শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে ইউজিসি

ছবি: সংগৃহীত

ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও প্রো-ভিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

ভিসি মুহাম্মদ আবদুর রশীদের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগে অনিয়ম। আছে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ। অন্যদিকে সহ-উপাচার্য মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, মাদ্রাসার নতুন অধিভুক্তি-নবায়ন-পরিদর্শনের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। তদন্ত কমিটি গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিয়েছে।

অবশ্য ভিসির দাবি, অভিযোগ সত্য নয়। অভিযোগের বিষয়ে সহ-উপাচার্যের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। আর ইউজিসি বলছে, আসল ঘটনা তদন্তেই বেরিয়ে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির আগের ভিসির বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিলো।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র বলছে, এখানে নিয়োগের বিষয়টি একটি বড় ব্যাপার। অধিভুক্ত মাদরাসার ‘সমস্যার’ সূত্র ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশ নানাভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। একটি সাধারণ অভিযোগ দাঁড়িয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ কোনো কাজে অধিভুক্ত মাদরাসায় গেলেই ‘লাভবান’ হন। এসব নিয়ে পাল্টাপাল্টি পক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে। চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। তা ছাড়া বর্তমান ভিসি ও প্রো-ভিসির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে আলোচনা আছে।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলায়। এটি মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি অ্যাফিলিয়েটিং (অধিভুক্তিবিষয়ক) বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের ফাজিল ও কামিল পর্যায়ের মাদ্রাসাগুলো এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে। আগে তা চলত কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ইউজিসির সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মাদ্রাসার সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি। অধ্যয়নরত মোট শিক্ষার্থী প্রায় পৌনে তিন লাখ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রশীদ গত বছরের এপ্রিলে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। একই বছর তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের একজন ‘কর্মী’ এ অভিযোগ দেন। এতে উপাচার্যের বিষয়ে ১০টি অভিযোগ করা হয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে গত বছরের নভেম্বরে ইউজিসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত জানুয়ারিতে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান কমিটির আহ্বায়ক।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ইউজিসির নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা আমলে না নিয়ে টাকার বিনিময়ে একজনকে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তির নাম কামরুল ইসলাম। তার এক মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে। কামরুল পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার (উপরেজিস্ট্রার) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ইউজিসির নিষেধাজ্ঞা ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নীতিমালা অমান্য করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, অর্থ ও হিসাব শাখায় পরিচালক পদে লোক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উপাচার্যের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া ১৬তম গ্রেডের একজন কর্মচারীকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তার পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

গত বছরের নভেম্বরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য আবুল কালামের বিরুদ্ধে ইউজিসির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মোট ১৭টি অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে অনিয়ম, নিয়োগ-বাণিজ্য, অর্থ আত্মসাৎ, বিভিন্ন মাদ্রাসা পরিদর্শনের নামে টাকা আদায়।

অভিযোগের বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে হাসিনা খানকে আহ্বায়ক করে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইউজিসি। অভিযোগে বলা হয়, ফাজিল-কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগের বোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যেতেন সহ-উপাচার্য। নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি আর্থিক অনিয়ম করেছেন।

জানতে চাইলে ইউজিসির তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হাসিনা খান বলেন, প্রতিবেদন তৈরির কাজটি একটি পর্যায়ে চলে এসেছে। ভিসি ও প্রো-ভিসির বক্তব্য নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি