সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫ | ২৪ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথম হলেও এটিই শেষ হবে’

ছাত্রীর সঙ্গে গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় গিয়ে বসে থেকে মামলা দায়ের করেছেন বাদী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান। এরপর সেদিন ভোরেই ছাত্র, ছাত্রীদের সঙ্গে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন গোপালগঞ্জের একমাত্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। শেখ হাসিনার জন্মভূমিতে, তার বাবার বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে গণধর্ষণের তীব্র প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুবকে নিয়ে এই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের সবার ওপর লাঠি ও ইট নিয়ে হামলা করলে ছাত্রীদের বাঁচাতে গিয়ে, ছাত্রদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে এবং নিজেরা সরে পড়তে গিয়ে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষক। ভিসি স্যার পায়ে আঘাত পেয়েছেন। বাংলাদেশের অন্যতম কৃতবিদ্য অধ্যাপক, যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ মানুষটিকে হামলার ঘটনাও নজিরবিহীন।
একজন নিরীহ ছাত্রীকে রাত সাড়ে নয়টার দিকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং তাকে গণধর্ষণের ধারাবাহিক প্রতিবাদে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’ তুমুল প্রতিক্ষিত মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
আজ শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে গোপালগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে অন্তত ৩০ জন বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক এই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন।
ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সফিকুল আহসান ইমন জানিয়েছেন, ‌মহাসড়কের এক পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুরের হাতে ধরা ব্যানারে লেখা ছিল-“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ’র শিক্ষাথীকে গণধর্ষণের মতো জঘন্যতম ঘটনার প্রতিবাদ, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার, শিক্ষক-শিক্ষাথীদের শান্তিপূণ আন্দোলনে হামলা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন-শিক্ষক সমিতি, শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।”
মানববন্ধনে অন্যতম ছিলেন মামলার বাদী প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান, প্রতিবাদী বিবৃতি প্রদান করা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামান, সহ-সভাপতি মো. রাশেদুজ্জামান পবিত্র, প্রচার সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনের পর আলোচনায় সমিতির সভাপতি ড. কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা সবাই জানি ধর্ষণ জঘন্যতম অপরাধ। এমন অপরাধের সুষ্ঠু বিচার না হলে পূনরাবৃত্তি স্বাভাবিক। ফলে আমরা শিক্ষকরা সবাই আমাদের ছাত্রীকে গণধর্ষণের দোষীদের সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
গণধর্ষণ মামলার বাদী প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেছেন, ‘আমিসহ আমরা অধ্যাপকরা সবাই এই অনাকাংখিত ও চরম অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যেসব ছাত্র, ছাত্রী ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন, তাদের দ্রুত আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রক্টর মহোদয়।
ভিসি স্যার অধ্যাপক ড. এ.কিউ.এম. মাহবুব শিক্ষক সমিতির মানববন্ধনে বলেছেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত ধর্ষকদের বিচার না হচ্ছে, আমরা আমাদের অন্দোলনের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাব। আমরা সবাই এই জঘন্যতম ঘটনা ও আমাদের ছাত্র, ছাত্রীসহ শিক্ষকদের ওপর হামলার সঠিক বিচার দাবী করি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থানের পূণ্যভূমিতে এমন ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।’
তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাটি প্রথম হলেও এটিই শেষ হবে বলে আমরা আশা করি।’
অধ্যাপক ড. এ. কিউ.এম মাহবুব জানিয়েছেন, ‘আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করছি, দ্রুততম সময়ে সুষ্ঠু বিচার পাব।’
ওএস।

Header Ad
Header Ad

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর

বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে সোমবার (৭ এপ্রিল) দেশের পাঁচটি জেলায় বিক্ষোভ মিছিল থেকে অন্তত ১৫টি রেস্তোরাঁ ও শো-রুমে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, গাজীপুর এবং বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের শো-রুম ও রেস্টুরেন্টগুলোকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগে ফাস্ট ফুড চেইন কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা করে।

সিলেট:
সিলেট নগরীতে সোমবার বিকালে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেএফসি ও বাটার শো-রুমে হামলা চালায়। মিছিলকারীরা কেএফসির ভেতরে থাকা কোমল পানীয়গুলো ফেলে দেয় এবং লাঠি দিয়ে গ্লাস ভেঙে ফেলে। পাশের বাটা শো-রুমেও হামলা করে তাদের গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসরায়েলি পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে, যা মেনে নেওয়া হবে না।

সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক জানান, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে এবং দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে।’’

কক্সবাজার:
কক্সবাজারের পর্যটন এলাকায় পাঁচটি রেস্টুরেন্টে হামলা হয়। বিক্ষোভকারীরা কেএফসি, পিৎজা হাট, কাঁচা লংকা এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে হামলা করে। পুলিশ জানায়, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা সাইনবোর্ড নামানোর জন্য বললে, পরিস্থিতি শান্ত রাখা যেত। তবে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তির কারণে ভাঙচুর ঘটে। এতে কয়েকজন পর্যটক আহত হন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ইলিয়াস খান বলেন, “পুলিশ মিছিলের আগে-পিছে ছিল। তবে, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ ইসরায়েলি পণ্য রাখার অজুহাতে কিছু রেস্টুরেন্টে ঢিল ছোড়ে। পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে।”

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল জানান, “আমরা ফিলিস্তিনের প্রতি সবসময় সংহতি জানাই। কিন্তু কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি রেস্টুরেন্টে হামলা করেছে, যা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের জন্য অশনি সংকেত। আমরা প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।”

চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামে কেএফসির দুটি শাখার সাইনবোর্ড ভাঙচুর করা হয়, পাশাপাশি জিইসি মোড়ে কোকাকোলার সাইনবোর্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মিছিল থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয় এবং রেস্তোরাঁগুলোতে সামান্য ক্ষতি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এসব ক্ষতি রেস্টুরেন্টগুলো বন্ধ থাকায় কোন বড় সমস্যা সৃষ্টি হয়নি।

পাঁচলাইশ থানার ওসি মো. সোলায়মান বলেন, “ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে করা মিছিল থেকে কেএফসি রেস্টুরেন্টে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ ছিল।” কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, “চেরাগী পাহাড় মোড়ে কেএফসির সাইনবোর্ডে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। ভেতরে কোনো সমস্যা হয়নি।”

গাজীপুর:
গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় বাটা শো-রুমের বাইরের বিলবোর্ড ও ব্যানার ভাঙচুর করা হয়। তবে, শো-রুমে কোনো বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের দাবি জানায়, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) নূর মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন বলেন, "বিক্ষোভকারীরা বাটা শো-রুমের বাইরের ব্যানার ভাঙচুর করেছে, তবে শো-রুমের ভেতরে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”

বগুড়া:
বগুড়ায় বিক্ষোভকারীরা বাটা শো-রুমে হামলা করে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে গ্লাস ভাঙচুর করে। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তারা স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পুলিশ জানায়, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় কিছু ক্ষতি হয়েছে, তবে শহরে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।

বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দিন বলেন, “মিছিলের সামনে ও পিছনে পুলিশ ছিল। মিছিল থেকে কে বা কারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে তা বোঝা যায়নি। তাতে বাটার দোকানের অল্প কিছু ক্ষতি হয়েছে।”

বিক্ষোভের সময় বিভিন্ন জায়গায় স্লোগান দেওয়া হয়, “ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ” এবং “ইসরায়েল বয়কট বয়কট”। দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ এবং ইসলামী সংগঠনগুলো এই প্রতিবাদে অংশ নেয়।

Header Ad
Header Ad

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (৫ এপ্রিল) থেকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) থেকে দর্শনা বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ছুটি শেষ হওয়ায় পরদিন শনিবার সকাল থেকে আবারও পণ্য পরিবহন শুরু হয়।

দর্শনা বন্দরের সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট রফিকুল ইসলাম বলেন,  ৫ আগস্টের পর থেকে বন্দর দিয়ে  ভারত থেকে মালামাল আমদানি কমে গেছে। আশা করি এবার আগের মতো সচল হয়ে উঠবে বন্দরটি।

এদিকে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু ছিল দর্শনা বন্দরে। পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ভারত-বাংলাদেশ গমনাগমন করেছে। দর্শনার বন্দর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন  ইনচার্জ রমজান আলী জানান, বছরে ৩৬৫ দিনই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চলমান থাকে। আসলে ছুটি বলে কিছু নেই ইমিগ্রেশনে।

কিছু সদস্য ছুটিতে থাকলেও যাত্রীদের যাতায়াতে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটেনি এবার ঈদে। দর্শনা বন্দরের কোয়ারেন্টাইন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন,  ঈদের ছুটির পর বন্দরের কোয়ারান্টাইন  কার্যালয় খোলা হয়েছে।  ভারত থেকে আমদানি করা মালামাল সংগনিরোধের সার্টিফাই করে ছাড় দেয়া হচ্ছে।

দর্শনা কাস্টমস শুল্ক স্টেশনেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আব্দুস সাত্তার বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষ।  ভারত।থেকে আমদানি করা পণ্যের যথাযথ শুল্তায়ন করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বন্দর দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের গেদে বন্দর হয়ে কেবলমাত্র রেলপথে মালামাল  আমদানি হয়। দর্শনা বন্দর দিয়ে সড়ক পথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হওয়ার প্রকল্পটি চলমান রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নওগাঁর সর্বস্তরের মানুষ ও বিভিন্ন দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল সমাবেশ করেছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ অন্তত ১০টি সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

এসময় সমাবেশগুলো থেকে ইসরাইলি পণ্য বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নওগাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা শহিদ ফাহমিন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি কলেজ চত্বর প্রদক্ষিণ করে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

পরে শিক্ষার্থীরা সেখানে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’ ‘নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ‘স্টপ জেনোসাইড’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে একাত্মতা ঘোষণা করে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরাও অংশগ্রহণ করেন।

নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

এদিকে বেলা ১২টার দিকে নওগাঁ মেডিকেল কলেজের সামনে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়াও যোহরের নামাজ শেষে শহরের মডেল মসজিদের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামায়াতে ইসলামী। পরে শহরের মুক্তির মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিলোত্তর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খ.ম আব্দুর রাকিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, নওগাঁ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি এ্যাড: আ.স.ম সায়েম, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক নাসির উদ্দীন, নওগাঁ সদর উপজেলা আমির মাও. মোনায়েম হোসাইন, পৌরসভা আমির মাও. শফিকুল ইসলাম, রানীনগর উপজেলা আমির ডা. আনজির হোসেন, পৌর জামায়াতের নায়েবে আমির হাফেজ মাও. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: পাঁচ জেলায় বাটা-কেএফসিতে হামলা-ভাঙচুর
ঈদের ছুটি শেষে দর্শনা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
নওগাঁয় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ
লাঠিপেটা না করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ, রাষ্ট্রপতি পদক পাচ্ছেন সেই পুলিশ কনস্টেবল
ইন্ডিয়ান আইডলের শিরোপা জিতলেন কলকাতার মানসী ঘোষ
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা পেলেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী
নতুন শুল্ক প্রস্তাব স্থগিত করতে ট্রাম্পকে প্রধান উপদেষ্টার চিঠি
ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের জন্য চলাচলে সতর্কতা জারি
ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার নিন্দা জানালো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অন্নপূর্ণা–১ জয় করলেন বাবর আলী
বৈশাখে যারা ইলিশ কিনে খাবেন তারা আইনের লঙ্ঘন করবেন: উপদেষ্টা ফরিদা
ঢাকা-রংপুর ৪ লেন প্রকল্পে পলাশবাড়ীতে এক জমি দুইবার বিক্রি, গাইবান্ধা ডিসি অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ১৫ কোটি টাকার অধিক লুটপাটের চেষ্টা
ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানোয় ভারতে বিদ্যুৎ বিভাগের 'মুসলিম কর্মী' বরখাস্ত
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বেনাপোল ও শার্শায় বিক্ষোভ মিছিল
গাজার কর্মসূচি নিয়ে হুমকি, চাকরি হারালেন ড্যাফোডিলের সেই শিক্ষিকা
নওগাঁয় নিজ বাড়ি থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার
ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার আইসিসিতে পাঠানোর কথা ভাবছে সরকার: প্রেস সচিব
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে ‘নো ওয়ার্ক নো ক্লাস’ কর্মসূচি
যুদ্ধের মাঝে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটলেন নেতানিয়াহু