সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ | ১০ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে ইউজিসি

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রো-ভিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

ভিসি মুহাম্মদ আবদুর রশীদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে অনিয়ম। আছে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। অন্যদিকে সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, মাদ্রাসার নতুন অধিভুক্তি-নবায়ন-পরিদর্শনের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত কমিটি গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

অবশ্য ভিসির দাবি, অভিযোগ সত্য নয়। অভিযোগের বিষয়ে সহ-উপাচার্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর ইউজিসি বলছে, আসল ঘটনা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির আগের ভিসির বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিলো।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, এখানে নিয়োগের বিষয়টি একটি বড় ব্যাপার। অধিভুক্ত মাদরাসার ‘সমস্যার’ সূত্র ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ নানাভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। একটি সাধারণ অভিযোগ দাঁড়িয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কোনো কাজে অধিভুক্ত মাদরাসায় গেলেই ‘লাভবান’ হন। এসব নিয়ে পাল্টাপাল্টি পক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে। চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। তা ছাড়া বর্তমান ভিসি ও প্রো-ভিসির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনা আছে।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলায়। এটি মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি অ্যাফিলিয়েটিং (অধিভুক্তিবিষয়ক) বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের মাদ্রাসাগুলো এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে। আগে তা চলত কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মাদ্রাসার সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি। অধ্যয়নরত মোট শিক্ষার্থী প্রায় পৌনে তিন লাখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রশীদ গত বছরের এপ্রিলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। একই বছর তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের একজন ‘কর্মী’ এ অভিযোগ দেন। এতে উপাচার্যের বিষয়ে ১০টি অভিযোগ করা হয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে গত বছরের নভেম্বরে ইউজিসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত জানুয়ারিতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান কমিটির আহ্বায়ক।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউজিসির নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আমলে না নিয়ে টাকার বিনিময়ে একজনকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তির নাম কামরুল ইসলাম। তার এক মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। কামরুল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (উপরেজিস্ট্রার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অর্থ ও হিসাব শাখায় পরিচালক পদে লোক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৬তম গ্রেডের একজন কর্মচারীকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তার পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

গত বছরের নভেম্বরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আবুল কালামের বিরুদ্ধে ইউজিসির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মোট ১৭টি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন মাদ্রাসা পরিদর্শনের নামে টাকা আদায়।

অভিযোগের বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে হাসিনা খানকে আহ্বায়ক করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। অভিযোগে বলা হয়, ফাজিল-কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগের বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যেতেন সহ-উপাচার্য। নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি আর্থিক অনিয়ম করেছেন।

জানতে চাইলে ইউজিসির তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হাসিনা খান বলেন, প্রতিবেদন তৈরির কাজটি একটি পর্যায়ে চলে এসেছে। ভিসি ও প্রো-ভিসির বক্তব্য নেয়া হয়েছে।

Header Ad

১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে বিদেশিরা: সংসদে অর্থমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় থেকে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

অর্থমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকগুলোর এই পরিমাণ টাকা পাওনা আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা পাওনা আছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেনের (বিএডিসি) কাছে। এছাড়া বড় অঙ্কের টাকার মধ্যে চিনিকলগুলোর কাছে পাওনা প্রায় ৭ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা, সার, রাসায়নিক ও ওষুধ শিল্পের কাছে পাওনা ৭ হাজার ২৫০ কোটি টাকা, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) কাছে পাওনা ৫ হাজার ১৮ কোটি টাকা, বাংলাদেশ বিমানের কাছে পাওনা ৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা।
এদিকে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল র্পযন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয় হতে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন (১৩ কোটি ৫৮ লাখ) মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে আজ জাতীয় সংসদে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয় সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই। গত ১০ মাসে বাংলাদেশে বসবাসকারি বিদেশি নাগরিকগণ তাদের আয় হতে ১৩০ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার গেছে ভারতে। এছাড়া চীনে ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কায় ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপানে ৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ায় ৬.২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডে ৫.৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যে ৩.৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানে ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রে ৩.১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ায় ২.৪০ মিলিয়ন ডলার ও অন্যান্য দেশে গেছে ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার গেছে।

চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো ব্যাংকেই আর্থিক সংকট নেই। তবে কতিপয় ব্যাংকে উচ্চ খেলাপি ঋণ, মূলধন ঘাটতি ও তারল্য সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা ৯টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পর্যবেক্ষক হিসেবে এবং সাতটি ব্যাংকে কো-অর্ডিনেটর হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি।

অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রবমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত হ্রাস পাওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হওয়ায় মানুষ আমানত তুলে বিনিয়োগ করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাহীনতা বা মূল্যস্ফিতির কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত কমছে না।

প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন : আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই তিনি সুস্থ আছেন।

আজ সোমবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আনিসুল হক বলেন, আমি এইটুকু বলব যে, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার যেই চিকিৎসা প্রয়োজন, তিনি সেটা পাচ্ছেন বলেই কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ আছেন। তার যেসব অসুখ আছে, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটা আছে যেগুলো সারার মতো না এবং সেটাকে ট্রিটমেন্ট করে কমিয়ে রাখতে হবে। সেটা করা হচ্ছে।

গতকাল বিকেল ৪টার দিকে তার পেসমেকার লাগানো হয়েছে এবং সেই পেসমেকারে তিনি এখন যথেষ্ট সুস্থ আছেন বলে আমি খবর পেয়েছি বলে জানান আইনমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যখন এখানকার চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে তার কিছু চিকিৎসা করতে হবে, তখন সরকার কিন্তু সেই অনুমতি দিতে কার্পণ্য করেনি। আমি তখনো সঙ্গে সঙ্গে অনুমতি দিয়েছি। যারা এই কথা বলছেন যে আমার জন্য চিকিৎসা পাচ্ছেন না, তারা নিজেকে হাস্যকর করছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, উনাদের এখন ভারসাম্য সঠিক আছে কি না, সেটা একটু দেখতে হবে। এই ভারসাম্য ঠিক নাই বলেই তারা এসব কথা বলছে। আমার প্রতি তারা যদি প্রেস কনফারেন্স করে তাদের রাগ, উষ্মা প্রকাশ করতে চায়, বাংলাদেশে স্বাধীনতা আছে সবকিছুর, সেটা তারা করতে পারবে। কিন্তু আমি আশা করব তারা সত্য কথা বলবেন। আমি আশা করব তারা ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন না।

রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল

ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিম রেলওয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে পালন করেন পুলিশের সাথে আনসার সদস্যরা। এসব নিরাপত্তাবাহিনীর কারণে কোনো যাত্রী প্লাটফর্মে ধূমপান করলে তাদের হেনস্তা করা হয়। এমনকি তাদের ধরে জরিমানা পর্যন্ত করার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এসব নিরাপত্তা কর্মীদের মধ্যে অধিকাংশই মাদকাসক্ত।

এরই মধ্যে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের বিরুদ্ধে রেলের এক দপ্তরে বসে মাদক সেবনের অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি এমনই বেশ কয়েকটি ভিডিও গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

মাদকসেবনের অভিযুক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হলেন, সিপাহী সাদ্দাম হোসেন ও শাহিনুর রহমান । তারা দুজনেই রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে আরএনবি শাখার নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

তাদের মাদক সেবনের বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, (আরএনবি) ওই দুই নিরাপত্তা কর্মী রেলওয়ে ভবনের একটি দপ্তরে বসে ইয়াবা সেবন করছে। প্রথম একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা কাগজের ওপর মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে বেশ কয়েকটি ইয়াবা সেবনের জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে ।

এর কিছু দূরে নিরাপত্তা কর্মী সাদ্দাম হোসেন ইয়াবা সেবন করছে। পাশের আরেকটি চেয়ারে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন সিপাহী শাহিনুর রহমান। এরপর তার কথা বলা শেষ হলে দুজনই একসাথে মাদকআড্ডায় মেতে ওঠে।

বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে তাদের এমন মাদকসেবনের কর্মকাণ্ড। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক (আরএনবি) নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য জানান, সাদ্দাম ও শাহিনুর তারা নিয়মিত মাদক সেবনের সাথে জড়িত। প্রায় সময়ই তারা রেলওয়ের ভবনের বিভিন্ন (রুমে) রাতে মাদকের আড্ডা বসায়। এতে যোগ দেয় অনন্য বহিরাগতরাও। তাদের এমন কর্মকাণ্ড চললেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না বলে অভিযোগ তাদের।

ভিডিও সত্যতা জানতে (আরএনবি)’র নিরাপত্তা কর্মী অভিযুক্ত (সিপাহী) শাহিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন এবং প্রতিবেদককে ম্যানেজের চেষ্টা চালান।

অপর অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনকে মুঠোফোনে কল দেয়া হলে , তিনি তার ফোনটি বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল (আরএনবি) শাখা চিফ কমান্ডার আসহাবুল ইসলাম জানান, যদি এমন ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সাসপেন্ড করা হবে। এমন কর্মকাণ্ডে ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা ।

সর্বশেষ সংবাদ

১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে বিদেশিরা: সংসদে অর্থমন্ত্রী
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন বলেই খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন : আইনমন্ত্রী
রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যের মাদক সেবনের ভিডিও ভাইরাল
তামিলনাড়ুতে বিষাক্ত মদপানে মৃত বেড়ে ৫৬
আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন
কৃষক বেঁচে থাকলে দেশে খাদ্যের অভাব হবেনা: খাদ্যমন্ত্রী
তদন্তের আগে কাউকে দুর্নীতিবাজ বলা যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দেশের অর্ধকোটি মানুষ অনলাইন জুয়ায় জড়িত: পলক
বাংলাদেশকে ৪ বছরে ২০.৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি
১২তম সন্তানের বাবা হলেন ইলন মাস্ক
যুদ্ধবিরতির চুক্তি হলেও হামাসের সঙ্গে লড়াই চলবে: নেতানিয়াহু
ঈদযাত্রায় ১৩ দিনে সড়কে ঝরেছে ২৬২ প্রাণ
বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ঝরল সেনা সদস্যের প্রাণ
বিদেশ যাওয়ার পর মতিউর ও তার স্ত্রী-ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা!
নতুন প্রজন্মই স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়ার দাগেস্তানে বন্দুকধারীর হামলায় ১৫ পুলিশ, যাজকসহ নিহত ২২
সারদা পুলিশ একাডেমিতে ১৬টি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার
২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩ কোটি টাকা টোল আদায়
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
‘ছাগলকাণ্ডে’ এবার দেশ ছাড়লেন মতিউর রহমান