বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বঙ্গোপসাগর ঝুঁকিপূর্ণ হবার পেছনে চট্টগ্রাম শহর ও বন্দরের অনেক প্রভাব আছে

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারিতেও কাজ করেছেন তারা। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানুষ সবাই। বাংলাদেশের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, জাপানের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, অষ্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জেরেমি ব্রুয়ের; বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, আইইউবি (ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটি, বাংলাদেশ)’র উপাচার্য ড. তানভীর হাসান, জাপানের ‘দি সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন (এসপিএফ)’র প্রেসিডেন্ট ড. আতসুশি সুনামি, ‘দি ওশান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ওপরি)’-জাপানের পরিচালক ড. তমোনারি আকামাতসু এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম।

তারা এসেছিলেন অনলাইনে আইইউবিতে। হয়েছিল একটি বিশেষ সেমিনার। আইইউবি’র ‘সেন্টার ফর বে অব বেঙ্গল স্টাডিজ’র অধ্যাপক-গবেষক, বিভিন্ন বিষয়-পরিবেশ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ব্যবসায়সহ নানা বিভাগের আগ্রহী অধ্যাপক ও ছাত্র, ছাত্রীরা এসেছেন এবং যুক্ত হয়েছেন অনলাইনে।

রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আইইউবির স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত সেমিনারটির শিরোনাম ছিল, ‘অ্যাসেসিং রিস্কস ইন দি সিটি অব চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ ইউজিং দি ক্লাইমেট অ্যান্ড ওশান রিস্ক ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স-করভি’। বাংলায়, ‘চট্টগ্রাম শহরের ঝুঁকিগুলো মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জলবায়ু ও সাগরের ঝুঁকিপূর্ণ হবার কারণগুলোর সূচক-করভি।’ ‘করভি’ নামের পূণ রূপ, ‘দি ওশান রিক্স অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি ইনডেক্স’; বাংলায়, ‘জলবায়ু ও সাগরের দুর্বলতা এবং ঝুঁকিগুলোর সূচক।’

এই প্রকল্পটি ‘করভি’ নামে আইইউবি, জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে পরিচিত। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ‘করভি বাংলাদেশ’ অধ্যায় তৈরিতে তাদের নিয়ে কাজ করছে আইইউবি। তাদের ‘স্কুল অব বিজনেজ অ্যান্ড এন্টারপ্রেনিউরশিপ’র অর্থনীতি বিভাগ গবেষণার মূল সহযোগি। যৌথভাবে তৈরি করছে জাপানের ‘দি সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন (এসপিএফ)’ ও ‘দি ওশান পলিসি রিসার্চ ইনিস্টিটিউট (ওপরি)’র সঙ্গে। প্রকল্পের শুরু ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর। এর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের অত্যন্ত মানসম্পন্ন গবেষণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের এই সাগরের আশপাশের উপকূলীয় এলাকার জলবায়ু, পরিবেশ ও সামাজিক এবং অথনৈতিক অবস্থাগুলোর দুবলতা ও আশপাশের বিপর্যয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরে ব্যবস্থাপনা করতে গবেষণামূলক কাজ করছেন তারা সবাই।

করভি’ সেমিনারটি আয়োজন করেছে তিনটি মূল প্রতিষ্ঠান-আইইউবি, এসপিএফ ও ওপরি।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন সেমিনারে সবাইকে স্বাগত জানিয়েছে আইইউবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “সারাবিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছে। তবে অত্যন্ত ঝুুঁকিতে আছে আমাদের বাংলাদেশ। আমরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বৈশ্বিক সহযোগিতার বিকল্প নেই। এজন্য ‘দি ওশান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ ও ‘দি সাসাকাওয়া পিস ফাউন্ডেশন’র সঙ্গে যৌথভাবে আমাদের ‘করভি’ প্রকল্প সম্পন্ন করছি।”

অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান জানিয়েছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় কার্যকর অবদান রাখতে আমাদের ধারাবাহিক দৃঢ় প্রত্যয়ের বহি:প্রকাশ আজকের অনলাইন সেমিনার।’

‘চট্টগ্রাম শহরের ঝুঁকিগুলো মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জলবায়ু ও সমুদ্রের ঝুঁকিপূণ হবার কারণগুলোর সূচক’ আলোচনায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘সরকারের ২০৪১ সালের মহাপরিকল্পনায় আধুনিক পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলে বাংলাদেশের শহরগুলোকে বন্যামুক্ত করার দিকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের মহাপরিকল্পনার একটি বড় অংশ চট্টগ্রাম। তার কারণ আমরা জানি, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম বাংলাদেশে বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রবেশদ্বার। সেখানে এই কাজ তো করা হবেই। তাতে শহর বাঁচবে।’ তিনি এরপর চট্টগ্রাম শহরের ঝুঁকিগুলো মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জলবায়ু ও সমুদ্রের ঝুঁকিপূণ হবার কারণগুলো নিয়ে আলোচনা ও সমাধানে গিয়েছেন।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে জাপান ও বাংলাদেশের এই যৌথ গবেষণা কার্যক্রমে বক্তব্য প্রদান করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।

আলোচনা করেছেন অন্যতম অতিথি, বাংলাদেশের সহযোগি দেশ অষ্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত জেরেমি ব্রুয়ার।

এসপিএফ’র প্রেসিডেন্ট ড. আতসুশি সুনামি এবং ওপরি’র পরিচালক ড. তমোনারি আকামাতসু অনলাইনে আলোচনায় করেছেন।

এখানে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দান করেছেন, সরকারের উদ্যোগগুলো জানিয়েছেন আরেক অতিথি-বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন।

বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহি কমকতা মোহাম্মদ শহীদুল আলম তার শহরকে নিয়ে গবেষণা করায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি নিজেদের সীমাবদ্ধতা, উদ্যোগ ও করণীয় বলেছেন।

অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূণ অনলাইন সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন করভি’র গবেষণা দলের প্রধান এবং আইইউবির ‘সেন্টার ফর বে অব বেঙ্গল স্টাডিজ’র উপ-পরিচালক ড. এমাদুল ইসলাম। বলেছেন, ‘চট্টগ্রামে আমাদের গবেষণা ও মূল্যায়নে যেসব তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে, সেগুলো নীতিনির্ধারক ও সাগরাঞ্চলের মানুষ, সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী-সবার জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, কেবল আমাদের জন্মভূমি বাংলাদেশই নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, সারা বিশ্বের যে রাষ্ট্রগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরশীল; তাদের দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে ও উন্নয়ন করতে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অসীম।’

এরপর গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য ওপরি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মিকো মাইকাওয়া আলোচনা করেছেন।

তাদের আলোচনায় জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগর ঝুঁকিপূর্ণ হবার পেছনে চট্টগ্রাম শহর ও বন্দরের অনেক প্রভাব আছে।

ওএস।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত