আওয়ামী লীগ নেতা টিপু হত্যা: কিলিং মিশনে অংশ নেয় ২ জন
রাজধানীর শাহজাহানপুরে যানজটে আটকে থাকা প্রাইভেটকারের সামনের সিটে বসা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে এক দুর্বৃত্ত। বেশ কয়েক রাউন্ড এলোপাথাড়ি গুলি করেন তিনি। এরপর রাস্তা পার হয়ে মোটরসাইকেলে আগে থেকেই অবস্থান করা আরেক ব্যক্তির সঙ্গে দ্রুত পালিয়ে যান।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সিসিটিভি ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্য বিশ্লেষণের পর এ তথ্য জানান শাহজাহানপুর থানা পুলিশের বিশেষ একটি টিম।
জানা গেছে, জাহিদুল ইসলাম টিপুকে মোবাইলে কে বা কারা কয়েকদিন আগে হুমকি দিয়েছিল। হুমকি পাওয়ার চার থেকে পাঁচ দিনের মাথায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন তিনি।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু রাজধানীর গুলশানে মিল্কি খুনের ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন। এ ঘটনায় তিনি জেলও খেটেছেন। পরে ওই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার চার্জশিট থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর এ ঘটনায় মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদটিও হারান তিনি।
তবে তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর।
এ জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, ‘শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা মামলায় সব বিষয় মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনাস্থলে ১২টি গুলির খোসা পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে টিপুর মৃত্যু নিশ্চিতের জন্য। সব বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি।
মতিঝিল বিভাগের সবুজবাগ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মনতোষ বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন এবং আসামি গ্রেপ্তারের কাজ চলছে। এ ছাড়া আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
কেএম/আরএ/