বাউয়েট এলো সাত বছরে
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পরের দিন ভালোবাসা ছড়িয়ে গেল পুরো ক্যাম্পাসে। সেটি আছে নাটোরের কাদিরাবাদের সেনানিবাসে। নাম বাংলাদেশ আমি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স টেকনোলজি (বাউয়েট)। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেদিন ছিল সাত বছর পূর্তি। জন্মেছিল ২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। দেশের দূর একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও অত্যন্ত মানসম্পন্ন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালনা করে এই ক্যাম্পাসটি। ফলে সেশনজট, সময়ের ঝামেলা নেই কোনো।
দিনটি শুরু করেছিলেন তারা সবাই বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে স্যালুট জানিয়ে। নেতৃত্ব দিয়েছেন বাউয়েটের ভিসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা কামাল। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার লে. কণেল (অব.) শেখ শামীম হোসেন।
বাউয়েটের অনুষদগুলোর ডিন, বিভাগগুলোর প্রধান ও অধ্যাপকরা সবাই বাউয়েট মাঠে দিনের কর্মসূচিতে ছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন বিভাগগুলো ছাত্র, ছাত্রীরা। তাছাড়াও ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকতা ও কর্মচারীরা।
তারা সবাই মিলে বাউয়েট প্লাজা থেকে এরপর একটি র্যালি শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলোতে যখন তারা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, ক্যাম্পাসের ভবনগুলোর ক্লাসরুম ও গবেষণাগারগুলোর দিকে চোখ চলে যাচ্ছিল সবার। এরপর আবার তারা ফিরলেন বাউয়েট প্লাজাতে। সেখানে ভিসি স্যার শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা উড়িয়ে দিলেন আকাশে। সবার মধ্যে তখন প্রশান্তির আমেজ। তারপর দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হলো সবার শান্তি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি ও ছাত্র, ছাত্রীদের মেধা বিকাশের জন্য; শিক্ষকদের দক্ষতা উন্নয়নের আশায়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া মিষ্টি খেয়ে পেটপূজা হলো।
এরপর শুরু হলো বিরতির পর আলোচনা অনুষ্ঠান। ব্যবসায় প্রশাসনের লেকচারার শেখ তৌফিকুল ইসলাম উপস্থাপনা করলেন আমন্ত্রিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথিদের এই অনুষ্ঠান। তারা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে স্মৃতি মেলে ধরলেন, নানা আশাবাদ ও করণীয় বললেন।
শুরু হলো ছাত্রছাত্রীদের মনোজ্ঞ নাচ, গান, আবৃত্তির সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষকদের কেউ, কেউ অংশ গ্রহণ করলেন। মেধা বিকাশের এই আয়োজন মুগ্ধ করলো সবাইকে। এই বাংলাদেশ আমি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ছাত্র, ছাত্রীরা কত কিছু জানেন জানা হলো সবার।
বাউয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদ আছে। তাদের সেদিন বাউয়েটের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়ার আয়োজন ছিল। এছাড়াও বাংলাদেশের মানুষের ভালো চেয়েছেন তারা।
ওএস।