‘ধর্ষকদের রুখে দাও’
লেখা ও ছবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণের অত্যন্ত আলোচিত ও দুঃখজনক ঘটনায় প্রতিবাদে ফেটে পড়েছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। গোপালগঞ্জের বিশ্ববিদ্যালয়টির পর খবরে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সবচেয়ে বড় উচ্চতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রী অহিংস প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেমেছেন। আজ শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি, বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয় চালু হবার চারদিনের মধ্যে তারা ক্যাম্পাসের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ স্মৃতিফলকের সামনে প্রতিবাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। আয়োজন করেছেন তাদের ‘কাম ফর রোড চাইল্ড’ বা ‘সিআরসি’ নামের পথশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা ছাত্র, ছাত্রীদের অলাভজনক, চাঁদায় পরিচালিত সংগঠন।
মানববন্ধনে পর উপস্থিত প্রতিবাদী বক্তব্যে তারা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জে হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও গণধর্ষণের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। তাহলে বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানে উচ্চশিক্ষায় ব্যস্ত মেয়েদের নিরাপত্তা কী আছে? তারা আরো জানিয়েছেন, এই জঘন্যকমের হোতাদের প্রতি ধিক্কার জানাই। তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আন্দোলনে ব্যস্ত ছাত্র, ছাত্রী ও অধ্যাপকদের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধের সময় সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা করে তারা তাদের গ্রেফতারের দাবী করেছেন। এমন কোনো ঘটনা ও কোনো ছাত্রীকে যাতে গণধর্ষণের কোনো ঘটনা না ঘটে, সেজন্য প্রশাসন ও পুলিশকে তারা আরো কাজ করতে দাবী করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তারা। যাতে আর কেউ এমন কোনো ঘটনার জন্ম দেবার দু:সাহস দেখাতে না পারে।
তারা মানববন্ধন ও প্রতিবাদী কমসূচিতে প্ল্যাকাড বহন করেছেন-‘আমার বোন ধর্ষিত কেন?’, ‘সোনার বাংলায় ধর্ষকদের ঠাঁই নাই’, ‘শিক্ষার্থী সবাই এক হও, ‘ধর্ষকদের রুখে দাও’, ‘ধর্ষকদের ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি নানা দাবিতে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নানা বর্ষের ছাত্র, শিক্ষক বাদেও সিআরসির সাবেক সহ-সভাপতি ইবনে মনির হোসেন, এখন সভাপতি আতিকুর রহমান, সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল মন্ডল মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন। তাদের সংগঠনের প্রায় সব সদস্য মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবাদী আলোচনা সভায় উপস্থাপনা করেছেন সিআরসির অর্থ সম্পাদক রনি সাহা।
ওএস।