ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও শিক্ষার্থী-অধ্যাপকদের ওপর হামলায় আন্দোলন চলছে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)’র ছাত্রীকে গণধর্ষণের প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবীতে দ্বিতীয় দিনের আন্দোলন করে চলেছেন ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে তাদের ওপর স্থানীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে তারা আজ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করছেন।
তাদের দাবী, গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্ধুকে গণধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে তারা যে হামলাগুলোর শিকার হয়েছেন, সেগুলোর বিচার চান। গণধর্ষকদের বিচার দাবী করছেন তারা। এজন্যই তাদের অবস্থান, বিক্ষোভ ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছে।
বাংলার ছাত্র ও বিক্ষোভের অন্যতম মুখ রাজু আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের সহপাঠীনিকে গণধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে হামলার শিকার হতে হবে আমরা কল্পনাও করিনি। তারপরও এই হামলা ও আমাদের একজন বোনকে ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার চাই।’
তিনি জানিয়েছেন, ‘বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
টানা এই আন্দোলনের প্রথম দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে তারা মামলা করা থানা গোপালগঞ্জ সদর ঘেরাও করেছিলেন। এখানেই ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলাটি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান। তিনিই সম্মান হারানো ছাত্রীর বাদী।
এরপর গতকাল গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন ভোর ছয়টা থেকে ছাত্র, ছাত্রীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। তাদের সঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়টির অধ্যাপক এমনকি উপাচার্যও যোগ দিয়েছেন।
তারপর মহাসড়ক থেকে সরে যাবার জন্য স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলা করেছে। লাঠি দিয়ে তাদের পিটিয়েছে, বহু ইট মেরেছে। ছাত্র ও ছাত্রীদের আহত করেছে।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুব পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
ওএস।