শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘সাড়া দাও, সাড়া দাও, উদাসীন থেকো না’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা আন্দোলনে নেমেছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। তাদের এই আন্দোলনের ছবি প্রদর্শনী হচ্ছে, ক্যাম্পাসের সড়ক ও দালানগুলোতে তারা ছবি এঁকেছেন, শ্লোগান লিখেছেন; প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। সেগুলো নিয়ে লিখেছেন নুরুল ইসলাম রুদ্র, ছবি তুলেছেন জুবায়েদুল হক রবিন

আন্দোলনের উত্তাপ থেমেছে জাফর স্যারের ডাকে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট)’র উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ১৭ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। শুরুর দিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল, অনশন, ভিসির বাসভবন ঘেরাওসহ নানা কমসূচিতে প্রতিদিনই উত্তাল ছিল পুরো ক্যাম্পাস। বিভিন্ন শ্লোগানে মুখর ছিল সাস্ট। তবে এখন আর আগের মতো উত্তাল নেই ক্যাম্পাস। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক তাদের অনশন ভাঙিয়েছেন। ফলে ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছে নিরবতা।

প্রতিবাদে মুখর দেওয়াল ও সড়কগুলো
তারপরও তারা আন্দোলনে আছেন। তাতে পাল্টে গেছে প্রতিবাদের ভাষা। তাদের প্রতিবাদী শ্লোগানগুলো এখন ছুঁয়ে আছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দেয়াল ও রাস্তা। রং-তুলির ছোঁয়ায় অন্যরকম প্রতিবাদে মেতেছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ভবন, গোলচত্বরসহ পুরো ক্যাম্পাসেই উপাচার্যবিরোধী নানা শ্লোগান লিখে তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘সেভ সাস্ট’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগানগুলো দেয়ালে ও সড়কে ফুটিয়ে তুলেছেন। ক্যাম্পাসের গোলচত্বরের অর্ধেক জুড়ে ‘পতন, পতন, পতন চাই, স্বৈরাচারের পতন চাই’, ‘যেই ভিসি মিথ্যা বলে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি বোমা মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, শাবিপ্রবি মুক্তি পাক’ শ্লোগানগুলো লেখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেওয়ালে ‘হীরক ভিসির শেষে’, ‘মৃত্যুর মুখে দাঁড়ালে আয়ু বেড়ে যায়’, ভিসি-সমিতি একজোট’, ‘বোমাচার্য’, ‘সব জুলুমশাহীর পতন হোক’, ‘সাড়া দাও, সাড়া দাও, উদাসীন থেকো না’, ‘কিছু মাতাল হাওয়ার দল, শোনে ঝোড়ো সময়ের গান’, ‘ফুলের বিরুদ্ধে বুলেট হলে বুলেটের বিরুদ্ধে কী?’, ‘আমার ঘর, আমার দোর, তুই কোথাকার ভুঁইফোঁড়?’ ইত্যাদি শ্লোগান লেখার মাধ্যমে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ
১৯ জানুয়ারি ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ ও অসদাচরণ’ আচরণের অভিযোগ’ এনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের সময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক লায়লা আশরাফুনের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘চাষাভূষার সন্তান, আমরা সবাই সাস্টিয়ান’, ‘চাষাভূষার ক্যাম্পাস’ ইত্যাদি শ্লোগান লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।

আছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালগুলোসহ উপাচার্যের ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’তে ছেয়ে গিয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-ভিসি পদ ফাঁকা আছে’ গ্রাফিতির মাধ্যমে নতুন উপাচার্যের দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে ছাত্র, ছাত্রীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেক রকমের ক্ষোভ রয়েছে। নাম না বলে একজন বলেছেন, ‘এর আগে ক্যাম্পাসে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আমাদের কখনো বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, রোড পেইংটিং, গ্রাফিতি, দেয়াললিখন ইত্যাদি কাজগুলো করতে দেওয়া হতো না। অথচ এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিভিন্ন দিবসে শিক্ষার্থীরা এসবের মাধ্যমে তাদের প্রতিভাকে তুলে ধরতে পারে। আমাদের সেসব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে উপাচার্য আমাদের এই অধিকারগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন, আমরা তাকে আর চাই না, আমরা তার পদত্যাগ চাই।’

আলপনার গল্প
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অনশনস্থলে আলপনা এঁকেছেন তারা। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনকারীদের প্রতি সম্মান জানাতে ও তাদের অনশনের দিনগুলোর স্মৃতি ধরে রাখতেই এমন কাজ করা হয়েছে। গিয়ে দেখা গিয়েছে, অনশনস্থলে তারা রং, তুলির সাহায্যে লিখে রেখেছেন আন্দোলনটির মূলমন্ত্র ‘মৃত্যু অথবা মুক্তি’। চিত্রটির ওপরে একটি স্যালাইনের স্ট্যান্ড আঁকা আছে, তাতে ঝুলন্ত একটি স্যালাইন আছে। অনশনে অংশ নেওয়া পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র শাহরিয়ার আবেদীন বলেছেন, ‘এ চিত্রে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা যখন অহিংস পথে ছিলাম আমাদের তখনকার অবস্থা, আমাদের মনোবল ও দৃঢ় প্রত্যয় আছে।’

আলোকচিত্রে একদফা
গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরের পাশে ‘আলোকচিত্রে এক দফা’ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তাতে ছাত্র, ছাত্রীদের ওপর পুলিশের হামলা ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্তের চিত্র অন্যদের দেখার ও ক্যাম্পাসে প্রদর্শনী করতে রেখেছেন তারা। এটি আছে সাস্টের কিলো রোডের পাশে। সবুজ সামিয়ানায় ভেতরে ছবিগুলো টাঙানো। সামিয়ানায় পিন দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন ১শ ৫০টির বেশি ছবি। সবগুলোই ছাত্র, ছাত্রীদের তোলা। প্রতিটি ছবিতে ফুটে উঠেছে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুহূতগুলো। আরো ফুটেছে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার চিত্র। কটি ছবিতে শ্লোগান মুখর সাস্টের ছাত্র, ছাত্রীরা। শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার ছবি আছে। কিছু ছবিতে ক্যাম্পাসের ভেতরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া পুলিশ বাহিনীর সামনে ছাত্র, ছাত্রীরা হাঁটু মুড়ে ফুল হাতে তাকিয়ে আছে। এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজীব বাবু ও শাদমান শাবাব। তারা বলেছেন, প্রতিটি ছবিই প্রতিটি মুহূর্তের কথা বলছে। একদিকে পুলিশের নির্মম নির্যাতন অন্যদিকে ছাত্রদের প্রতিবাদী আন্দোলন। সবই ফুটে উঠেছে আলোকচিত্রমালায়। বিভিন্ন মুহূর্তের খন্ড, খন্ড ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে সমগ্র আন্দোলনের চিত্র। আন্দোলনরত ছাত্র জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘এতে আমরা আন্দোলনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি প্রমাণ্য দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেছি।’

ওএস।

 

 

Header Ad

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আউয়াল কমিশনের পদত্যাগের আড়াই মাস যেতেই অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে বেছে নেওয়া হয়েছে নতুন নির্বাচন কমিশন। আগামী রোববার শপথ নিতে যাচ্ছে এ কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নতুন নির্বাচন কমিশন বেছে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এ তথ্য জানান সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক রোববার (২৪ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর আড়াই মাস যেতেই এবার অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ভার ন্যস্ত থাকবে এ কমিশনের ওপর।

নতুন নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দীন ছাড়াও কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে করা বিধান অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করার পর ওই কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা থেকে এই নির্বাচন কমিশন বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

দেশের চতুর্দশ সিইসি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া নাসির উদ্দীনক স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার

ছবি: সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭১ জন নিহত হয়েছেন। এতে চলমান যুদ্ধে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়ে গেল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে আনাদোলু এজেন্সি জানায়, দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ৪৪ হাজার ৫৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৪ হাজার ২৬৮ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বোমা ও গুলিতে ৭১ জন নিহত এবং ১৭৬ জন আহত হয়েছেন।

তবে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এবং সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়।

এদিকে, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থার কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনি এক্স পোস্টে বলেছেন, গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশই এখন উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ওইসব এলাকার মানুষেরা নিরাপত্তা ও অস্তিত্বহীনতার মধ্যে বসবাস করছেন।

অনিরাপদ রুটের কারণে গাজাজুড়ে সামান্য ত্রাণ সরবরাহ করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে জানিয়ে ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজার উত্তরাঞ্চলে মানুষ কঠোর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। যুদ্ধের দুষ্টচক্রে পড়ে তারা জীবন বাঁচাতে ছুটাছুটির মধ্যে রয়েছেন। ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ওই অঞ্চলটি মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উপত্যকায় নাগরিক শৃঙ্খলা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা মোহাম্মদ দেইফের বিরুদ্ধেও পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

আইসিসির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালত দুই ব্যক্তি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ৮ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ২০ মে, ২০২৪ পর্যন্ত সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করছে।

বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ত ‘ইচ্ছাকৃতভাবে ও জ্ঞাতসারে গাজার বেসামরিক জনগণকে খাদ্য, পানি, ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহের পাশাপাশি জ্বালানি ও বিদ্যুৎসহ তাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য বস্তু থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে’।

পৃথক এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত জানায়, দেইফ, পুরো নাম মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল-মাসরিও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আসামি। বিবৃতি মতে, আদালত ‘সর্বসম্মতভাবে’ তার বিরুদ্ধে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেইফের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে- ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট নিক্ষেপ এবং ৭ অক্টোবর হামলা চালানো হামলায় সহস্রাধিক ইসরাইলি নিহত হয়। তবে৭ অক্টোবর হামলার কয়েক মাস পর চলতি বছরের জুলাইয়ে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেডের দীর্ঘদিনের নেতা দেইফকে এক বিমান হামলায় হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। বিমান হামলাটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে এবং একটা পানি শোধনাগারে আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ৯০ জন নিহত ও ৩০০ জন আহত হয়।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী