আজ ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটিতে নবীনবরণ হলো
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও সেরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটি। আজ ৩ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ২০২২ সালে স্প্রিং বা বসন্ত সেমিস্টারের মাধ্যমে অনার্স ও মাস্টার্সে ভতি হওয়া সবগুলো বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের নবীনবরণ হয়েছে। করোনা ভাইরাসের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।
নতুন, বিস্তৃত ও সুন্দর ক্যাম্পাসটিতে বরাবরের মতো ছাত্র, ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে এসে; শিক্ষকদের সঙ্গে মিলে নবীনবরণ করতে পারলেন না। কোভিড-১৯ রোগের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সংযুক্ত হয়ে তারা নবীনবরণে অংশ নিয়েছেন।
১ হাজার ৭শ ৫০ জন ছাত্র, ছাত্রীকে বিরাট এই আয়োজনের মাধ্যমে বরণ করে নিয়েছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটি।
নবীনবরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এবং নিদের্শনা প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।
আয়োজনের সভাপতি ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ জিয়াউল হক মামুন।
তারা সবাই ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটিতে ভতি হওয়া শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ধরণ, এর নিয়ম ও কানুনগুলো, শিক্ষা কার্যক্রমের বিস্তারিত, নানা সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট অধ্যাপক ও কমকতাদের সঙ্গেও তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রায় সব অধ্যাপক ও কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেছেন।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনির্ভাসিটির নবীনবরণের এই বিপুল আয়োজনে স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম মৌলিক চেতনা একুশের চেতনাকে ছাত্র, ছাত্রীদের হৃদয়ে লালন ও পালন করতে আহবান জানিয়েছেন তাদের শিক্ষকরা। এই দেশের প্রতিটি সংকট ও সম্ভাবনায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে তাদের পরামর্শ দিয়েছেন। লেখাপড়ার কোনো বিকল্প নেই। সুশিক্ষিত মানুষ হতে হলে নিয়মিত পড়ালেখা ও মনোযোগী হয়ে শিক্ষকদের কথা শুনতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অজর্ন করা শিক্ষা কাজে লাগানো, বাংলাদেশের সু-নাগরিক ও ভবিষ্যত উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে প্রস্তুতি নিতে তাদের তারা পরামর্শ দিয়েছেন।
ওএস।