মামলা করবে না প্রীতির পরিবার
সামিয়া আরেফিন প্রীতি
রাজধানীর শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আরেফিন প্রীতির পরিবার কোনো মামলা করবে না বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
রাজধানীর মালিবাগ ২১৮ নম্বর পশ্চিম শান্তিবাগের বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন প্রীতি। প্রীতির মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম এবং বাবার নাম জামাল উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর। নিহত প্রীতির মা গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন মর্গের দিকে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ঢাকাপ্রকাশের সঙ্গে কথা বলেন প্রীতির বাবা জামাল উদ্দিন।
প্রীতির বাবা বলেন, প্রীতি গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন ওর বান্ধবী সামিয়ার বাসায় ছিল। রাতে ওর বান্ধবীসহ আমাদের মালিবাগের বাসায় ফেরার সময়, ওর মা বলে বাসায় তোমার মামা-মামি আসছে, তুমি আজ সুমাইয়াদের ওখানেই থাক। পরে ওরা দুইজন শাজাহানপুর থেকে আবার সুমাইয়াদের বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ওরা দুইজন খুব ভালো বন্ধু ছিল সুমাইয়া মাঝেমধ্যে আমাদের বাসায় এসে থাকত। প্রীতিও ওদের বাসায় গিয়ে থাকে। কিন্তু গতকাল কি হলো!
জামাল উদ্দিন বলেন, ১ এপ্রিল প্রীতির একটা চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। আর আজ ওই প্রাইভেট কোম্পানিতে সিভি দিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই প্রীতি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেল।
প্রীতির বাবা বলেন, আমার এক ছেলে সোহায়েব জামাল সামী এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। আর প্রীতি বদরুন্নেসা কলেজ থেকে এইচএসএসি পরীক্ষার্থী ছিল। মেয়েটা লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিল। কিন্তু একটা দুর্ঘটনায় সে লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় কোনো মামলা করবেন কি-না জানতে চাইলে প্রীতির বাবা বলেন, আমি কোনো মামলা-মোকদ্দমায় যাব না। যদি কেউ সাহায্য সহযোগিতা করতে চায় তাহলে করতে পারেন। আমার পারিবারিক অবস্থা খুব বেশি ভালো না। এ ছাড়া মামলা-মোকদ্দমা করে স্থানীয় রাজনীতিতে শত্রু হতে চাই না। আমি মামলা-মোকদ্দমা করে কী করব? আমার মেয়ে তো আর ফিরে আসবে না। এর বিচার আল্লাহর কাছে দিয়ে রাখলাম।
নিহতের দাফনের বিষয়ে তিনি বলেন, মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের পরে শাহজাহানপুর অথবা খিলগাঁও যেকোনো একটি কবরস্থানে মেয়েকে দাফন করা হবে।
কেএম/এসএন