‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মোছার অনুমতি দেওয়ায় ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি
‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মোছার অনুমতি দেওয়ায় ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষককেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন মেট্রোরেলের পিলারে থাকা শেখ হাসিনার গ্রাফিতি তথা ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মুছে ফেলা হয়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা রাতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা ঢাবির টিএসসি থেকে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে আয়োজিত মিছিল থেকে এ দাবি করা হয়। মিছিলে তারা বিক্ষোভ করেন একইসঙ্গে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
মিছিলে—‘আবু সাঈদ, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘অবিলম্বে প্রক্টরকে, পদত্যাগ করতে হবে,’ ‘ঘৃণাস্তম্ভ মুছল যারা, স্বৈরাচারের দোসর তারা’ এমন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে নওরিন সুলতানা নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে যদি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বলা হয়, তাহলে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কেন এনএসআইয়ের কথায় ঘৃণাস্তম্ভ মুছে ফেলবে? ঘৃণাস্তম্ভ মোছার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
মাহিদুজ্জামান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, যারা শেখ হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভ মুছে দেয়, এমন প্রশাসন কি বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর যোগ্য? প্রক্টরকে বলতে চাই, আপনি দায়িত্ব ছেড়ে দেন।
শনিবার রাজু ভাস্কর্যের কাছে মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্র ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ মুছে ফেলার চেষ্টা চালানো হয়। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাধা দেন এবং পরে সেই ব্যঙ্গচিত্রটি পুনরায় এঁকে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়, বরং একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা দেয় যে, ‘ঘৃণাস্তম্ভ’কে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং এটি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার প্রতীক হিসেবে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণ করা হবে।
শেখ হাসিনার এই ব্যঙ্গচিত্রটি ছাত্রলীগের সদস্যরা মেট্রোরেলের দুটি পিলারে আঁকেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি ও পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্র-জনতা সেই চিত্রের ওপর জুতা নিক্ষেপ, লাল রং ছিটানো, ইটপাটকেল ছোড়া এবং ঝাড়ু দিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানায়। এরপর এটি ঘৃণার প্রতীকে পরিণত হয়।