শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বেসরকারিতে পড়েও বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষক হলেন ববি উপাচার্যের মেয়ে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিনের মেয়ে অহনা আরেফিন। নাটোরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পাস করেছেন তিনি। পার্টটাইম লেকচারার হিসেবে শিক্ষকতাও করেছেন আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ছাড়া তিনি শিক্ষা ও গবেষণা সহকারী হিসেবে ছিলেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷

এবার তিনি প্রভাষক পদে নিয়োগ পেলেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৷
অভিযোগ রয়েছে, ববি উপাচার্যের মেয়ে বলেই তাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ কমিটি।

গত শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারী ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগের ৩ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে অহনা আরেফিন এ নিয়োগ পান।

এ ব্যাপারে নিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বলেন, ‘আইনে বলা হয়েছে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি যে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত শিক্ষার্থী নেওয়া যাবে৷ কোথাও বলা নেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া যাবে না। ভালো ক্যাম্পাসে পড়লেই যে শিক্ষার্থী ভালো হবে এমন তো কোনো কথা নেই৷ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী যদি ভাইভা বোর্ডে ভালো করতে পারে তাহলে তিনি তো নিয়োগ পেতেই পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সিলেকশন বোর্ডে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক, রিজাইন বোর্ড কর্তৃক নিয়োগকৃত উচ্চপর্যায়ের লোকজনরা আছেন৷ তারা যেটা ভালো মনে করেছেন সেভাবে সিলেকশন করেছেন।’

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত অহনা আরেফিন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মেয়ে কি না জানতে চাইলে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, ‘তিনি যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সন্তান হতেই পারেন তাই বলে কি তিনি মানুষ নয়৷ তার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার মতো যোগ্যতা আছে কি না সেটা পরীক্ষা করে তারপর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৷ এখানে যদি আমার সন্তান হতো তাহলে আমি নিয়োগ বোর্ডের থাকতে পারতাম না আপনারা আইন বিবেচনা করে দেখবেন আইনে কোথাও কোনো উপাচার্যের সন্তানকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিষেধ করা নেই।’

প্রভাষক পদে আবেদনকারী প্রার্থী রুয়েট শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলীকে ভাইবা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘আমাদের ভাইবা অনেক ভালো হয়েছিল ৷ আমরা রুয়েট বাদেও বুয়েটের এক ভাই এখানে ভাইবা দিয়েছিলেন৷ এত ভালো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থাকতেও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া দুঃখজনক ৷ নিয়োগ বোর্ড কসের উপর প্রাধান্য দিয়েছে সেটা তারাই ভাল বলতে পারবেন ৷’

এদিকে রিজেন্ট বোর্ডের কার্যবিবরণী স্বাক্ষর হওয়ার পূর্বেই রেজিস্ট্রার কর্তৃক নিয়োগপত্র পেয়ে সে তার কর্মস্থলে যোগদান করেছেন বলে জানা যায়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মুরাদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা উপাচার্য স্যার আলাদা ভাবে অনুমোদন দিয়েছেন। তবে নিয়োগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি৷

এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. কামরুজ্জামানকে জানতে চাইলে তিনি নিয়োগের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি৷ বিষয়টা সম্পূর্ন প্রশাসনের ব্যাপার বলে জানান তিনি৷

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘বশেমুরবিপ্রবিতে শিক্ষক নিয়োগে যেখানে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাচ্ছে না সেখানে বুয়েট, কুয়েট বা রুয়েট এর মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে তৃতীয়/চতুর্থ ক্যাটাগরীর কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা কোনো শিক্ষার্থীকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক দেওয়া পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য লজ্জাজনক, এখানে ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অশুভ লক্ষণ। তবে এখানে শুধু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কিংবা প্রভাবশালী কারও খুঁটির জোরেই এমনটি হতে পারে। কিছু কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা একদমই অপ্রীতিকর। আবার কোন কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সার্টিফিকেট বিক্রি করে থাকে। এটা দেখে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা চরম হতাশাজনক।’

এদিকে ববি উপাচার্যের মেয়ের নিয়োগ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়৷ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া নিয়ে তর্ক-বিতর্কের ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়া যায় অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল্ড মেডেলিস্টরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়।’

আরেক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আহা! কি সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সম্প্রদায়! কেউ আত্মীয়বান্ধব আবার কেউ সহকর্মী বান্ধব। বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে হলে এখন ভিসিদের আত্মীয় স্বজন হওয়া ছাড়া উপায় নেই।’

অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা থাকলেও তাদের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করা হয় না ৷ তবে এ ব্যাপারে ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব ৷

এমএমএ/

 

 

Header Ad
Header Ad

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী

ছবিঃ সংগৃহীত

যানজটে আটকে থাকা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের গাড়ি বহরকে সাইড করে দিতে গিয়ে বাস চাপায় নিহত হয়েছেন জসিম উদ্দিন (৫৩) নামে জামায়াতের একজন কর্মী।

নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত আলী আশ্রাফ মোল্লার ছেলে। তার স্ত্রী ও শিশুসহ তিন ছেলে সন্তান রয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার ওয়ালটন শো-রুমের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সৈয়দপুর গ্রামের বাসিন্দা মারুপ সিরাজী বলেন, লক্ষীপুর যাওয়ার পথে জামায়াত আমিরের বহরের ৪টি গাড়ি বাগমারা উত্তরবাজারে যানজটে আটকা পড়লে জামায়াতের নেতাকর্মীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। হঠাৎ তিশা পরিবহনের ঢাকামুখী একটি দ্রুতগতির বাস ধাক্কা দিলে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকারী জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দীনের মাথা থেতলে যায়। রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বাগমারা বাজারের ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম মুন্না বলেন, কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও বাগমারা বাজার অংশে অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে দুই লেন করা হয়েছে।সে কারণে ২৪ ঘণ্টাই সড়কের এই অংশে যানজট লেগে থাকে। যানজট নিরসনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে আজ হয়তো এমন মৃত্যু হতো না।

লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা ইমাম হোসেন বলেন, আমিরে জামায়াত লক্ষীপুর যাওয়ার পথে বাগমারা উত্তর বাজার বালুর মাঠে পথসভা করেন। পথসভাস্থলে পৌঁছার কিছুক্ষণ আগে তাঁর গাড়ি বহর যানজটে আটকা পড়ে।

তখন আমিসহ সংগঠনের ১৫/২০ জন কর্মী ট্রাফিকের দায়িত্ব শুরু করি। আমরা আমিরে জামায়াতকে নিয়ে পথসভায় চলে যাওয়ার পর জামায়াতের কর্মী জসিম উদ্দিন বাস চাপায় মারা যান।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, বাগমারা উত্তরবাজারে বাস চাপায় জসিম উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। মরদেহ নিহতের বাড়িতে রয়েছে। খবর পেয়েই নিহতের বাড়িতে গিয়েছি।

 

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  

ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি (ইটিভি) ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে, ওই টিভি চ্যানেলের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ইটিভি কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মান্ডা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়ানো নিয়ে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে ইটিভির এক সংবাদকর্মীর তর্ক হয়। পরে ওই নেতা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠিয়ে ক্যামেরাম্যানকে চাকরিচ্যুত না করলে চ্যানেল ভাঙচুরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইটিভির নিরাপত্তা সুপারভাইজার আল আমিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মান্ডা গ্রিন মডেল টাউন অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে ইটিভির ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ রুমি হাসান তালুকদার সেখানে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর মিঠু হোয়াটসঅ্যাপে ইটিভির কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেজ পাঠান। সেখানে একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘চাকরিচ্যুত করতে হবে এ ক্যামেরাম্যানকে, না হলে একুশে টেলিভিশন ভাঙচুর হবে।’

এ হুমকির ঘটনায় একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জিডিতে ইটিভির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম মিঠুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওদিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, সাইফুল ইসলাম মিটু প্রচার সহকারী নন তিনি মহানগরী দক্ষিণ প্রচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারী। ইতিমধ্যে তার তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ইটিভি কতৃপক্ষকে এ বিষয় নিয়ে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

বার্তায় বলা হয়, সে যা করেছে তা অমার্জনীয় অপরাধ। সংগঠন অবহিত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত