১৭টি হল থেকে পুলিশ সরালো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
লেখা ও ছবি : আসিফ আহমেদ
প্রয়োজনহীনতা অনুভব করে মোট ১৭টি হলের প্রতিটি থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাময়িকভাবে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে দিয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক রিপোর্টারদের এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। এর আগেই বৃহস্পতিবার ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে প্রতিটি হল থেকে প্রয়োজনীয় বাক্সপোটরা নিয়ে নিজস্ব গাড়িতে একে, একে তাদের চলে যেতে দেখা যায়। এরপর কাউকেই আর ফিরে আসতে দেখা যায়নি কোনো হলে।
সেদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আরো বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের স্বার্থে যে স্থান বা পয়েন্টগুলো দিয়ে বহিরাগতদের প্রবেশের সুযোগ রয়েছে, সেগুলোর প্রতিটির ওপর আমাদের খেয়াল রয়েছে। চারুকলার গেট, স্টেশন বাজার গেট ও বধ্যভূমি গেটে আমরা অস্থায়ী পুলিশ বক্স স্থাপনের জন্য পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে আলাপ করেছি। অনুমতিক্রমে সেগুলোতে বক্সের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
জানুয়ারি, ২০২২ সালের শুরু থেকে রাজশাহীর সবচেয়ে বড় এই ক্যাম্পাসটিতে একের পর এক ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটতে থাকে।
তাছাড়াও বহিরাগতরা নানা সীমানা প্রাচীরের অসুবিধার সুযোগ নিয়ে অবাধে যখন, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ ও নির্গমন শুরু করে। তারা এখানে অপরাধ ঘটাতে থাকে। মাদকসেবনের সময় বহিরাগত আটক হয়েছে ছাত্র-শিক্ষক-পুলিশের হাতে। ফলে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ও অনুমতি ব্যতিরিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সেটি বলবৎ আছে।
ওএস।