ঢাকাকে বাঁচাতে পয়ঃবর্জ্যের আলাদা লাইন থাকতেই হবে: মেয়র আতিক

পয়ঃবর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে আমাদের এই প্রাণের শহর, আদরের শহর ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না। তাই আমাদের পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য আলাদা লাইন থাকতেই হবে। কোনোভাবেই পয়ঃবর্জ্য ড্রেনে ফেলা যাবে না।
রবিবার (১৩ মার্চ) নগরভবনে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী চলমান ‘নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনাঃ আমাদের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রথম দিনের অধিবেশনে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, রাজধানী ঢাকার অসংখ্য বাসাবাড়ি এমনকি গুলশান, বনানী ও বারিধারার মতো অভিজাত এলাকার অধিকাংশ ভবনেই কার্যকর সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল না থাকায় অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য সরাসরি ড্রেন কিংবা খালে পতিত হওয়ায় জলাশয়ের জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশও। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই নগরে জল জীববৈচিত্র ফিরিয়ে আনতে চাই।
নগরীর খাল ও জলাধারগুলোতে এমন পানি চাই যেখানে মশার প্রজনন ক্ষেত্র নয় মাছ চাষ করা যাবে মন্তব্য করে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, রাজউক যেন কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থার সংস্থান রেখেই ভবনের নকশার অনুমোদন দেয়। ডেভলপার কোম্পানিগুলোকে ভবন নির্মাণ করার ক্ষেত্রে কার্যকর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, আমি নিজে গিয়ে দেখেছি গুলশানে, বারিধারাতে, বাড়ির মালিকরা প্রত্যেকে বলেন, আমরা তো সংযোগ দিয়ে দিয়েছি। আপনারা কোথায় সংযোগ দিয়েছেন? আপনাদের দেখতে হবে, আপনারা সংযোগ কোথায় দিয়েছেন। দেখা যাবে, সেই সংযোগটি সুয়ারেজে না গিয়ে স্টর্ম সুয়ারেজে গিয়ে পড়েছে।
মেয়র আতিক কাউন্সিলরদের উদ্দেশে নির্দেশনা দিয়ে বলেন, কোনোভাবেই সিটি করপোরেশনের ড্রেনে পয়ঃবর্জ্য ফেলা যাবে না। এই বার্তাটা আপনাদের শহরের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে। এ সময় মন্ত্রী লাউতলা খাল উদ্ধারের প্রসঙ্গ টেনে ডিএনসিসি মেয়রের প্রশংসা করেন।
কর্মশালায় ১৫টি স্টল তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া প্রদশর্ন করে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং ডিএনসিসি মেয়র স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ শেলডন ইয়েট ও ইউনিসেফের ওয়াশ বিভাগের প্রধান জায়েদ জুরজি, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরইউ/আরএ/
