আইইউবিতে চালু হলো ‘কোরিয়ান কর্ণার’

বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)’ দক্ষিণ কোরিয় সরকারের বিশেষ, মর্যাদাপূর্ণ ও মূল্যবান ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ অনুদানটি লাভ করেছে।
অনুদানের মাধ্যমে এই বছরের মার্চের মধ্যে আইইউবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে ‘কোরিয়া কর্নার' স্থাপন করা হবে।
‘আইইউবি কোরিয়া কর্ণার’র প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, নানা ধরণের গবেষণা সরঞ্জামাদির টাকাও প্রদান করা হবে। সেজন্য আলাদা বরাদ্দ আছে।
কর্ণারে থাকবে-দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষা ও গবেষণার মূল্যবান উপাত্তগুলো। সেগুলোর মধ্যে আছে নানা ধরণের বই, গবেষণা জার্নাল, গবেষণাপত্র, সিডি ও ডিভিডি ইত্যাদি।
এছাড়াও দেশটিকে ভালোভাবে জানতে আরো উপকরণ থাকবে।
আগামী পাঁচ বছর-২০২৭ সাল পর্যন্ত ‘আইইউবি কোরিয়া কর্ণার’র সব খরচ দেশটির সরকার বহন করবেন।
প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি জ্ঞান ও গবেষণার প্রয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়ার নানা ধরণের জ্ঞানচর্চা ও গবেষণা নিয়ে কাজ করে চলেছে। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম, সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অধীনে কোরিয়ান চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির একটি বিশেষায়িত কোর্স চালু করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রচলিত একমাত্র কোর্সটিতে লেখাপড়া করে ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষকদের সাহায্যে ২০১৫ সালে ‘আইইউবি কে-ক্লাব’ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
এছাড়াও গেল সাতটি বছরে আইইউবি’তে দক্ষিণ কোরিয়াকে জানতে বেশকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনেকগুলোতে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয় দূতাবাস পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের কমকতারা এই অনুষ্ঠানগুলোতে অতিথি হিসেবে থেকে আরো ভালোভাবে জানার সুযোগ লাভ করেছেন।
এই কার্যক্রমের ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ হিসেবে এবারের ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ নামের অনুদানটি আইইউবি লাভ করেছে।
প্রতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ার ‘দি ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব কোরিয়া (এনএলকে)’র পক্ষ থেকে সারা বিশ্বের দুটি দেশের অন্যতম প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গ্রন্থাগারটিকে এই অনুদান প্রদান করা হয়।
এর আগে বাংলাদেশে কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাভ করেছে।
‘উইন্ডো অন কোরিয়া’র উদ্দেশ্য, এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোর একটি দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষ, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি, গবেষণা ও লেখাপড়ার মান সম্পর্কে বিশ্বকে আরো ভালোভাবে জানানো। সেখানে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগকে সহজ করে দেওয়া।
বিশেষ ও মূল্যবান এই সহযোগিতা প্রদানের জন্য নিজের বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্বাচন করায় বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন’কে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, তার দূতাবাসের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আইইউবি’র ভিসি ড. তানভীর হাসান।
আইইউবিকে এই অনুদান প্রদান করে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন আশা করেছেন, তার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি ও গবেষণা ইত্যাদি নিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র, ছাত্রী; অধ্যাপক, গবেষকদের মধ্যে চলমান আগ্রহ আইইউবি গ্রন্থাগারের কোরিয়ান কর্ণারের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া দেশ দুটির দুই পক্ষের আন্ত:সম্পর্ক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ শক্তিশালী করতে ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে-জানিয়েছেন তিনি।
ওএস।
