যবিপ্রবি শিক্ষার্থী সিফাতকে খেলার মাঠ থেকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ
যবিপ্রবি শিক্ষার্থী সিফাতকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ। ছবি: সংগৃহীত
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো: সিফাতুর রহমানকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পরিবার থেকে একাধিক বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার পরও মামলা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার।
মো: সিফাতুর রহমান মাগুরা জেলার অন্তর্গত শ্রীপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: শফিকুর রহমানের পুত্র। সে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
সিফাতের বাবা জানান, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার(৩০ জুলাই) বিকেলে মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ খেলাধুলা করার জন্য যায় সিফাতসহ তার ৪ বন্ধু। হঠাৎ জানতে পারি ডিবি পুলিশ ওদের তুলে নিয়ে গেছে। পুলিশ আমাকে বলে, মাঠে থাকা সিফাতসহ ৪ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিলে কলেজের দেয়ালে গ্রাফিতি করছিল এই জন্য তাদের ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। আমি ওদের ছেড়ে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলে ওসি আমাকে জানায় আমাদের ওপর থেকে চাপ থাকার কারণে আমরা ছাড়তে পারছিনা। পরদিন বুধবার (৩১ জুলাই) বিকাল ৫ টার দিকে মাগুরা সদর থানায় চালান করে দেয় এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মিথ্যা মামলা দেয়া হয় আমার ছেলেকে। ৪ জনের মধ্যে থেকে পরবর্তীতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজনকে ছেড়ে দেয় বলে জেনেছি। আমাদের মাগুরা শহরে সেইরকম কোনো সমস্যা বা আন্দোলন চলছিল না তাও কেন এইরকম কাজ করলো পুলিশ সেটা তারাই জানে!
সিফাতের আটকের বিষয়ে যবিপ্রবি প্রক্টর ড. মো: হাফিজ উদ্দিন বলেন, সিফাতকে ধরে আনার খবর আমি গতকাল বিকালে জানার পর আমি মাগুরা থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করি। প্রস্তাব জানাই যে ধরেছেন ঠিক আছে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া যায় কি না। পরবর্তীতে মাগুরা অ্যাডিশনাল এসপি মোহাম্মদ তানভীরকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেননি। এসপি সাহেব কে ফোন দিলে তিনি ৩০ মিনিট পর ফোন ব্যাক করে বলেন ওকে চালান দিয়ে দেয়া হয় বেশি বড় কোনো মামলা না তাকে ২ দিনের মধ্যেই ছেড়ে দেয়া হবে।
মাগুরা সদর থানার ওসি গণমাধ্যমকে জানান, সিফাতকে একটি মামলায় আটক করা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা প্রদান করার কারণে তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে, তদন্ত চলমান রয়েছে।