মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

তারারাও মেঘেদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে

তাল সামলাতে না পেরে তাল ঠুকতে, ঠুকতে মিকসেতু মিঠু ও তার চার বন্ধু চললেন সেন্ট মার্টিনে। বেড়ালেন, আমাদেরও ঘোরালেন। ছবিও দিলেন ভালো

সাঁঝের আলোয়
‘চোখটা এত পোড়ায় কেন?/ও পোড়া চোখ সমুদ্রে যাও/সমুদ্র কি তোমার ছেলে?/ আদর দিয়ে চোখে মাখাও’-বঙ্গোপসাগর দেখার অপেক্ষায় গায়ক, সাংবাদিক সঞ্জীব চৌধুরীর মতো আমার দুটি চোখও পুড়েছে দীর্ঘদিন। অবশেষে সুযোগ মিলল। ব্যাগ, বোচকা গুছিয়ে নিলাম। রাত নয়টায় যখন বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হব, জানা গেল-টেকনাফের শেষ বাসটিও ঢাকা ছেড়ে গিয়েছে; তাও রাত মোটে সাড়ে আটটায়! বাসের সাথে টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার জাহাজগুলোর টাইমিং মেলাতে হয়-সে তো আমার জানা নেই। এবার জানা হলো। আরো জানলাম, এই কারণেই বাসের চলে যাবার এতো তাড়া থাকে। তবে আমি তাই বলে থেমে থাকলাম না। ফিরে এসে পরদিন বাংলাদেশের প্রবাল দ্বীপটির উদ্দেশ্যে সাঁঝের আলোয় বিদায় ঢাকা জানালাম আমরা পাঁচজন।

যেখানে আকাশ নীল, পানিও নীল
বাসে ঢাকা থেকে টেকনাফ ঘাটে বাস পৌঁছলো পরদিন সকাল ছয়টায়। সেন্ট মার্টিনের জাহাজ ছাড়বে নয়টায়। জাহাজের ক্যাপ্টেন থেকে ঘাটের পানের দোকানদার-সবাই টিকিট গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ট্যুরিস্টদের সঙ্গে কথা চালাচ্ছে। দুই-একজন রোহিঙ্গা শিশুকেও দেখলাম-এর, ওর ফুট ফরমায়েশ খাটছে। সুর্য তখন নীলচে নাফ নদীর ওপর থেকে উঁকি দিচ্ছে।

স্নিগ্ধ অথবা চিপস প্রিয় গাঙচিল
‘ইচ্ছে হলে ভালোবাসিস/না হয় থাকিস/যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাঙচিল’ শিরোনামহীন ব্যান্ডের গানটি শুনে, শুনে গাঙচিলের স্নিগ্ধতার স্বরূপ আঁকা ছিল মনে কিন্তু জাহাজ ছাড়তেই যে হাজারখানেক ওরা রওয়ানা দিল আমাদের সঙ্গে! তারা যতোটা স্নিগ্ধ, ততটাই ভালোবাসা নিয়ে উড়ছে। তবে উড়ে, উড়ে চিপস খেতেই ব্যস্ত। জাহাজ থেকে ভ্রমণবিলাসীরা চিপস ছুঁড়ে দিচ্ছেন, আকাশে সাদা শুভ্রতা গাঙচিলগুলো উড়ে চলেই খাচ্ছে। একজন বলেই বসলেন, আমাদের সাকিব আল হাসানরাও তো এত নিখুঁত ক্যাচ ধরতে পারে না! তাতে সবাই হেসে ফেললেন। অনেকে চিপসের প্যাকেট খালি করে ফেললেন সাগরপাখিদের খাইয়ে। একপাশে শাহ পরীর দ্বীপ, অন্যপাশে মিয়ানমারের নাফ নদী, মাঝে জাহাজ চলছে নীল থেকে নীলাভ জলের পানে।

দরজা বন্ধ করলে ঘর, খুললে সাগর
প্রবাল দ্বীপটিতে পৌঁছে আমরা নামকাওয়াস্তের যে হোটেলে উঠলাম, সেটির সঙ্গে ঘর ও সমুদ্রের মাঝে একটি মোটে দরজার তফাৎ। ফলে আমি দরজা খুলে রেখেই সাগর দেখতে লাগলাম বন্ধুদের মতো। জীবনের প্রথম সাগর জলের স্পর্শ নেওয়ার তর সই ছিল না বলে ব্যাগ কোনোরকমে ফেলেই দে দৌড়। নীল জলরাশির আছড়ে পড়া সাদা ফেনাময় জল বুকে জড়িয়ে ধরলো আমাকেও। তখন মধ্য দুপুর। জোয়ার কম বলে আশপাশে অনেকে গোসলে নেমেছেন। সাগরের ভাসমান ফটোগ্রাফারদের সঙ্গে দামাদামি করে ছবি তুলতে লেগে গেলেন। কেউ আবার ফুটবল পায়ে মডেল হলেন রোনালদো কী মেসি। কেউবা তীরে কাঠের চেয়ার ভাড়া করে আধাশোয়া হয়ে গেলেন হুমায়ূন আহমেদের মতো, সাগর বিলাসে ব্যস্ত। এই অন্যরকম, আজব দর্শকদের উৎসাহ দেখে বোধকরি তার জলের ঢেউগুলো উঁচু থেকে আরো উঁচু হতে লাগল। দূর থেকে দেখছি, ঢেউয়ের দোলায় দুলছেন গোসলে মত্তরা।

মাছে ভাতে বাঙালি
দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাঙালির যে ঐতিহ্যগুলো বিলুপ্তির পথে তার একটি-‘মাছে ভাতে বাঙালি’। সেন্ট মার্টিনের হিসাব কিন্তু আলাদা। মোটে ৮ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটির যেদিকে তাকাবেন-সমুদ্র। সেভাবে এখানে ছোট, ছোট স্থানীয়দের যে হোটেলেই খান না কেন, সাগরের মাছগুলো প্লেটে পড়বে। নাম চেনেন সবাই পত্রিকার সূত্রে কিন্তু চেখে দেখার সুযোগ সেন্ট মার্টিনে অবারিত। কোরাল, রূপচাঁদা, ইলিশ, লইট্টা, রিটা, চিংড়ি ইত্যাদি। আরো আছে নাম না জানা কত, শত মাছ। এক বা দুই পিস; আস্ত ভাজিও খেতে পারেন। পকেট ও পেটের অবস্থা বুঝেই তো ব্যবস্থা।

চকচক করলেই রেডিয়েন্ট হয় না
গোসল, খাওয়া ও বিছানায় হালকা বিশ্রামেই দিন যে ফুরিয়ে গেল! তাই সাহসে ভর দিয়ে রাতেই নামলাম দ্বিতীয় দফার সাগর দর্শনে। ভীষণ সাগরে আলো নেই। আকাশে যে চাঁদটিও নেই। পূর্ণিমা সে পেরিয়ে গিয়েছে, সপ্তাহটি খানেক আগে। অল্প কটি তারা জ্বলছে, তারাও মেঘেদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। ভরা পূর্ণিমায় সাগরের সৌন্দর্য তো আমাদের দেখা হলো না। আঁধারের সমুদ্রেরও সৌন্দর্য আছে। কালো অন্ধকারের ভেতর দূর সাগরে উঁকি দিলো এক টুকরো সাদা ফেনা। দুপাশে থেকে বড় হতে, হতে তীরে এসে আছড়ে পড়লো। বারবার দেখছি মোরা। এমনই এক ঢেউয়ের বিদায়ে তীরে কী যেন চিক চিক করে জ্বলছে। কাছে গিয়ে দেখি, একটি, দুইটি, তিনটি করে শত, সহস্র রেডিয়েন্ট! এক ধরনের বালুকণা ওরা, অন্ধকারেও জ্বলে। মোবাইলের আলো ধরলে হারিয়ে যায়। চাঁদের আলোতেও তাই। তবে অন্ধকারে তারা সহায় হয় দারুণ জ্বলে। সেন্ট মার্টিনের পাড় জুড়ে রেডিয়েন্টের ঝিকিমিকি দেখতে, দেখতে পূর্ণিমায় সাগর না দেখার আফসোসটি রইল না।

বাংলাদেশের শেষ স্থলভূমি
গোটা সেন্ট মার্টিনই স্বর্গীয় ভূমি। যেদিকেই তাকাই, সুন্দর-সে খুব সুন্দর। সৈকতে বসে থাকতে ভালো লাগে, হাঁটলেও খুব ভালো লাগে। এক পাড়ে তার নারিকেলের সারি, আন্য পাড়ে প্রবাল প্রাচীরে সাদা ফেনাগুলো আছড়ে পড়ছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সমুদ্রের শোঁ, শোঁ-উত্তাল গর্জন। জিপিএ ফাইভ পেলেও মুরুব্বিরা যেমন বলেন, ভালোর কোনো শেষ নেই, গোল্ডেন-এ প্লাস পেতেই হবে তাই। ফলে গোল্ডেন-এ প্লাস দেখার আশায় সাইকেল ভাড়া নিয়ে রওয়ানা দিলাম ছেঁড়া দ্বীপে। দ্বীপটির সঙ্গে সাগরের জোয়ার-ভাটার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব আছে। হিসাব কষেই বেড়িয়েছি। সেন্ট মার্টিন ও ছেঁড়া দ্বীপের মাঝে ১শ মিটার প্রবালপথ, জোয়ারের সময় প্রবাল প্রাচীরে গড়া পথটি ডুবে যায়। ভাটার সময়ে যাওয়ার নিয়ম। ২৫ কী ৩০ মিনিট সাইকেল চালিয়ে আমরা যেখানে এলাম সত্যিই তা সৌন্দর্যের স্বর্গের পূণ্যভূমি। ৫শ বর্গমিটারের প্রবালে ঘেরা এক টুকরো সবুজ বন, এটিই ছেঁড়াদ্বীপ বা ছেঁড়াদিয়া দ্বীপ। থোকা, থোকা সবুজগুলো কেয়া বৃক্ষ। কেয়া বনটি পেরুলেই ফের প্রবাল রাজত্ব, দক্ষিণটিই বাংলাদেশের শেষ স্থলভূমি। সেন্ট মার্টিনকে পেছনে ফেলে শেষ প্রবালটিরও ওপর দাঁড়িয়ে আছি। সামনে দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি। তাকিয়ে থাকতে, থাকতে এই পোড়া চোখে কখন যে ঘোর লেগে গেলো, টের তো পেলাম না।

যাবেন? করবেন ও করবেন না
ঢাকা ছাড়াও কক্সবাজার, চট্টগ্রামে থেকে জাহাজে সেন্টমার্টিন পৌঁছানো যায়। তুলনায় লম্বা সময় জলের বুকে ভাসতে হয়-এই আর কী। জাহাজে বা সাগর পাড়ে চিপস, বিস্কুটের প্যাকেটসহ কোনো ধরণের ময়লা, আবর্জনাই সাগর বা অন্য কোথাও নয়; ময়লার নির্দিষ্ট ঝুড়িগুলোতে ফেলতে হবে কক্সবাজার, সেন্ট মার্টিনকে বাঁচিয়ে রাখতে। কেননা, প্রবালদের প্রাণ আছে। এমন পরিবেশ আর কোথাও নেই; বিশ্বেই বিরল।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ