রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হোক
লেখা ও ছবি : আসিফ আহমেদ
উত্তরবঙ্গের সেরা উচ্চতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের প্রধানতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আন্দোলনে নেমেছেন ভর্তি হতে ইচ্ছুক এইচএসসি পাশ ছাত্র, ছাত্রীরা।
তারা গেলবার প্রথম ভর্তি পরীক্ষাতে নানা কারণে ও মেধার দুর্বলতায় অকৃর্তকায হয়েছেন। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আশা ছাড়েননি তারা কেউ।
আজ বুধবার সকাল ১১টা থেকে ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের সামনে অহিংস অবস্থান কর্মসূচিতে ছিলেন এমন অনেক ছাত্র, ছাত্রী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্বিতীয়বারের মতো ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া বাতিল করেছেন। তাতে অনেক মেধাবী ছাত্র, ছাত্রী এখানে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়াও তাদের দাবি-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেকশন পদ্ধতি চালু রয়েছে। এই অন্যায় মেধাক্রম বাতিল করে দিতে হবে।
তারা সমস্বরে দাবি তুলেছেন ‘আমাদের দাবী মানতে হবে।’ শ্লোগানে মুখর হয়েছেন তারা, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ চাই।’
বাংলাদেশের অত্যন্ত মানসম্পন্ন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দাবী ও তাদের চাওয়াগুলো নিয়ে বলতে গিয়ে ২০২০ সালে এইচএসসি পাশ করা ছাত্র, ছাত্রীদের একজন সংগ্রাম হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘বরাবরের মতো আজও আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদানের দাবীতে প্রধান ফটকের সামনে এসেছি। আমরা সিলেকশন পদ্ধতি বাতিলের দাবী জানাই। আমাদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দেবার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হোক।’
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সরকারী প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় এই দেশের মানুষের টাকা ও সরকারের ভর্তুকিতে চলে আসছে। তবে সেখানে সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েদের ভর্তির সুযোগগুলো দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দেবার সুযোগ না দেওয়া, সিলেকশন পদ্ধতি, শিক্ষকদের জন্য কোটা ইত্যাদি সনাতন ও অন্যায় ব্যবস্থার মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’
একজন আন্দোলনরত ছাত্র পেছনে অন্যদের মতো পড়ালেখার ব্যাগ বহন করে এতে চলে এসেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দ্বিতীয়বার ভর্তির আবেদন জানিয়েছি। তারা মনোযোগ দিয়ে আমাদের বক্তব্যগুলো শুনেছেন। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত প্রদান করতে পারেননি। তাতে আমাদের শিক্ষাজীবন ও মানসিক যন্ত্রণা বাড়ছে। ফলে আমাদের আবার মাঠে নামতে হলো।’
ওএস।