্রাম্প
বনানীতে শেখ সেলিমের বাসায় অগ্নিসংযোগ, বিক্ষুব্ধ জনতার তাণ্ডব
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদকসহ ৭ কিশোর আটক
এবার অভিনেত্রী সোহানা সাবা গ্রেপ্তার, নেওয়া হয়েছে ডিবি কার্যালয়ে
নওগাঁয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়কে গণশৌচাগার ঘোষণা, খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ভাঙচুর
সাবেক সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ