ছয়টি বাস জ্বলে গিয়েছে
উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। শোকের কান্না এখনো থামেনি, থামবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ক্যাম্পাসটিতে আর কোনো ছাত্র, ছাত্রী; শিক্ষক, কর্মকতা, কর্মচারী ও তাদের স্বজনকে নিরাপত্তাহীনতায় প্রাণ না হারানোর উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে ভালো এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অনেক সুনাম আছে। এখানে লেখাপড়ার মান খুব ভালো। ছাত্র, ছাত্রীরা অত্যন্ত ভদ্র ও বিনয়ী। তারা লেখাপড়ায় মনোযোগী। অন্যসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাজশাহীতে আছেন কবি, গায়কেরা। তবে এই গায়কের দল শহর চেনেন না। তারা পালাগানের গায়কদের মতোই গ্রামীণ গায়ক। আবার ক্যাম্পাসের ভালোবাসার গান তাদের মনের মধ্যে বাসা বেঁধেছে।
দলবদ্ধ, মানসম্পন্ন শিক্ষকের নেতৃত্বে এই ক্যাম্পাস হাসান আজিজুল হক, বদরুদ্দীন উমর, ড. আশরাফ সিদ্দিকী, ড. মুস্তাফা নূরউল ইসলাম ড. সনৎকুমার সাহা, ড. অরুণ কুমার বসাক, প্রমুখের নাম বয়ে বেড়াচ্ছে। আরো অনেক কৃতি শিক্ষক যেমন ইংরেজির ড. মিজানুর রহমান খান, গণযোগাযোগের সাজ্জাদ বকুলের কথা বার বার বলেন তাদের শিক্ষাথীরা। পূর্বমেঘ, ম্যাজিক লন্ঠনের এই ক্যাম্পাস এখন জ্বলছে।
সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা প্রাণপণে লড়ছেন। তারা প্রতিটি খবর ও মুহূর্তকে এখন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নিজের ক্যাম্পাসে দলে ও একা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের বন্ধু, প্রিয়জন মাহবুব হিমেল আর নেই। ফলে রাতেই কুয়াশা ও প্রচণ্ড ঠান্ডাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে নেমেছিলেন তারা গতকাল রাতে। এই পর্যন্ত মোট ছয়টি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তার বন্ধুর দল। একটি ভবন গড়ে উঠছিল। সেটিও শান্ত ছেলেমেয়েদের দলের ক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পায়নি।
লেখা : তানভীর তুষার : ছবি-রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোটার্স ইউনিটি (রুরু)