শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘সাড়া দাও, সাড়া দাও, উদাসীন থেকো না’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা আন্দোলনে নেমেছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। তাদের এই আন্দোলনের ছবি প্রদর্শনী হচ্ছে, ক্যাম্পাসের সড়ক ও দালানগুলোতে তারা ছবি এঁকেছেন, শ্লোগান লিখেছেন; প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন। সেগুলো নিয়ে লিখেছেন নুরুল ইসলাম রুদ্র, ছবি তুলেছেন জুবায়েদুল হক রবিন

আন্দোলনের উত্তাপ থেমেছে জাফর স্যারের ডাকে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সাস্ট)’র উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে ১৭ দিন ধরে টানা আন্দোলন করে যাচ্ছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। শুরুর দিন থেকে বিক্ষোভ মিছিল, অনশন, ভিসির বাসভবন ঘেরাওসহ নানা কমসূচিতে প্রতিদিনই উত্তাল ছিল পুরো ক্যাম্পাস। বিভিন্ন শ্লোগানে মুখর ছিল সাস্ট। তবে এখন আর আগের মতো উত্তাল নেই ক্যাম্পাস। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হক তাদের অনশন ভাঙিয়েছেন। ফলে ক্যাম্পাসে ফিরে এসেছে নিরবতা।

প্রতিবাদে মুখর দেওয়াল ও সড়কগুলো
তারপরও তারা আন্দোলনে আছেন। তাতে পাল্টে গেছে প্রতিবাদের ভাষা। তাদের প্রতিবাদী শ্লোগানগুলো এখন ছুঁয়ে আছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দেয়াল ও রাস্তা। রং-তুলির ছোঁয়ায় অন্যরকম প্রতিবাদে মেতেছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো, সেন্ট্রাল লাইব্রেরি ভবন, গোলচত্বরসহ পুরো ক্যাম্পাসেই উপাচার্যবিরোধী নানা শ্লোগান লিখে তার পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন ছাত্র, ছাত্রীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘সেভ সাস্ট’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগানগুলো দেয়ালে ও সড়কে ফুটিয়ে তুলেছেন। ক্যাম্পাসের গোলচত্বরের অর্ধেক জুড়ে ‘পতন, পতন, পতন চাই, স্বৈরাচারের পতন চাই’, ‘যেই ভিসি মিথ্যা বলে, সেই ভিসি চাই না’, ‘যেই ভিসি বোমা মারে, সেই ভিসি চাই না’, ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, শাবিপ্রবি মুক্তি পাক’ শ্লোগানগুলো লেখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দেওয়ালে ‘হীরক ভিসির শেষে’, ‘মৃত্যুর মুখে দাঁড়ালে আয়ু বেড়ে যায়’, ভিসি-সমিতি একজোট’, ‘বোমাচার্য’, ‘সব জুলুমশাহীর পতন হোক’, ‘সাড়া দাও, সাড়া দাও, উদাসীন থেকো না’, ‘কিছু মাতাল হাওয়ার দল, শোনে ঝোড়ো সময়ের গান’, ‘ফুলের বিরুদ্ধে বুলেট হলে বুলেটের বিরুদ্ধে কী?’, ‘আমার ঘর, আমার দোর, তুই কোথাকার ভুঁইফোঁড়?’ ইত্যাদি শ্লোগান লেখার মাধ্যমে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ
১৯ জানুয়ারি ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ ও অসদাচরণ’ আচরণের অভিযোগ’ এনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের সময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক লায়লা আশরাফুনের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘চাষাভূষার সন্তান, আমরা সবাই সাস্টিয়ান’, ‘চাষাভূষার ক্যাম্পাস’ ইত্যাদি শ্লোগান লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।

আছে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালগুলোসহ উপাচার্যের ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’তে ছেয়ে গিয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি-ভিসি পদ ফাঁকা আছে’ গ্রাফিতির মাধ্যমে নতুন উপাচার্যের দাবি জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনে ছাত্র, ছাত্রীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষার্থীদের অনেক রকমের ক্ষোভ রয়েছে। নাম না বলে একজন বলেছেন, ‘এর আগে ক্যাম্পাসে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আমাদের কখনো বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন, রোড পেইংটিং, গ্রাফিতি, দেয়াললিখন ইত্যাদি কাজগুলো করতে দেওয়া হতো না। অথচ এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিভিন্ন দিবসে শিক্ষার্থীরা এসবের মাধ্যমে তাদের প্রতিভাকে তুলে ধরতে পারে। আমাদের সেসব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে উপাচার্য আমাদের এই অধিকারগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন, আমরা তাকে আর চাই না, আমরা তার পদত্যাগ চাই।’

আলপনার গল্প
এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনের অনশনস্থলে আলপনা এঁকেছেন তারা। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অনশনকারীদের প্রতি সম্মান জানাতে ও তাদের অনশনের দিনগুলোর স্মৃতি ধরে রাখতেই এমন কাজ করা হয়েছে। গিয়ে দেখা গিয়েছে, অনশনস্থলে তারা রং, তুলির সাহায্যে লিখে রেখেছেন আন্দোলনটির মূলমন্ত্র ‘মৃত্যু অথবা মুক্তি’। চিত্রটির ওপরে একটি স্যালাইনের স্ট্যান্ড আঁকা আছে, তাতে ঝুলন্ত একটি স্যালাইন আছে। অনশনে অংশ নেওয়া পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র শাহরিয়ার আবেদীন বলেছেন, ‘এ চিত্রে আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা যখন অহিংস পথে ছিলাম আমাদের তখনকার অবস্থা, আমাদের মনোবল ও দৃঢ় প্রত্যয় আছে।’

আলোকচিত্রে একদফা
গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরের পাশে ‘আলোকচিত্রে এক দফা’ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তাতে ছাত্র, ছাত্রীদের ওপর পুলিশের হামলা ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্তের চিত্র অন্যদের দেখার ও ক্যাম্পাসে প্রদর্শনী করতে রেখেছেন তারা। এটি আছে সাস্টের কিলো রোডের পাশে। সবুজ সামিয়ানায় ভেতরে ছবিগুলো টাঙানো। সামিয়ানায় পিন দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছেন ১শ ৫০টির বেশি ছবি। সবগুলোই ছাত্র, ছাত্রীদের তোলা। প্রতিটি ছবিতে ফুটে উঠেছে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুহূতগুলো। আরো ফুটেছে শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার চিত্র। কটি ছবিতে শ্লোগান মুখর সাস্টের ছাত্র, ছাত্রীরা। শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার ছবি আছে। কিছু ছবিতে ক্যাম্পাসের ভেতরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া পুলিশ বাহিনীর সামনে ছাত্র, ছাত্রীরা হাঁটু মুড়ে ফুল হাতে তাকিয়ে আছে। এই প্রদর্শনী দেখতে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজীব বাবু ও শাদমান শাবাব। তারা বলেছেন, প্রতিটি ছবিই প্রতিটি মুহূর্তের কথা বলছে। একদিকে পুলিশের নির্মম নির্যাতন অন্যদিকে ছাত্রদের প্রতিবাদী আন্দোলন। সবই ফুটে উঠেছে আলোকচিত্রমালায়। বিভিন্ন মুহূর্তের খন্ড, খন্ড ছবিগুলোতে ফুটে উঠেছে সমগ্র আন্দোলনের চিত্র। আন্দোলনরত ছাত্র জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব বলেন, ‘এতে আমরা আন্দোলনের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি প্রমাণ্য দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেছি।’

ওএস।

 

 

Header Ad
Header Ad

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  

ছবিঃ সংগৃহীত

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পুলিশের আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু এবং যুবদল নেতা শহিদ মিয়ার লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি ও যুবদলের অস্থায়ী অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে মধ্যনগর বাজার এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশঙ্কা এবং সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত বাজার এবং আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ মিছিল-মিটিং নিষিদ্ধ করা হয়।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সজীব রহমান বলেন, ‘মধ্যনগর যুবদল নেতা শহিদ মিয়া ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈযুম মজনুর লোকজনের মধ্যে পুলিশের আসামি ধরা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের লোকজন বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর করে। এতে বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। বিশৃঙ্খল অবস্থা এড়াতে বাজারে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজার ও আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Header Ad
Header Ad

একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  

ছবিঃ সংগৃহীত

বেসরকারি টেলিভিশন একুশে টিভি (ইটিভি) ভাঙচুরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। এর আগে, ওই টিভি চ্যানেলের এক সংবাদকর্মীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে ইটিভি কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন বলেন, ‘মান্ডা এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে দাঁড়ানো নিয়ে জামায়াতের এক নেতার সঙ্গে ইটিভির এক সংবাদকর্মীর তর্ক হয়। পরে ওই নেতা টেলিভিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বার্তা পাঠিয়ে ক্যামেরাম্যানকে চাকরিচ্যুত না করলে চ্যানেল ভাঙচুরের হুমকি দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এ জন্য একটি জিডি নেওয়া হয়েছে।’

এদিকে, ইটিভির নিরাপত্তা সুপারভাইজার আল আমিন তেজগাঁও থানায় একটি জিডি করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মান্ডা গ্রিন মডেল টাউন অডিটোরিয়ামে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বনির্ধারিত একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠান কাভার করতে ইটিভির ক্যামেরাপারসন মোহাম্মদ রুমি হাসান তালুকদার সেখানে যান। এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়।

এরপর মিঠু হোয়াটসঅ্যাপে ইটিভির কয়েকজন সাংবাদিককে মেসেজ পাঠান। সেখানে একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লেখেন, ‘চাকরিচ্যুত করতে হবে এ ক্যামেরাম্যানকে, না হলে একুশে টেলিভিশন ভাঙচুর হবে।’

এ হুমকির ঘটনায় একুশে টেলিভিশন এবং এর কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। জিডিতে ইটিভির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং হুমকিদাতা জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে সাইফুল ইসলাম মিঠুর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওদিকে নগর জামায়াতের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, সাইফুল ইসলাম মিটু প্রচার সহকারী নন তিনি মহানগরী দক্ষিণ প্রচার বিভাগে কর্মরত কর্মচারী। ইতিমধ্যে তার তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং ইটিভি কতৃপক্ষকে এ বিষয় নিয়ে দু:খ প্রকাশ করা হয়েছে।বিষয়টা মিটমাট হয়ে গেছে।

বার্তায় বলা হয়, সে যা করেছে তা অমার্জনীয় অপরাধ। সংগঠন অবহিত হওয়ার সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান

ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ৩১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বড় ব্যবধানে হেরেছে আফগানিস্তান। ৪৩.৩ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা। ফলে ১০৭ রানের বড় জয় পায় প্রোটিয়ারা।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। স্পোর্টিং উইকেটে বড় সংগ্রহ গড়ার লক্ষ্য ছিল স্পষ্ট। রিকেল্টনের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি, বাভুমা, রাসি ফন ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করামের ফিফটিতে প্রোটিয়ারা ৩১৫ রানের বড় স্কোর গড়ে।

প্রোটিয়াদের ইনিংসে প্রথম উইকেট দ্রুতই হারায় দলটি। ষষ্ঠ ওভারেই মোহাম্মদ নবির বলে ২৮ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। ১১ রানে ফেরেন টনি ডি জর্জি। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে বাভুমা ও রিকেল্টনের ১২৯ রানের জুটিতে ১৫০ পার করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৯তম ওভারে ৭৬ বলে ৫৮ রান করা বাভুমাকে ফেরান নবি।

বাভুমার বিদায়ের পরই নিজের অসাধারণ সেঞ্চুরি তুলে নেন রিকেল্টন। তবে ৩৬তম ওভারে রশিদ খানের বলে স্টাম্পড হয়ে ১০৬ বলে ১০৩ রানে বিদায় নেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এরপর ডুসেন ৪৬ বলে ৫২ ও মার্করাম ৩৬ বলে ৫২ রান করেন। যার ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ৩১৫ রানের বড় স্কোর গড়ে।

আফগানিস্তানের হয়ে বল হাতে মোহাম্মদ নবি ৫১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন রহমত শাহ, যিনি ৯২ বলে ৯০ রান করেন। এছাড়া, আজমতুল্লা ওমারজাই ও রশিদ খান ১৮ রান করে করেন। তবে দলের অন্য ব্যাটাররা ব্যর্থ হওয়ায় লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হয়নি।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বোলিংয়ে কাগিসো রাবাদা ৩ উইকেট, এনগিদি ও মুলডার ২টি করে উইকেট নেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভির জিডি, কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে জামায়াত  
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে
অপারেশন ডেভিল হান্ট: ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ৪৬১
খিলগাঁওয়ে স-মিলে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১০ ইউনিট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পশ্চিম তীরে নতুন করে হামলার নির্দেশ দিলেন নেতানিয়াহু
মেসির অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বেনাপোলে হয়নি দুই বাংলার মিলন মেলা
মাতৃভাষার গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে যা বললেন ড. ইউনূস
চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি: তিন দিন পর মামলা, আতঙ্কে যাত্রীরা
বিপ্লবের আত্মত্যাগ উন্নত বাংলাদেশের পথে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে : পররাষ্ট্রসচিব
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে আওয়ামী সরকারের পতনের কারণ উদঘাটন
চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া