রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে ছাত্রলীগের কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ‘নিয়মতান্ত্রিক’ ছাত্র রাজনীতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। নিয়মতান্ত্রিক রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে চার দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে বুয়েটের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন তারা এই ঘোষণা দেন। এসময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, ঢাবি শাখা সভাপতি মাজহারুল ইসলাম শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকতসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ঘোষিত চার কর্মসূচি হলো-

১. ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর আবাসিক হল ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে বুয়েট শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচী।

২. আধুনিক, স্মার্ট, পলিসিনির্ভর নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণে বুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা
ও মতামত আহ্বান।

৩. সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী-জঙ্গী কালোছায়া থেকে বুয়েটকে মুক্ত করতে সেমিনার ও সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন।

৪. বুয়েটে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা।

 

সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠকালে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলির উপর আপনারা সম্পূর্ণরূপে ওয়াকিবহাল। ৭ অক্টোবর ২০১৯ বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার নৈতিক ও সাংগঠনিক অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্র রাজনীতির নামে এমনকি ছাত্রলীগের দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে জিয়া-এরশাদ-খালেদা-নিজামী প্রবর্তিত হত্যা-খুন-সন্ত্রাস পরিচালনা করা যে কোনোমতেই সম্ভব নয়, সেটি এই হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু দেশরত্ন শেখ হাসিনা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করেছেন, আবরারের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, প্রশাসন বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অতীতেও সমর্থন করেনি, বর্তমানেও করে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বারবার বলার চেষ্টা করেছে, বাংলাদেশের মহান সংবিধান ও বুয়েট আইন কোনোটিই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের এই সিদ্ধান্তকে বৈধতা দেয় না। বুয়েট পরিবারের অংশীজনদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আহ্বান জানিয়েছে, ‘ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর? প্রলয় নূতন সৃজন-বেদন।’

বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের পর পাঁচ বছরে সেখানে ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও বিশ্ব মানবতা বিরোধী মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ তাদের নিরাপদ আস্তানা হিসেবে খুঁটি গেড়ে বসেছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাঙালির মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসকে অবজ্ঞা করা হয়েছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্মরণ করতে বাধা দান করা হয়েছে। একইসঙ্গে একজন শিক্ষার্থীর সংবিধান সম্মত চলাফেরা, মতপ্রকাশ, সমাবেশ ও সংগঠন করার যে অধিকার তা চূড়ান্তভাবে খর্ব করা হয়েছে, বৈষম্যমূলক-হিংসাত্মক-বিভেদের সামাজিক পরিকাঠামো চালু করা হয়েছে, জোরপূর্বক মতবাদ চাপিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল সত্তাকে হত্যা করার প্লট রচনা করা হয়েছে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রগামী ভূমিকা রাখা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরূপ কর্মকাণ্ড কোনোমতেই মেনে নেওয়ার মতো নয়।’

তুচ্ছ কারণে অপ্রাসঙ্গিক ও জোরপূর্বক গত ২৯ মার্চ ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে স্বৈরাচারী কায়দায় বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন রাহিম রাব্বীর আবাসিক হলের সিট বাতিল করা হয়েছে এবং তাকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের আড়ালে লুকিয়ে পরিচয় গোপন করে রাখা নিষিদ্ধ ও আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনের কর্মীদের এই অহেতুক দাবি বুয়েট প্রশাসন অবিবেচকের মতো মেলে নিলে প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে দেশের ছাত্রসমাজ ও রাজনীতি সচেতন গণতন্ত্রকামী মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অবৈধ আদেশ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করলে, মহামান্য আদালত তা বাতিল করে দেয়। ফলে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি পরিচালনা করতে আর কোনও বাধা নেই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েটের শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছে।’

বুয়েটে আবারও ছাত্র রাজনীতি শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বুয়েটে কোন ছাত্ররাজনীতি চলবে, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এই রাজনীতি অবশ্যই ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ, সেশনজট, র‍্যাগিং-বুলিং, দখল-বাণিজ্য ও হত্যা-সন্ত্রাসের ছাত্র রাজনীতি নয়। এই ছাত্র রাজনীতি হবে আধুনিক, যুগোপযোগী, বৈচিত্র্যময়-সৃষ্টিশীল, জ্ঞান-যুক্তি-তথ্য-তত্ত্বনির্ভর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রেখে যাওয়া যে বাংলাদেশকে সবাইকে মিলে পিছিয়ে দিয়েছিল দারিদ্র্যের অন্ধকারে গত ১৫ বছরে তা আবার আলোর পথে, উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে ফিরিয়ে এনেছেন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনার পরিকল্পিত উন্নত-আধুনিক বাংলাদেশে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বোপরি আমাদের সামগ্রিক ছাত্র রাজনীতি কোনোভাবেই পশ্চাৎপদ ধারায় পরিচালিত হতে পারে না। এবং আধুনিক নিয়মতান্ত্রিক ধারার ছাত্র রাজনীতির সূচনা যে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েট থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে, বুয়েটের শিক্ষার্থীরাই যে সমগ্র ছাত্র রাজনীতিকে খোলনলচে বদলে যাওয়ার পথ দেখাতে যাচ্ছে, আজ সেই শুভ উপলক্ষের উদ্বোধন।’

Header Ad

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামে এখন ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘সরকার বলেছে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সক্ষমতা আছে, তাহলে বিদ্যুৎ গেল কোথায়?’

আজ রবিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক আরও বলেন, এখন দেশের মানুষ অনেক সমস্যায় আছে। এর মধ্যে দুটি সমস্যা গুরুতর। একটি হলো বিদ্যুৎ, আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনা।

জাপা মহাসচিব বলেন, এখন গ্রামে-গঞ্জে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোথাও ১২ ঘণ্টা, কোথাও আট ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। আমার এলাকায় পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে। সরকার বলছে, ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আছে। তাহলে সেই বিদ্যুৎ গেল কোথায়?
এ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যদের কেউ কেউ আপত্তি করলে চুন্নু বলেন, লোডশেডিং হয় না গ্রামে? চ্যালেঞ্জ করলাম। আমার এলাকার মানুষ আমাকে বলেছে, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে, আমার এলাকায় একটা দিন থাকতে, লোডশেডিং হয় কি না তা দেখার জন্য।

তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন আরেক জায়গায়। ভাড়ায় যেসব বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র আছে, তাদের ৪১ শতাংশ সক্ষমতা থাকার পরও বসে আছে। ২২-২৩ আর্থিক বছরে বসে থাকার পরও ভাড়া বাবদ তাদের ২৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

চুন্নু বলেন, এর আগে সংসদে বলেছিলাম, আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, আমি আজ চ্যালেঞ্জ চাই না। আমি চাই, তিনি সশরীরে আমার এলাকায় যাবেন দুই-চার দিনের মধ্যে। দেখে আসবেন কয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে।

তিনি বলেন, দায়মুক্তি দিয়ে যেসব চুক্তি আমরা করেছি, সেগুলো দয়া করে প্রত্যাহার করুন। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে বসে বসে জরিমানা দেওয়া হবে, এ চুক্তি বাতিল করুন। সেসব কোম্পানি বিদ্যুৎ দিলে বিল পরিশোধ করবেন। বসিয়ে রেখে এভাবে এক বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা দেবেন, তারপর আবার লোডশেডিংও থাকবে! ঢাকায় থেকে অসহনীয় অবস্থা আপনারা বুঝবেন না।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের অপচয় বন্ধ করুন। বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছেন। মন্ত্রী একটি সুন্দর কথা বলেন, সমন্বয়। সমন্বয়ের মানে মূল্যবৃদ্ধি। এ সমন্বয় আগামী তিন বছর বারবার করবেন। ভর্তুকি তুলে নিলে বিদ্যুতের দাম দ্বিগুণ হয়ে যাবে দুই-তিন বছর পর। মানুষ কিনতে পারবে কি না, আমি জানি না। আমি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীকে বলব, শুধুমাত্র দাম না বাড়িয়ে এমন কিছু পদক্ষেপ নিন, যাতে জনগণের ওপর চাপ না পড়ে, একটি সহনীয় অবস্থায় আপনারা সরকারেও থাকতে পারেন, আর বিদ্যুৎও যাতে পাওয়া যায়।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩১৫ জন মারা গেছেন ঈদের আগে ও পরে। প্রতিদিন এখন ১৪ জন মারা যান। বছরে পাঁচ হাজারের মতো লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এটি সরকারের সংস্থার হিসাব। ১৭ এপ্রিল ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী ট্রাকের চাপায় ১৪ জন মারা যান। সেই ট্রাকের চালকের ভারি যানবাহন চালানোর কোনো লাইসেন্সই ছিল না।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ২২ এপ্রিল যে বাসের ধাক্কায় একজন শিক্ষার্থী মারা যান, সেটির ফিটনেসই ছিল না। ৪৩ বছরের পুরোনো গাড়ি। এ গাড়ি তো দুর্ঘটনা ঘটাবেই। সড়কে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা হয় পুরোনো, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী, আপনি একটু শক্ত হোন। এসব গাড়ি-অটো যদি রাস্তায় চলাচল না করে, তাহলে এভাবে মানুষ মারা যাবে না। দয়া করে আপনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিন।

আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরোধিতায় বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম আটকে গেছে। কর্মকর্তাদের আপত্তি থাকায় আপাতত বদলি প্রক্রিয়া চালু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিজেদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক করে প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে সেই প্রক্রিয়া আটকে দিলেন তারা।

রবিবার (৫ মে) বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা চূড়ান্ত করতে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

এর আগে গত সোমবার (২০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক-১) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজকের বৈঠকের বিষয়টি জানা যায়।

সভায় অংশ নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষামন্ত্রী বদলি নিয়ে উপস্থিত কর্মকর্তাদের মতামত জানতে চান। এ সময় একটি সংস্থার শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম চলছে। ৯৬ হাজারের বেশি শূন্যপদ থাকলেও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অর্ধেক পদও পূরণ হবে না। এ অবস্থায় বদলি চালু করা হলে গ্রামের সব শিক্ষক শহরে চলে আসবেন। গ্রামের স্কুলগুলোতে খালি হওয়া ওই পদগুলো আর পূরণ করা সম্ভব হবে না। এজন্য আপাতত বদলি চালু না করতে শিক্ষামন্ত্রীকে মত দেন ওই কর্মকর্তা।

তারা আরও জানান, শিক্ষা প্রশাসনের আরেক কর্মকর্তা সরাসরি বদলি চালু করা বা সম্ভব হলে সম পদে এবং সম স্কেলে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। তবে এখানে মামলাসহ আরও কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় এ প্রস্তাবও আপাতত অনুমোদন না করার সিদ্ধান্ত হয়। বদলির প্রক্রিয়া কবে চালু হবে, সে বিষয়ে নতুন করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

জানা গেছে, ২০১৫ সালের আগে কমিটির পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগ পেতেন শিক্ষকরা। এভাবে একজন শিক্ষক প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের সুযোগ পেতেন। তবে ২০১৫ সালের পর নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা এনটিআরসিএর হাতে যাওয়ায় সে সুযোগও বন্ধ হয়ে গেছে। নিজ এলাকার বাইরে চাকরি করতে হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সদস্য কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধানের হাতে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয় তাদের।

শিক্ষকদের নানা সমস্যার কথা বিবেচনা করে ২০২৩ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি চালুর উদ্যোগ নেয় সরকার। গত বছরের ২২ অক্টোবর বদলি নিয়ে প্রথম কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সে কর্মশালায় এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

ওই পরামর্শের আলোকে বদলির খসড়া তৈরি করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক কার্যালয়। খসড়া নিয়ে চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন কর্মশালায় বদলির খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়। রবিবার (৫ মে) এ নীতিমালা চূড়ান্ত করে পরিপত্র কবে জারি হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা ছিল।

৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন

ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ রবিবার (৫ মে) সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস, বনবিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, আনসার ভিডিপি, গ্রাম পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়া, আগুন নিয়ন্ত্রণে হেলিকপ্টার দিয়ে উপর থেকে পানি ঢালে বিমানবাহিনী। আগুনের ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করেছে বন বিভাগ।

বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, সুন্দরবনের আমুরবুনিয়া জঙ্গলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নতুন করে আগুন আর ছড়ায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় বন বিভাগের ২ শতাধিক বনকর্মীসহ নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, আনসার-ভিডিপি সদস্যরা আগুন নেভাতে কাজ করে। বিমানবাহিনীও আগুন নির্বাপণে অংশ নেয়।

প্রাথমিকভাবে বনের ৫/৬ একর বনভূমির লতাগুল্ম পুড়ে গেছে বলে সিএফ জানিয়েছেন। রবিবার দুপুরে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন ও পুলিশ সুপার মো. আবুল হাসনাত খান অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বন পরিদর্শন করেন।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল করিম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও এতে বনের ক্ষতি সম্পর্কে জানতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না, সংসদে ক্ষোভ চুন্নুর
আটকে গেল এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি
৩০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবার মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
দ্বিতীয় বিয়েতে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে তালাকের অভিযোগ
দেশে ফেরা হলো না প্রবাসীর, বিমানে ওঠার আগে মৃত্যু
বজ্রপাত থেকে বাঁচার ‘কৌশল’ জানাল আবহাওয়া অফিস
নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা