বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’


কীভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়? অসাধারণ সুন্দর তাদের শহীদ মিনার ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’র গল্প লিখে ছবি দিয়েছেন ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাজিবুল ইসলাম


আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি অনন্য, সারা দেশে এমন আর একটিও আছে কী না সন্দেহ। নামের মতোই সে দারুণ মনোহর। ‘সূর্যালোকে বণমালা’ আছে ২০ ফিট উঁচু টিলার ওপর। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে। টিলার একেবারে নীচ থেকে সূর্যের আলোতে বর্ণমালাগুলোর রূপ, সুধা, ভালোবাসা ও আবেদন আপনাকে টানতে থাকবে। দিনের ধীরে, ধীরে বেড়ে ওঠা আলোতে ফুটে উঠতে থাকে ভালোবাসা নিয়ে। ফলে অনেক মা-বাবা ছেলেমেয়েকে নিয়ে শহীদদের গড়ে দেওয়া বণমালাগুলোকে দেখতে আসেন। সারা বছর তাদের জীবনে গল্প হয়ে থাকে। তারা মাথায় টুপি নিয়ে হলেও বোরকা পরা বউকে নিয়ে আগামী দিনের মানুষ সন্তান ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন সূর্যালোকে বণমালার কাছে। নিজেদের শ্রদ্ধা জানান গভীর অনুরাগে। তবে এখনো মানুষের পায়ে জুতা পড়ে শহীদ মিনারে উঠে পড়ার, তাদের ভাষায় আমরা তো মিনারের কাছে নেই, তবে তারা জানেন না, পুরো চত্বরই পবিত্র; অভ্যাসটি যায়নি। তরুণ কজন এই ছবিতেই আছেন জুতো পরে পায়ের ওপর পা তুলে গল্প করছেন। এ ঠিক নয় কোনোভাবেই।
মোট ১৮টি সাদা পিলারের বেদি আমাদের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা জেনে, শুনে জীবন দিয়েছেন; তাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। স্থপতির ভালোবাসায় গড়া এই ভুবনের মানে কারো পক্ষে বিবরণে দেওয়া সম্ভব হবে না। যেভাবে ভাষার জন্য জীবন দেওয়া সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরের আতি কোনোদিনও পূর্ণরূপে জানতে পারবে না কোনো বাংলাদেশী। তাদের ঋণ শোধ হবার নয় কোনোভাবে। আমরা শ্রদ্ধা জানাতে, ভালোবাসতে পারি তাদের। এই স্মৃতি ও ভাষার প্রতি ভালোবাসার ভুবনের প্রতিটি বেদি খাড়া ও সরু, নানা উচ্চতার। মিনারগুলোর ফাঁকায় বাংলা বর্ণমালার বর্ণগুলো তাদের আত্মদানের অহংকারে সেজেছে। পুরো শহীদ মিনার এক পলকে বর্ণমালার একতায় একতাবদ্ধ, প্রতিবাদে মুখর, ভাষার দাবীতে। সকালে মিনারটি ছায়াচ্ছন্ন অস্পষ্ট, ঢেকে থাকে পাহাড়ি ঠান্ডা বাতাসের কুয়াশায়; সূর্যের দিন পরিক্রমায় ক্রমশ আলোকিত ও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের মহান ভাষা শহীদরা এখানে দাঁড়িয়ে আছেন, তারা আমাদের সূর্যসন্তান। দিনের প্রদক্ষিণে আলো-আঁধারের খেলায় সূর্যের সঙ্গে তার এই রক্ত ঢেলে দেওয়া সন্তানদের সঙ্গে অনির্বচনীয়, অনালোকিত, অনাবিস্কৃত কথপোকথন চলতে থাকে। আমরা জানি, বাংলা বর্ণমালাগুলো রোদ পোহায় আমাদের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শহীদ মিনারে। শক্ত ও প্রবল আক্রোশে ভাষা শহীদরা নেমেছিলেন সেদিন ভাষার দাবীতে পাকিস্তানী বাহিনীর বিপক্ষে। সে কথা বারবার বলে চলে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার। বর্ণ হাতে তারা যে অপেক্ষা করছেন আমাদের জন্য এখানে। দূর থেকে কিছু বর্ণমালা কোনোভাবে দেখা যায়। কাছে আসতে থাকলে বর্ণ কুঠুরিগুলোতে ছোট, ছোট বর্ণমালার সমাহারগুলো মিনারের জীবনে স্পষ্ট হয়ে ভাসে। আগের প্রতিটি বছরে মহান একুশের দিনটি শুরু হয়েছে প্রভাতফেরি ঘুরে এই শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণে। কোনো বাধাই আমাদের থামাতে পারেনি। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মকর্তা, কমচারী, ছাত্র-ছাত্রী, সবগুলো সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণের জন্য একত্রিত হয়েছে যখন প্রয়োজন হয়েছে। এই হলো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সঙ্গে সূর্যালোকে বর্ণমালার মিল। প্রতিটি শহীদ মিনার তার সন্তানদের প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে সঙ্গী হয়েছে। ভালোবাসার ভুবন গড়ে দিয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকের দল ‘লুব্ধক’ থিয়েটার করে ‘কদাকার’। ভাষার আবেদন, সেদিনের কাহিনী, আমাদের সংগ্রাম ও ভাষাবিরোধীদের কুৎসিত জীবন তুলে আনেন তারা। বাঁধন নিয়ম মেনে অন্যদের মতো স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে দিনভর বিনা পয়সায় রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে। আমাদের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ সিনেমা দেখায় রাজ্জাক, কবরী, আনোয়ার হোসেন ও রওশন জামিলের ‘জীবন থেকে নেয়া’। অন্য সিনেমাও তারা দেখান দিনভর। সারা দেশের অনলাইন ও পত্রপত্রিকাগুলোতে তাদের সবার, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার খবরগুলো জানাতে ছুটতে থাকি আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির তরুণ সাংবাদিকের দল। করোনাভাইরাসের আক্রমণে মহামারি রোগ কভিড ১৯’র বিস্তারে গেল বছরই একমাত্র স্বল্প পরিসরে আয়োজিত হয়েছে শহীদ মিনারে একুশের আয়োজন। তবে শিক্ষক সমিতি, উপাচার্য স্যার নিয়ম মেনে এসেছেন। এবারও তারা কম করেই আয়োজনে যাবেন। তারপরও কে বলতে পারে-পরশু থেকে ক্যাম্পাস খোলা, ছাত্র, ছাত্রীদের এখানে ভালোবাসা জানানো ঠেকানো যাবে কী না। হিসেব বলে সম্ভব নয়। কীভাবে সেদিন থাকে সূর্যালোকে বর্ণমালা? যারা আসতে পারেননি, জানতে খুব মন চায় যাদের, প্রবল ভালোবাসেন যারা রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, শফিউরদের জীবন; তাদের জন্য বলা-ভোরে সূর্যের আলো ফুটলেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিষ্টার ও প্রক্টর স্যারকে নিয়ে আসবেন। তাদের সঙ্গে থাকবে আমাদের দেশের পতাকা; কালো শোকের পতাকা; অর্ধেক নামিয়ে রাখবেন তারা মিনারের ভেতরে। সারাদিন সে সেভাবে শোকের সাগরে ভেসে যাবে। তাদের বুকে কালো ব্যাজ শোকের জন্য থাকবে। যে প্রভাতফেরিতে এসেছেন প্রশাসনের প্রধানরা, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ফুলের মালা দেবেন মিনারের বেদিতে। এরপর সারাদিন ধরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজে, ছেলেমেয়েকে নিয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে আসবেন শ্রদ্ধা জানাতে। সবার হাতে থাকবে সবসময়ের মতো ফুল। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কমচারী সূর্যালোকে বর্ণমালাকে শ্রদ্ধা জানাবেন ফুল দিয়ে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের খবর তো আপনাদের জানা। মিলাদ ও মোনাজাত এবং মন্দিরে, গির্জাতে তাদের আত্মার শান্তি এবং বাংলাদেশের উন্নতি কামনা করে বিশেষ প্রাথনা হবে। বাংলা ভাষার সার্বজননীনতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অধ্যাপকদের মধ্যে আলোচনা হবে। সূর্যাস্তের পর সবার শ্রদ্ধা জানানো শেষে কোনো এক ফাঁকে কালো পতাকা শহীদদের একলা ফেলে রেখে চলে যাবে। তারপরও তারা রয়ে যাবেন সবার মনে। কৃষি অনুষদের ছাত্র সৈয়দ জাহিদকে ২০২২ সালের একুশের আয়োজন নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেছেন, ‘এবারও আমরা সবসময়ের মতো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা শহীদ দিবস-একুশে ফেব্রুয়ারিকে পালন করবো, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হবে। সেই প্রস্তুতি আমরা সবাই নিচ্ছি। আমরা মিনারের আশপাশে আলপনা আঁকছি। শহীদ মিনারকে পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন করছি। আশপাশও। মনের ভালোবাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্যে এই কাজে আমাদের কারো কখনো কোনো ক্লান্তি নেই। কেননা এই উচ্চতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ছাত্র, ছাত্রী জানেন, মাতৃভাষা জাতি, ধর্ম, বণ বাদে সব মানুষের মৌলিক সম্পদ; সারা দুনিয়াতেই। মায়ের মুখের ভাষাকে কেন্দ্র করেই প্রতিটি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গড়ে ওঠে। ১৯৫২ সালের একুশের চেতনা আমাদের দেশের প্রতিটি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বাতিঘর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামের পূণ্যভূমি। আমাদের দেশের মাতৃভাষার দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়েছে বলে গৌরবের শেষ নেই। ফলে সব ভাষাকে সম্মান ও বাংলার গৌবর আমাদের জানাতে হবে।’ এই লেখাটি লিখতে, লিখতে তার সহপাঠী হিসেবে আমারও মনে হলো-পৃথিবীর সব জাতির যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ভাষা। এ শুধু মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমটিই নয়, তার জড়িয়ে থাকে জাতীয় আত্মপরিচয়। সময়ের সাথে নদীর মতো বয়ে চলে ভাষা। সেভাবেই হাজার বছর ধরে বাংলা ভাষায় বয়ে চলছে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব ও স্বকীয়তা। তবে বাংলা পৃথিবীর একমাত্র ভাষা, যাকে রক্ষা করতে হয়েছে জীবনদানের বিনিময়ে। তাই ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘ভাষা শহীদ’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। ১৯৫২ সালের একুশের পথ ধরেই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। একুশের চেতনায় আমরা এই দেশের মানুষরা এগিয়ে চলেছি।

ওএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত