খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েট শিক্ষার্থীদের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কুয়েট শিক্ষার্থীদের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ। ছবি: সংগৃহীত
কোটা সংস্কার ও প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে খুলনার জিরোপয়েন্ট মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে বিশাল ছাত্রসমাবেশ ঘটে। পরে মিছিল নিয়ে তারা পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে নগরীর জিরোপয়েন্টে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এর ফলে খুলনা-সাতক্ষীরা এবং খুলনা-ঢাকা-বাগেরহাট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ‘কোটা দিয়ে বৈষম্য নয়, বৈষম্যমুক্ত দেশ চাই’, ‘আমার সোনার বাংলায় কোটা প্রথার ঠাঁয় নাই’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘শিক্ষার্থীদের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি স্লোগানে সড়কপথ প্রকম্পিত করে তোলে।
ছাত্রসমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায্য ও অযৌক্তিকভাবে হামলা চালানো হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাঙ্গণকে ভালোবাসে। তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম পছন্দ করে না। দেশ গড়ার আন্দোলনে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কোটা প্রথার সংস্কার সকল শিক্ষার্থীর প্রাণের দাবি। কোটা আন্দোলন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য চরম অপমানজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। একইসঙ্গে বলতে চাই, শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা একটি যৌক্তিক আন্দোলনের ওপর পুলিশ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আন্দোলনকারীদের চড়াও হওয়া অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা এর বিচার চাই এবং কোটা প্রথার সংস্কার চাই।