বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে ‘সাস্টে’ মশাল মিছিল

লেখা ও ছবি সংগ্রহ : শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’র ঢাকা প্রকাশ প্রতিনিধি নুরুল হুদা রুদ্র জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জোর করে তুলে নিয়ে রাতের বেলা একজন মেধাবী ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও তার সহপাঠী ছাত্রকে ব্যাপকভাবে মারধর এবং এই জঘন্য ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবীতে সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীরা আজ শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় প্রতিবাদী মশাল মিছিল করেছেন।
তারা এই ঘৃণ্যতম ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের মাধ্যমে সুস্ঠু তদন্ত করে বিচার করা ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)’র গোলচত্বর থেকে আলোর মশাল হাতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে লাইন ধরে তারা মিছিল করেছেন। তাদের ‘কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবন’, ‘চেতনা ১৯৭১’ ভাস্কযের সামনে দিয়ে কিলো রোড পেরিয়ে আবার গোলচত্বরে এসে শান্তিপূর্ণ মিছিলটি শেষ হয়েছে।
তাদের মাথার ওপর ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বিরাট সাদা বাঁধানো ছবি।
মশাল মিছিলে বাংলাদেশের প্রধান এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীরা শ্লোগান ধরেছেন-‘ধর্ষকদের আস্তানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘গর্জে ওঠো একসাথে, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে', ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন?’ ‘প্রশাসন জবাব চাই’, ‘রক্ত, রক্ত, আরও দেব রক্ত’, 'রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘সারা বাংলার ছাত্রসমাজ, এক হও লড়াই কর’, ‘আগুন জ্বালো একসাথে, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে’, ‘হামলাকারীর বিরুদ্ধে, গর্জে ওঠো একসাথে’, ‘লড়াই, লড়াই, লড়াই চাই-লড়াই করে বাঁচতে চাই', ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে, গর্জে উঠো একসাথে’, ‘ধর্ষকদের বিষদাঁত, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও’, ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও’।
একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করেছেন প্রতিবাদী ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকরা। গণিতের ছাত্র উমর ফারুক বলেছেন, ‘আমরা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিরীহ ছাত্রীকে জোর করে গণধর্ষণের মাধ্যমে তার জীবন এবং মানসম্মানকে শেখ করে দেবার তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমরা তার জন্য আন্দোলন করা ছাত্র, ছাত্রী এবং শিক্ষক অধ্যাপকদের ওপর সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার প্রতিবাদ করছি। সাস্টের সবাই ধর্ষকদের সবাইকে গ্রেফতারের পর তাদের সকলের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করি।’
পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র মহাইমিনুল বাশার রাজ প্রতিবাদ সভায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশে বিচারহীনতা ও আইনের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য এই ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের বিচার চাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীদের ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা করে শিক্ষকদের সহ আহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপরও হামলা করেছে। ভয়াবহ ন্যাক্কারজনক ঘটনাগুলো ঘটেছে। আমরা সবাই হামলাগুলো তীব্রভাবে প্রতিবাদ করছি। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য জোরালো দাবী করছি।’
ওএস।
