দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচি
দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও সরকারের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল।
রবিবার (৬ মার্চ) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটসংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় বিভিন্ন প্লেকার্ড প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাদের দাবি তুলে ধরেন, 'দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দে, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দে', 'দ্রব্য মূল্য বেশি কেন? অবৈধ প্রধানমন্ত্রী জবাব দাও', 'লুটেরা সিন্ডিকেট নিপাত যাক, জনগন মুক্তিপাক', 'দশ টাকা সের চাল দে, নইলে গদি ছেড়ে দে', 'চাল-ডাল-তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দে, জনসাধারণকে স্বস্তি দে'।
আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী, সরদার জহুরুল, মেহেদি হাসান, শফিকুল ইসলাম, বুলবুল রহমান, আহসান হাবিব, মাহমুদুল মিঠু, জহির শাওন, সম্রাট আব্দুল লতিফ, মারুফ হোসেন, এম এ তাহেরসহ আহ্বায়ক সদস্যসহ বিভিন্ন হলের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
সদস্য সচিব সামসুদ্দিন চৌধুরী সানিনের সঞ্চলনায় রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, 'অবৈধ সরকারের দুর্নীতির কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যবিত্ত গরীব মানুষের ঘরে ঘরে চাপা কান্না, তাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। তারা সংসার চালাবে, না তাদের সন্তানের লেখাপড়া খরচ চালাবে। অনেক ছাত্র অভাবের তাড়নায় পড়াশুনা বাদ দিয়ে কৃষি কাজ, দিনমজুরী করছে। আমরা মনে করি এই ব্যর্থতার জন্য এই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, 'খাদ্য হলো মানুষের মৌলিক অধিকার। রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের কথা চিন্তা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এই খাতে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে তথাকথিত বাজার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এই জনবিচ্ছিন্ন সরকার, কতিপয় ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষায় এদেশের আপামর জনতাকে শোষণ করছে।'
তিনি আরও বলন, 'সম্প্রতি রাজশাহীতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ দিন ব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ যৌথ সাংস্কৃতিক সম্মেলন হয়েছে যেটা এই ক্ষুধা দারিদ্র্যে জর্জরিত সময়ে বিলাসিতা। আমি বাঁচলে আমার সংস্কৃতি বাঁচবে। সুতরাং আগে আমার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে সরকারের ভূমিকা হবে জনবান্ধব, কিন্তু তাদের আমোদ-ফূর্তির ব্যয় যদি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে করতে হয় তাহলে সেটা কাম্য নয়।'
টিটি/