মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

‘সাড়া দাও, সাড়া দাও, উদাসীন থেকো না’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা আন্দোলনে নেমেছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। তাদের এই আন্দোলনের ছবি প্রদর্শনী হচ্ছে, ক্যাম্পাসের সড়ক ও দালানগুলোতে তারা ছবি এঁকেছেন, শ্লোগান লিখেছেন; প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। সেগুলো নিয়ে লিখেছেন নুরুল ইসলাম রুদ্র, ছবি তুলেছেন জুবায়েদুল হক রবিন

আন্দোলনের উত্তাপ থেমেছে জাফর স্যারের ডাকে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট)’র উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ১৭ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। শুরুর দিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল, অনশন, ভিসির বাসভবন ঘেরাওসহ নানা কমসূচিতে প্রতিদিনই উত্তাল ছিল পুরো ক্যাম্পাস। বিভিন্ন শ্লোগানে মুখর ছিল সাস্ট। তবে এখন আর আগের মতো উত্তাল নেই ক্যাম্পাস। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক তাদের অনশন ভাঙিয়েছেন। ফলে ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছে নিরবতা।

প্রতিবাদে মুখর দেওয়াল ও সড়কগুলো
তারপরও তারা আন্দোলনে আছেন। তাতে পাল্টে গেছে প্রতিবাদের ভাষা। তাদের প্রতিবাদী শ্লোগানগুলো এখন ছুঁয়ে আছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দেয়াল ও রাস্তা। রং-তুলির ছোঁয়ায় অন্যরকম প্রতিবাদে মেতেছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ভবন, গোলচত্বরসহ পুরো ক্যাম্পাসেই উপাচার্যবিরোধী নানা শ্লোগান লিখে তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘সেভ সাস্ট’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগানগুলো দেয়ালে ও সড়কে ফুটিয়ে তুলেছেন। ক্যাম্পাসের গোলচত্বরের অর্ধেক জুড়ে ‘পতন, পতন, পতন চাই, স্বৈরাচারের পতন চাই’, ‘যেই ভিসি মিথ্যা বলে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি বোমা মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, শাবিপ্রবি মুক্তি পাক’ শ্লোগানগুলো লেখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেওয়ালে ‘হীরক ভিসির শেষে’, ‘মৃত্যুর মুখে দাঁড়ালে আয়ু বেড়ে যায়’, ভিসি-সমিতি একজোট’, ‘বোমাচার্য’, ‘সব জুলুমশাহীর পতন হোক’, ‘সাড়া দাও, সাড়া দাও, উদাসীন থেকো না’, ‘কিছু মাতাল হাওয়ার দল, শোনে ঝোড়ো সময়ের গান’, ‘ফুলের বিরুদ্ধে বুলেট হলে বুলেটের বিরুদ্ধে কী?’, ‘আমার ঘর, আমার দোর, তুই কোথাকার ভুঁইফোঁড়?’ ইত্যাদি শ্লোগান লেখার মাধ্যমে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ
১৯ জানুয়ারি ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ ও অসদাচরণ’ আচরণের অভিযোগ’ এনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের সময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক লায়লা আশরাফুনের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘চাষাভূষার সন্তান, আমরা সবাই সাস্টিয়ান’, ‘চাষাভূষার ক্যাম্পাস’ ইত্যাদি শ্লোগান লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।

আছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালগুলোসহ উপাচার্যের ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’তে ছেয়ে গিয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-ভিসি পদ ফাঁকা আছে’ গ্রাফিতির মাধ্যমে নতুন উপাচার্যের দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে ছাত্র, ছাত্রীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেক রকমের ক্ষোভ রয়েছে। নাম না বলে একজন বলেছেন, ‘এর আগে ক্যাম্পাসে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আমাদের কখনো বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, রোড পেইংটিং, গ্রাফিতি, দেয়াললিখন ইত্যাদি কাজগুলো করতে দেওয়া হতো না। অথচ এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিভিন্ন দিবসে শিক্ষার্থীরা এসবের মাধ্যমে তাদের প্রতিভাকে তুলে ধরতে পারে। আমাদের সেসব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে উপাচার্য আমাদের এই অধিকারগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন, আমরা তাকে আর চাই না, আমরা তার পদত্যাগ চাই।’

আলপনার গল্প
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অনশনস্থলে আলপনা এঁকেছেন তারা। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনকারীদের প্রতি সম্মান জানাতে ও তাদের অনশনের দিনগুলোর স্মৃতি ধরে রাখতেই এমন কাজ করা হয়েছে। গিয়ে দেখা গিয়েছে, অনশনস্থলে তারা রং, তুলির সাহায্যে লিখে রেখেছেন আন্দোলনটির মূলমন্ত্র ‘মৃত্যু অথবা মুক্তি’। চিত্রটির ওপরে একটি স্যালাইনের স্ট্যান্ড আঁকা আছে, তাতে ঝুলন্ত একটি স্যালাইন আছে। অনশনে অংশ নেওয়া পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র শাহরিয়ার আবেদীন বলেছেন, ‘এ চিত্রে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা যখন অহিংস পথে ছিলাম আমাদের তখনকার অবস্থা, আমাদের মনোবল ও দৃঢ় প্রত্যয় আছে।’

আলোকচিত্রে একদফা
গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরের পাশে ‘আলোকচিত্রে এক দফা’ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তাতে ছাত্র, ছাত্রীদের ওপর পুলিশের হামলা ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্তের চিত্র অন্যদের দেখার ও ক্যাম্পাসে প্রদর্শনী করতে রেখেছেন তারা। এটি আছে সাস্টের কিলো রোডের পাশে। সবুজ সামিয়ানায় ভেতরে ছবিগুলো টাঙানো। সামিয়ানায় পিন দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন ১শ ৫০টির বেশি ছবি। সবগুলোই ছাত্র, ছাত্রীদের তোলা। প্রতিটি ছবিতে ফুটে উঠেছে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুহূতগুলো। আরো ফুটেছে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার চিত্র। কটি ছবিতে শ্লোগান মুখর সাস্টের ছাত্র, ছাত্রীরা। শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার ছবি আছে। কিছু ছবিতে ক্যাম্পাসের ভেতরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া পুলিশ বাহিনীর সামনে ছাত্র, ছাত্রীরা হাঁটু মুড়ে ফুল হাতে তাকিয়ে আছে। এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজীব বাবু ও শাদমান শাবাব। তারা বলেছেন, প্রতিটি ছবিই প্রতিটি মুহূর্তের কথা বলছে। একদিকে পুলিশের নির্মম নির্যাতন অন্যদিকে ছাত্রদের প্রতিবাদী আন্দোলন। সবই ফুটে উঠেছে আলোকচিত্রমালায়। বিভিন্ন মুহূর্তের খন্ড, খন্ড ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে সমগ্র আন্দোলনের চিত্র। আন্দোলনরত ছাত্র জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘এতে আমরা আন্দোলনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি প্রমাণ্য দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেছি।’

ওএস।

 

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এদের মধ্যে বাকি ৫ জন চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১টি অটো চার্জার ভ্যান এবং ১৯টি অটো চার্জার ভ্যানের ব্যাটারিসহ ১৫০ কেজি খুচরা যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহীর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ জেলা পুলিশ কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ফারজানা হোসেন এসব তথ্য জানান।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন, জেলার পোরশা উপজেলার সোভাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল জব্বার (৪০) চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার পাথরপূজার গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে নুরুজ্জামান (৪০) এবং নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ধবলডাঙ্গা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম (৩০)।

গ্রেপ্তারকৃত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা হলেন, জেলার মান্দা উপজেলার উত্তর কাঞ্চন গ্রামের আলম খানের ছেলে শহিদ খান (৩৪) একই গ্রামের পরেশ আলী মৃধার ছেলে কাওছার আলী মৃধা (২৪), উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের তমিজউদদীন মোল্লার ছেলে আব্দুল মতিন মোল্লা (৫০), কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে জিয়াউর রহমান (৪২) এবং শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মন্ডলের ছেলে আজিজুল মন্ডল(৬৪)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা হোসেন বলেন, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত অনুমানিক ৮ টার দিকে সাপাহার থানার নোচনাহার বাজার থেকে সাদিকুল ইসলাম (৩২) নামে এক অটো চার্জার ভ্যান চালক তার নিজের অটো চার্জার ভ্যান চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে সাপাহার থানাধীন ইলিমপুর মোড় হইতে হরিপুর বাজারগামী রোডে ইলিমপুর ব্রীজের নিকট পৌছাতেই রাস্তার পাশে ওৎপেতে থাকা ০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার অটো চার্জার ভ্যান থামিয়ে তাকে ভ্যান থেকে টেনে নামায় এবং তার গলার চাকু ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাশের আম বাগানে নিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে।

পরবর্তীতে তারা সাদিকুলের অটো চার্জার ভ্যানটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। অপর আরো একটি ঘটনায় একই ডাকাত দল গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে পোরশা থানার সরাইগাছি - আড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের মশিদপুর এলাকায় এক অটো চার্জার ভ্যান চালককে আটক করে। তাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার অটো চার্জার ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, এই দুই ঘটনায় পোরশা এবং সাপাহার থানায় আলাদা দুইটি মমলা হয়। মামলার পর থেকেই পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবির) একটি বিশেষ টিম অভিযান অব্যাহত রাখে। গতকাল (২৭ এপ্রিল) নওগাঁ এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৩ জন ডাকাত এবং চোরাই ভ্যানের মালামাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ফারজানা হোসেন আরও বলেন, গ্রেফাতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে মোহাম্মদ সেলিম (৩০) বহুল আলোচিত সাপাহার উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ হিল কাফি হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী। সেলিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০ টি এবং ডাকাত নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৪ টি চুরি এবং ডাকাতির মামলা রয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) সুমন রঞ্জন সরকার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি ডিবি) আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা পরেশ রাওয়াল সম্প্রতি এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘ঘাতক’ ছবির শুটিং চলাকালে হাঁটুর মারাত্মক আঘাতের পর দ্রুত সেরে ওঠার জন্য তিনি নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলে জানিয়েছেন।

রাকেশ পান্ডের সঙ্গে একটি দৃশ্যের শুটিং চলাকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আঘাতের পর পরিচালক তিন্নু আনন্দ ও অভিনেতা ড্যানি দেনজোংপা তাকে দ্রুত মুম্বাইয়ের নানাবতী হাসপাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে গভীর উদ্বেগে ছিলেন পরেশ রাওয়াল। তখনই প্রয়াত অ্যাকশন ডিরেক্টর বীরু দেবগণ তাকে পরামর্শ দেন প্রতিদিন সকালে নিজের মূত্র পান করার জন্য। বীরু দেবগণের যুক্তি ছিল, বহু যোদ্ধা শরীরের দ্রুত আরোগ্যের জন্য এমন পদ্ধতি অনুসরণ করতেন। পরেশ রাওয়াল সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি তখন এমন এক মানসিক অবস্থায় ছিলেন যে সুস্থতার জন্য যেকোনো কিছু করতে রাজি ছিলেন।

 

বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল। ছবি: সংগৃহীত

নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে টানা ৩০ দিন নিজের মূত্র পান করেন পরেশ। পরে চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চমকপ্রদ ফলাফল পান। চিকিৎসকদের মতে, তার চোট সারাতে যেখানে আড়াই মাস সময় লাগার কথা ছিল, সেখানে তিনি মাত্র দেড় মাসেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

বর্তমানে পেশাগত জীবনেও ব্যস্ত সময় পার করছেন পরেশ রাওয়াল। শিগগিরই তিনি প্রিয়দর্শনের পরিচালনায় নির্মিত হরর-কমেডি 'ভূত বাংলা' ছবিতে অক্ষয়কুমার ও টাবুর সঙ্গে অভিনয় করবেন। পাশাপাশি ‘হেরা ফেরি ৩’-তেও পুরনো সহ-অভিনেতা অক্ষয়কুমার ও সুনীল শেঠির সঙ্গে আবার পর্দা ভাগ করবেন।

 

Header Ad
Header Ad

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করেছেন এনসিপির মূখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে নাহিদ ইসলামের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, "শুভ জন্মদিন। বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী নাহিদ ইসলাম।" তার এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ডাকাত দলের ৩ সদস্যসহ ৮ জন গ্রেপ্তার, উদ্ধার লুণ্ঠিত মালামাল
নিজের মূত্র পান করেছিলেন বলিউড অভিনেতা পরেশ রাওয়াল
নাহিদ ইসলামকে বাংলাদেশের আগামীর প্রধানমন্ত্রী বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
কিছু লোডশেডিং না হলে ভর্তুকি বেড়ে যাবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা
গণপিটুনির পর কারাগারে ইমামের মৃত্যু, গাজীপুরের পূবাইলে চাঞ্চল্য
ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ না পড়াতে লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ৭টি অস্ত্রবাহী বিমান পাঠালো তুরস্ক
বিএনপির ৩ সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করলো সরকার
নিরীহ কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবে না: আইজিপি
পাকিস্তানে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত: নিউইয়র্ক টাইমস
ঢাকায় অটোরিকশা ও চার্জিং স্টেশন বন্ধে ডিএনসিসির অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে
চাঁদা না দিলে রেলের কমান্ড্যান্টকে বদলির হুমকির অভিযোগ দুই ছাত্র প্রতিনিধির বিরুদ্ধে (ভিডিও)
বলিউডে সেনারা হিরো, বাস্তবে কেন জিরো ভারতীয় বাহিনী!
কুমিল্লায় বজ্রপাতে স্কুলছাত্রসহ নিহত ৪
মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ