বর্ণিল সাজে জবিতে উদযাপিত হচ্ছে সরস্বতী পূজা
করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ অমিক্রণের প্রভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবিতে) স্বল্প পরিসরে উদযাপিত হবে সরস্বতী পূজা।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের ন্যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও সরস্বতী পূজা পালিত হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এবারের সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠান আলাদা আলাদা না হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ ও ২ ইনস্টিটিউট একত্রে উদযাপিত করবে।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ক্যাম্পাসের নানা অংশ জুড়ে আঁকা হয়েছে বর্ণিল রঙের আলপনা। শান্ত চত্বর থেকে রফিক ভবনের সামনের অংশ, শহীদ মিনারের অগ্রভাগে, ভিসি ভবনের আশপাশের জায়গাসহ বিভিন্ন অংশ জুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসকে ফুটিয়ে তুলেছে রং তুলির আবাহে।
জবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী প্রিয়া সরকার বলেন, 'সরস্বতী বিদ্যার দেবী। বিশেষত শিক্ষার্থীরা তাদের জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃতি ও বৃদ্ধির জন্য এ দিনটি পালন করে। হিন্দুবিধি মতে সরস্বতী পূজার দিনক্ষণ আগামীকাল নির্ধারিত হয়েছে। এই তিথি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামে পরিচিত। উওর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, উড়িসা, নেপাল ও বাংলাদেশে এ পূজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়।'
জবির ১৫তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী আদিপ্ত শর্মা বলেন, করোনাকালে শিক্ষার্থীরা স্বল্প পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা আয়োজন করবে। বিদ্যা দেবীর নিকট অঞ্জলি নিবেদন, প্রার্থনা, ফল-ফুল, অর্ঘ্য, পুষ্পনিবেদন, উপবাস ও প্রসাদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। বাণী অর্চণার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য ও সংগীত চর্চায় দেবীর আরাধনা করা হবে।
এ পূজা উপলক্ষে গঠন করা হয়েছে বিশেষ কমিটি। অন্যবার যেখানে প্রত্যেক বিভাগ আলাদাভাবে আয়োজন করে থাকে এবার সম্মিলিতভাবে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের অনুমতিক্রমেই এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পূজার আয়োজকরা।
টিটি/