শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বয়স ও বেতন কাঠামো বাড়াতে অনেক দিনের আন্দোলনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি

‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি’ তাদের প্রত্যেকের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার বয়স ৬২’ বছরের বাতিল করা সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে সে বয়সসীমা পুর্ণনিধারণের দাবীতে আবেদন, নিবেদন করেও কোনো ফল না পেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে আছেন।
তাদের বেতন স্কেল উন্নয়নের জন্যও তারা দাবী করে চলেছেন। বিশ্ববিদ্যলয়টির কর্মকর্তাদের দাবী, সহকারী রেজিষ্ট্রারের মতো উচ্চতম পদে প্রারম্ভিক বেতন স্কেল হোক ৩৫ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৬৭ হাজার ১০ টাকা, উপ-রেজিষ্ট্রার পদে প্রারম্ভিক বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ সীমা হোক ৫০ হাজার টাকা। এভাবে অফিসার স্কেলের নিম্মতম পদগুলোতে বেতনকাঠামো পুর্ণবিন্যাস করা হোক।
তাদের আরেকটি দাবী হলো-কর্মঘন্টা ঠিক রাখতে হবে। আগের অফিস সময় আবার নিধারিত করে দিতে হবে। তাতে তারা আগের এক দিন ছুটি মেনে নেবেন।
শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন কর্মসূচি চলছে তাদের। কেননা, ছাত্র, ছাত্রীদের জন্য দাবী আদায়ে তারা মাঠে শ্লোগান দিতে পারেন না। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতি রাজপথে আন্দোলনের এমন কোনো রেওয়াজ তৈরি করেনি।
অধ্যাপকদের মতো মানববন্ধন করতে পারেন তবে সে চর্চাও তেমন নেই।
তারা কেবল সময় ধরে কর্মবিরতি করতে পারেন। ফলে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনটির ধারাবাহিকতায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় চালু হওয়ার তিন দিন আগে থেকে, পূর্ণদ্যমে কাজের শুরুর দিনগুলোতে শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি কার্যক্রম পালন করে চলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি ছাত্রছাত্রী ভর্তির মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তম কার্যক্রম চালু রাখতে ভতি কাযক্রম করছেন। ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরিক কার্যক্রম তারা পরিচালনা করে আসছেন।
এই কাজগুলোকে জরুরি সেবাদানকারী কার্যক্রম বলে আন্দোলনরত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি উল্লেখ করে চলমান রেখেছেন।
দিনের এই কাজগুলোর বাইরে অন্যান্য কাজে তারা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মবিরতি পালন করে চলেছেন।
সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কমকতা সমিতি’ অফিসে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সালের বেলা ৩টায় একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তাতে সমিতির সদস্যদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এটিএম এমদাদুল আলম তার লিখিত বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, যখনই আমরা আমাদের কোনো আন্দোলন শুরু করি, তখনই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের দাবীগুলো বাস্তবায়ন করা হবে-এই মৌখিক আশ্বাস দিয়ে দেন। ফলে আমাদের অন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়। বরাবরই তাই ঘটে।’
এরপর তিনি তাদের দাবীগুলোর কথা আবার জানিয়েছেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন এবার সহকর্মীদের নিয়ে দাবীগুলো আদায় ও বাস্তবায়ন না হওয়া পযন্ত আন্দোলন করে যাবেন।
লিখিত বক্তব্যে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আবারও বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমরা আমাদের দাবীগুলো বাস্তবায়নের জন্য বহুবার মৌখিকভাবে জনে, জনে বলেছি। তারা আমাদের আগের মতোই এবারও দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে কার্যকর করেননি।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন, ‘আমাদের এই দাবীগুলো যৌক্তিক বলে এর আগে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পূরণ করা হয়েছে। এটি আমাদের প্রশাসনও জানেন। তারা আমাদের ন্যায্য দাবীগুলোর সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছেন। তবে সেগুলো বাস্তবায়ন করছেন না। তাতে আমাদের ভোগান্তি ও কষ্ট বেড়ে চলেছে।’
এটিএম এমদাদুল আলম জানিয়েছেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কমকতা সমিতির দাবী করা ও অনেকদিন ধরে আন্দোলনে থাকা দাবীগুলো আংশিকভাবে পূরণের দিকে অগ্রসর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের মধ্যে বঞ্চনা ও সমস্যা তৈরি করছেন। সবাইকে সেদিকে ঠেলে দিয়েছেন।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি জানিয়েছেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ও আইসিটি (ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) সেলের প্রগ্রামার পদের বেতন স্কেল বাড়ানো হয়েছে। উন্নীত করা হয়েছে সবশের্ষ ৭ হাজার ১০ টাকার দশম গ্রেডে। এটি অত্যন্ত বেদনার।’
তারপরও সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করে চলেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে ছাত্র, ছাত্রী সাংবাদিকদের প্রায় সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে চলা অফিসার সমিতির পদাধিকারীরা তাদের মুখপাত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ প্রতিশ্রুতি অনুসারে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভা-২৫৪’তে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার গ্রেডের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ অনুসারে যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, সেগুলো বর্তমান সরকারী কর্মকমিশনের জাতীয় বেতন কাঠামোর পরিপন্থী হয়ে গিয়েছে।
এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তটি বাতিলের জন্য দাবী জানিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি।
এরপর তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন। তাতে সংবাদ সম্মেলনটি কাভার করা সাংবাদিকরা অংশ গ্রহণ করেছেন। আলোচনা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি সরকার মাসুম, সমিতির প্রচার-প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক আবু হুরাইরা, দপ্তর সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পুসহ সকলে।
তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ও উপস্থিত ছিলেন চিরচেনা মুখগুলোর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট, সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম জোহা, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক রাশিদুজ্জামান খান টুটুল প্রমুখ। সমিতির অন্য নেতা ও সদস্যরা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
ওএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত