শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’


কীভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়? অসাধারণ সুন্দর তাদের শহীদ মিনার ‘সূর্যালোকে বর্ণমালা’র গল্প লিখে ছবি দিয়েছেন ঢাকা প্রকাশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাজিবুল ইসলাম


আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি অনন্য, সারা দেশে এমন আর একটিও আছে কী না সন্দেহ। নামের মতোই সে দারুণ মনোহর। ‘সূর্যালোকে বণমালা’ আছে ২০ ফিট উঁচু টিলার ওপর। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে। টিলার একেবারে নীচ থেকে সূর্যের আলোতে বর্ণমালাগুলোর রূপ, সুধা, ভালোবাসা ও আবেদন আপনাকে টানতে থাকবে। দিনের ধীরে, ধীরে বেড়ে ওঠা আলোতে ফুটে উঠতে থাকে ভালোবাসা নিয়ে। ফলে অনেক মা-বাবা ছেলেমেয়েকে নিয়ে শহীদদের গড়ে দেওয়া বণমালাগুলোকে দেখতে আসেন। সারা বছর তাদের জীবনে গল্প হয়ে থাকে। তারা মাথায় টুপি নিয়ে হলেও বোরকা পরা বউকে নিয়ে আগামী দিনের মানুষ সন্তান ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে চলে আসেন সূর্যালোকে বণমালার কাছে। নিজেদের শ্রদ্ধা জানান গভীর অনুরাগে। তবে এখনো মানুষের পায়ে জুতা পড়ে শহীদ মিনারে উঠে পড়ার, তাদের ভাষায় আমরা তো মিনারের কাছে নেই, তবে তারা জানেন না, পুরো চত্বরই পবিত্র; অভ্যাসটি যায়নি। তরুণ কজন এই ছবিতেই আছেন জুতো পরে পায়ের ওপর পা তুলে গল্প করছেন। এ ঠিক নয় কোনোভাবেই।
মোট ১৮টি সাদা পিলারের বেদি আমাদের ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা জেনে, শুনে জীবন দিয়েছেন; তাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। স্থপতির ভালোবাসায় গড়া এই ভুবনের মানে কারো পক্ষে বিবরণে দেওয়া সম্ভব হবে না। যেভাবে ভাষার জন্য জীবন দেওয়া সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউরের আতি কোনোদিনও পূর্ণরূপে জানতে পারবে না কোনো বাংলাদেশী। তাদের ঋণ শোধ হবার নয় কোনোভাবে। আমরা শ্রদ্ধা জানাতে, ভালোবাসতে পারি তাদের। এই স্মৃতি ও ভাষার প্রতি ভালোবাসার ভুবনের প্রতিটি বেদি খাড়া ও সরু, নানা উচ্চতার। মিনারগুলোর ফাঁকায় বাংলা বর্ণমালার বর্ণগুলো তাদের আত্মদানের অহংকারে সেজেছে। পুরো শহীদ মিনার এক পলকে বর্ণমালার একতায় একতাবদ্ধ, প্রতিবাদে মুখর, ভাষার দাবীতে। সকালে মিনারটি ছায়াচ্ছন্ন অস্পষ্ট, ঢেকে থাকে পাহাড়ি ঠান্ডা বাতাসের কুয়াশায়; সূর্যের দিন পরিক্রমায় ক্রমশ আলোকিত ও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের মহান ভাষা শহীদরা এখানে দাঁড়িয়ে আছেন, তারা আমাদের সূর্যসন্তান। দিনের প্রদক্ষিণে আলো-আঁধারের খেলায় সূর্যের সঙ্গে তার এই রক্ত ঢেলে দেওয়া সন্তানদের সঙ্গে অনির্বচনীয়, অনালোকিত, অনাবিস্কৃত কথপোকথন চলতে থাকে। আমরা জানি, বাংলা বর্ণমালাগুলো রোদ পোহায় আমাদের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শহীদ মিনারে। শক্ত ও প্রবল আক্রোশে ভাষা শহীদরা নেমেছিলেন সেদিন ভাষার দাবীতে পাকিস্তানী বাহিনীর বিপক্ষে। সে কথা বারবার বলে চলে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার। বর্ণ হাতে তারা যে অপেক্ষা করছেন আমাদের জন্য এখানে। দূর থেকে কিছু বর্ণমালা কোনোভাবে দেখা যায়। কাছে আসতে থাকলে বর্ণ কুঠুরিগুলোতে ছোট, ছোট বর্ণমালার সমাহারগুলো মিনারের জীবনে স্পষ্ট হয়ে ভাসে। আগের প্রতিটি বছরে মহান একুশের দিনটি শুরু হয়েছে প্রভাতফেরি ঘুরে এই শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণে। কোনো বাধাই আমাদের থামাতে পারেনি। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কর্মকর্তা, কমচারী, ছাত্র-ছাত্রী, সবগুলো সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশগ্রহণের জন্য একত্রিত হয়েছে যখন প্রয়োজন হয়েছে। এই হলো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সঙ্গে সূর্যালোকে বর্ণমালার মিল। প্রতিটি শহীদ মিনার তার সন্তানদের প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে সঙ্গী হয়েছে। ভালোবাসার ভুবন গড়ে দিয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটকের দল ‘লুব্ধক’ থিয়েটার করে ‘কদাকার’। ভাষার আবেদন, সেদিনের কাহিনী, আমাদের সংগ্রাম ও ভাষাবিরোধীদের কুৎসিত জীবন তুলে আনেন তারা। বাঁধন নিয়ম মেনে অন্যদের মতো স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে দিনভর বিনা পয়সায় রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে। আমাদের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ সিনেমা দেখায় রাজ্জাক, কবরী, আনোয়ার হোসেন ও রওশন জামিলের ‘জীবন থেকে নেয়া’। অন্য সিনেমাও তারা দেখান দিনভর। সারা দেশের অনলাইন ও পত্রপত্রিকাগুলোতে তাদের সবার, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার খবরগুলো জানাতে ছুটতে থাকি আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির তরুণ সাংবাদিকের দল। করোনাভাইরাসের আক্রমণে মহামারি রোগ কভিড ১৯’র বিস্তারে গেল বছরই একমাত্র স্বল্প পরিসরে আয়োজিত হয়েছে শহীদ মিনারে একুশের আয়োজন। তবে শিক্ষক সমিতি, উপাচার্য স্যার নিয়ম মেনে এসেছেন। এবারও তারা কম করেই আয়োজনে যাবেন। তারপরও কে বলতে পারে-পরশু থেকে ক্যাম্পাস খোলা, ছাত্র, ছাত্রীদের এখানে ভালোবাসা জানানো ঠেকানো যাবে কী না। হিসেব বলে সম্ভব নয়। কীভাবে সেদিন থাকে সূর্যালোকে বর্ণমালা? যারা আসতে পারেননি, জানতে খুব মন চায় যাদের, প্রবল ভালোবাসেন যারা রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, শফিউরদের জীবন; তাদের জন্য বলা-ভোরে সূর্যের আলো ফুটলেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিষ্টার ও প্রক্টর স্যারকে নিয়ে আসবেন। তাদের সঙ্গে থাকবে আমাদের দেশের পতাকা; কালো শোকের পতাকা; অর্ধেক নামিয়ে রাখবেন তারা মিনারের ভেতরে। সারাদিন সে সেভাবে শোকের সাগরে ভেসে যাবে। তাদের বুকে কালো ব্যাজ শোকের জন্য থাকবে। যে প্রভাতফেরিতে এসেছেন প্রশাসনের প্রধানরা, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে ফুলের মালা দেবেন মিনারের বেদিতে। এরপর সারাদিন ধরে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজে, ছেলেমেয়েকে নিয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে আসবেন শ্রদ্ধা জানাতে। সবার হাতে থাকবে সবসময়ের মতো ফুল। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি ছাত্র ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কমচারী সূর্যালোকে বর্ণমালাকে শ্রদ্ধা জানাবেন ফুল দিয়ে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানের খবর তো আপনাদের জানা। মিলাদ ও মোনাজাত এবং মন্দিরে, গির্জাতে তাদের আত্মার শান্তি এবং বাংলাদেশের উন্নতি কামনা করে বিশেষ প্রাথনা হবে। বাংলা ভাষার সার্বজননীনতার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অধ্যাপকদের মধ্যে আলোচনা হবে। সূর্যাস্তের পর সবার শ্রদ্ধা জানানো শেষে কোনো এক ফাঁকে কালো পতাকা শহীদদের একলা ফেলে রেখে চলে যাবে। তারপরও তারা রয়ে যাবেন সবার মনে। কৃষি অনুষদের ছাত্র সৈয়দ জাহিদকে ২০২২ সালের একুশের আয়োজন নিয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বলেছেন, ‘এবারও আমরা সবসময়ের মতো সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষা শহীদ দিবস-একুশে ফেব্রুয়ারিকে পালন করবো, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হবে। সেই প্রস্তুতি আমরা সবাই নিচ্ছি। আমরা মিনারের আশপাশে আলপনা আঁকছি। শহীদ মিনারকে পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন করছি। আশপাশও। মনের ভালোবাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহায্যে এই কাজে আমাদের কারো কখনো কোনো ক্লান্তি নেই। কেননা এই উচ্চতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ছাত্র, ছাত্রী জানেন, মাতৃভাষা জাতি, ধর্ম, বণ বাদে সব মানুষের মৌলিক সম্পদ; সারা দুনিয়াতেই। মায়ের মুখের ভাষাকে কেন্দ্র করেই প্রতিটি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গড়ে ওঠে। ১৯৫২ সালের একুশের চেতনা আমাদের দেশের প্রতিটি অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বাতিঘর। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামের পূণ্যভূমি। আমাদের দেশের মাতৃভাষার দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়েছে বলে গৌরবের শেষ নেই। ফলে সব ভাষাকে সম্মান ও বাংলার গৌবর আমাদের জানাতে হবে।’ এই লেখাটি লিখতে, লিখতে তার সহপাঠী হিসেবে আমারও মনে হলো-পৃথিবীর সব জাতির যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ভাষা। এ শুধু মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যমটিই নয়, তার জড়িয়ে থাকে জাতীয় আত্মপরিচয়। সময়ের সাথে নদীর মতো বয়ে চলে ভাষা। সেভাবেই হাজার বছর ধরে বাংলা ভাষায় বয়ে চলছে বাঙালি জাতির অস্তিত্ব ও স্বকীয়তা। তবে বাংলা পৃথিবীর একমাত্র ভাষা, যাকে রক্ষা করতে হয়েছে জীবনদানের বিনিময়ে। তাই ২১ শে ফেব্রুয়ারি ‘ভাষা শহীদ’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসাবে বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। ১৯৫২ সালের একুশের পথ ধরেই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। একুশের চেতনায় আমরা এই দেশের মানুষরা এগিয়ে চলেছি।

ওএস।

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  

ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি (ইটিভি) ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে, ওই টিভি চ্যানেলের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ইটিভি কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মান্ডা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়ানো নিয়ে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে ইটিভির এক সংবাদকর্মীর তর্ক হয়। পরে ওই নেতা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠিয়ে ক্যামেরাম্যানকে চাকরিচ্যুত না করলে চ্যানেল ভাঙচুরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইটিভির নিরাপত্তা সুপারভাইজার আল আমিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মান্ডা গ্রিন মডেল টাউন অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে ইটিভির ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ রুমি হাসান তালুকদার সেখানে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর মিঠু হোয়াটসঅ্যাপে ইটিভির কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেজ পাঠান। সেখানে একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘চাকরিচ্যুত করতে হবে এ ক্যামেরাম্যানকে, না হলে একুশে টেলিভিশন ভাঙচুর হবে।’

এ হুমকির ঘটনায় একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জিডিতে ইটিভির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম মিঠুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওদিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, সাইফুল ইসলাম মিটু প্রচার সহকারী নন তিনি মহানগরী দক্ষিণ প্রচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারী। ইতিমধ্যে তার তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ইটিভি কতৃপক্ষকে এ বিষয় নিয়ে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

বার্তায় বলা হয়, সে যা করেছে তা অমার্জনীয় অপরাধ। সংগঠন অবহিত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বড় ব্যবধানে হেরেছে আফগানিস্তান। ৪৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। ফলে ১০৭ রানের বড় জয় পায় প্রোটিয়ারা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। স্পোর্টিং উইকেটে বড় সংগ্রহ গড়ার লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। রিকেল্টনের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করামের ফিফটিতে প্রোটিয়ারা ৩১৫ রানের বড় স্কোর গড়ে।

প্রোটিয়াদের ইনিংসে প্রথম উইকেট দ্রুতই হারায় দলটি। ষষ্ঠ ওভারেই মোহাম্মদ নবির বলে ২৮ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ১১ রানে ফেরেন টনি ডি জর্জি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাভুমা ও রিকেল্টনের ১২৯ রানের জুটিতে ১৫০ পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯তম ওভারে ৭৬ বলে ৫৮ রান করা বাভুমাকে ফেরান নবি।

বাভুমার বিদায়ের পরই নিজের অসাধারণ সেঞ্চুরি তুলে নেন রিকেল্টন। তবে ৩৬তম ওভারে রশিদ খানের বলে স্টাম্পড হয়ে ১০৬ বলে ১০৩ রানে বিদায় নেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এরপর ডুসেন ৪৬ বলে ৫২ ও মার্করাম ৩৬ বলে ৫২ রান করেন। যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের বড় স্কোর গড়ে।

আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে মোহাম্মদ নবি ৫১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন রহমত শাহ, যিনি ৯২ বলে ৯০ রান করেন। এছাড়া, আজমতুল্লা ওমারজাই ও রশিদ খান ১৮ রান করে করেন। তবে দলের অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হয়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বোলিংয়ে কাগিসো রাবাদা ৩ উইকেট, এনগিদি ও মুলডার ২টি করে উইকেট নেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া