এসআইয়ের বিরুদ্ধে জবি ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ
সুত্রাপুর থানার বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ কুণ্ডের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী রকি মেরাজকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩টায় সদরঘাটের লালকুঠি ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রকিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন এবং রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার মাথায় একাধিক সেলাই করা হয়েছে। রকি মেরাজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (১৫ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীকে লঞ্চে উঠিয়ে দিয়ে রকি মেরাজ ও তার আরেক বন্ধু অনিক সদরঘাট থেকে ফিরছিলেন। পথে টার্মিনালে টাইলসের উপর দিয়ে হাঁটার সময় নতুন টাইলস নড়ে গেলে রাজমিস্ত্রিরা তাদের বকাঝকা করে। এসময় রকি মেরাজ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এটা নতুন লাগানো টাইলস তিনি বুঝতে পারেননি। রাজমিস্ত্রিরা চেঁচামেচি করলে রকি মেরাজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন।
এসময় দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে এসআই পলাশ কুণ্ডু ঘটনাস্থলে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দেখে বিষয়টি উস্কানি দেন। এ সময় পুলিশ, রাজমিস্ত্রি ও ঘাটের কুলিরা এক হয়ে তাদের উপর চড়াও হয়। এরপর তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তবে অনিক পালাতে সক্ষম হলেও রকি মেরাজ পড়ে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। এসময় ভুক্তভোগী অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকে। পরে তার সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করতে গেলে পলাশ কুণ্ড তাদের চাঁদাবাজ অপবাদ দেন এবং অকথ্য ভাষায় অপমান করেন। সহপাঠীরা রকিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রকি মেরাজ বলেন, ‘বিনা কারণে আমাকে মারধর করেছে। আমার মানিব্যাগ নিয়ে গেছে। আমি পানি চেয়ে পুলিশের পায়ে ধরলে ওই পুলিশ আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত বাংলাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলাশ কুণ্ড বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হকারদের মারামারি হয়েছে। আমি ঘটনার পরে আসছি। পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে ওদের উদ্ধার করে। আমার নামে অভিযোগ মিথ্যা।’
এবিষয়ে সুত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম বলেন, নির্মাণাধীন ফুটপাতে হাঁটা নিয়ে মারামারি। এরপর স্থানীয়দের সঙ্গেও তাদের মারামারি হয়। আর ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশ মারামারি করেনি, এগুলো বানোয়াট। আমি এখনো কোনো পক্ষের লিখিত অভিযোগ পাইনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে মুঠোফোনে একাধিক ফোন করলেও পাওয়া যায়নি।
এসএন