রাজধানীতে ভয়াবহ যানজটে নষ্ট হচ্ছে লাখো মানুষের কর্মঘণ্টা
এক দিকে গরম অন্যদিকে ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার রাজধানীবাসী। ঘেমে নেয়ে একাকার হচ্ছেন গণপরিবহনে চলা মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে নষ্ট হচ্ছে লাখো মানুষের কর্মঘণ্টা।
দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৩৮ ডিগ্রি। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানজটও বেড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে অনেকে বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করছেন। তবে এতে বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্ক ব্যক্তি, নারী, শিশু ও রোগীরা। সোমবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের চিত্র চোখে পড়ার মতো।
রাজধানীতে তীব্র যানজটের কবলে পড়েছেন নগরবাসী। নগরবাসীর অভিযোগ, প্রতিদিন এত যানজট আর ভালো লাগে না।
দেখা গেছে, রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, পান্থপথ, শাহবাগ পল্টন, মহাখালী বাড্ডা গুলশান ও সাতরাস্তাসহ আশেপাশের এলাকায় প্রচণ্ড যানজট। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকাগুলোতে আরও বেশি যানজট লেগে আছে।
দীর্ঘ যানজটের কারণে সকাল থেকেই রাস্তায় গাড়ি যেন থমকে আছে। অনেকে হেঁটেই পৌঁছেছেন গন্তব্যে।
পল্টন এলাকার অফিসগামী রাজন তালুকদার বলেন, ‘আমার বাসা মিরপুরে। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় শুধু গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এজন্য বাংলামোটরে হেঁটে এসেছি।'
সরেজমিনে দেখা যায় স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও যানজট বেশি রয়েছে আজ। তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ জানিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে যানবাহন।
যানজটের কারণে অনেক অফিসগামী মানুষ সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছাতে পারছেন না।
কথা হয় আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডের মোছা. সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাসা খিলগাঁও। সেখান থেকে প্রতিদিন মেয়েকে নিয়ে স্কুলে আসি, আজ রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল।'
কথা হয় এলিফ্যান্ট রোডের পথচারী আবুল কালামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাস্তায় ভয়াবহ যানজট। সকাল থেকে হেঁটে পথ চলছি।’
শাহবাগ মোড়ে কথা হয় আকরাম হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থেকে পায়ে হেঁটে শাহবাগে এসেছি। রাস্তায় ব্যাপক যানজট।’
আজিমপুর ভিকারুন্নেসা নুন স্কুলের সামনে কথা হয় আসমা নামের এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে এসেছি রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।'
উদয়ন স্কুলের ছাত্র মিতু বলেন, ‘মালিবাগ থেকে স্কুল এ এসেছি মায়ের সঙ্গে। সকালে অনেক কষ্ট হয়েছে কারণ রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল। যার কারণে অনেক সময় লেগেছে।’
পল্টন এলাকার অফিসগামী আকবর আলী বলেন, ‘আমার বাসা মিরপুরে। রাস্তার প্রতিটা জায়গায় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে, আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
আজিমপুর বাস স্ট্যান্ডের ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. রাজু আহমেদ বলেন, ‘প্রতিদিনই কমবেশি রাস্তায় যানজট থাকছে। তবে আজ আশেপাশেই স্কুল থাকায় এলাকায় একটু যানজট বেশি।'
কথা হয় গুলশান মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সাদ্দাম হোসেন বলেন, 'সকাল থেকে গুলশানের বিভিন্ন জায়গায় যানজট বেশ মনে হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি।'
এ বিষয়ে কথা হয় এলিফ্যান্ট রোডে ট্রাফিক সার্জেন্ট মইনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, বর্তমানে বৃহস্পতিবার সোমবার ও রবিবার রাস্তায় একটু যানজট বেশি দেখা যায়। তবে এখন কিছুটা যানজট কমছে।
কেএম/টিটি