‘জলজ জীববৈচিত্র্য ও বিবর্তন গবেষণাগার’ চালু হলো

ইফতেখার আহমেদ ফাগুন
সিলেটের একমাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’-এ চালু হয়েছে ‘ল্যাবরেটরি অব অ্যাকুয়াটিক বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইভোল্যুশন’।
বিশ্ববিদ্যালয়টির মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে মাৎসবিজ্ঞান অনুষদে গবেষণাগারটি রয়েছে। অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের গবেষণার কাজেও লাগবে।
পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট এবং বাংলাদেশের উপকার করবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার উদ্বোধন করেছেন গবেষণাগার। তিনি বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, সংগ্রহশালা ঘুরে দেখেছেন ও নানা নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
‘জলজ জীববৈচিত্র্য ও বিবর্তন গবেষণাগার’ নিয়ে মাৎসবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিতত্ত¡ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভিসি স্যার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ডু।
বিভাগের শিক্ষক ড. শামীমা নাসরিন সঞ্চালনা করেছেন।
অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেছেন, ‘আমাদের সিলেট অঞ্চল জলজ জীববৈচিত্র্যে ভরপুর। হাওর-বাওড়-বিলের কারণে বাংলাদেশের বিশেষ এলাকা। হাওর অঞ্চলের দেশী মাছের লাইভ জিন ব্যাংক স্থাপন করে বাংলাদেশের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির মৎস্য সংরক্ষণসহ নতুন, নতুন জাত উদ্ভাবনের জন্য মাৎসবিজ্ঞান অনুষদকে এই গবেষণাগারের মাধ্যমে কাজ করার জন্য আমি আহবান জানাই।’
সভা শেষে মৎস্য জীববিদ্যা ও কৌলিততত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নির্মল চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিভাগের জলজ জীববৈচিত্র্য ও বিবর্তন গবেষণাগারটি এ অঞ্চলের গবেষণায় নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে। এখানে হেমাটোলজির সকল পরীক্ষা করা যাবে, মাছের রক্তের ১৮টি কমপ্লিট আরভিসিও করা যাবে, ডিএনএ-আরএনএ-প্রোটিন সনাক্ত এবং সেগুলোর পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে।’
‘ল্যাবরেটরি অব একুয়াটিক বায়োডাইভারসিটি অ্যান্ড ইভোল্যুশন’-এ হাওর অঞ্চলের বেশিরভাগ মাছের সংগ্রহশালা রয়েছে।
ওএস।
